আমার আত্মজীবনী (১৯৪৪-১৯৫৯)
()
About this ebook
বাংলা ভাষাতে লেখা লেখকের শিক্ষা জীবনের কথা। ঐ সময়ের শহর এবং সমাজ জীবনের ছবি
Dilip Kr. Bandyopadhyay
Retired from service since last 20 years. Writes in Bengali mostly in rhyming poems. Interested in travel. Happily married.
Read more from Dilip Kr. Bandyopadhyay
ছড়ার ছড়াছড়ি Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsKobita Guccho Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsVedik Gonit Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsSampoorna adhunik ramayan Rating: 3 out of 5 stars3/5দেশ বিদেশের উপকথা Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsদেশ বিদেশের রূপকথা Rating: 0 out of 5 stars0 ratings
Related to আমার আত্মজীবনী (১৯৪৪-১৯৫৯)
Titles in the series (4)
Amar Atmojibini (1935-1944) Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsAmar Atmojibini (1959-1982) Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsআমার আত্মজীবনী (১৯৪৪-১৯৫৯) Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsAmar Atmojibini (1982-1990) Rating: 0 out of 5 stars0 ratings
Reviews for আমার আত্মজীবনী (১৯৪৪-১৯৫৯)
0 ratings0 reviews
Book preview
আমার আত্মজীবনী (১৯৪৪-১৯৫৯) - Dilip Kr. Bandyopadhyay
আমার আত্মজীবনী (১৯৪৪-৫৯)
Dilip K Bandyopadhyay
স্ম্যাশঅয়ার্ড সংস্করণ
দিলীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা জুন ২০১৩ প্রকাশিত।
পরিশোধিত এবং পরিমার্জিত সংস্করন ডিসেম্বর ২০১৩।
এই বইটি আপনার নিজস্ব ব্যবহারের জন্য।
আপনি দয়া করে বইটি অন্য কাউকে বিক্রয় করবেন না।
আপনি যদি এই বইটি পড়ে আনন্দ পেয়ে থাকেন তবে অন্যকে বইটি কেনার জন্য উৎসাহিত করুন।
আন্তর্জাতিক মানক পুস্তক সংখ্যা ৯৭৮১৩০১৮৯৪২২২
মূল্য ০.০০ টাকা
সূচীপত্র
আমার স্কুল জীবন (১৯৪৪-৪৯)
বিদ্যাসাগর কলেজ (১৯৪৯-৫১)
চাকুরী (১৯৫১—৫৩)
সুরেন্দ্রনাথ কলেজ (১৯৫৩-৫৪)
তকনীকি প্রুশিক্ষন এবং যাদবপুর কলেজ( ১৯৫৪-৫৯)
লেখকের অন্যান্য বই এবং পরিচিতি
আমার আত্মজীবনী(১৯৪৪-১৯৫৯)
আমার স্কুলজীবন
১৯৪৪ সালের জানুয়ারী মাসে আমি স্কুলে ভর্তি হলাম। ভর্তির তারিখটা ঠিক মনে নেই। যুদ্ধের আর ইভাকুয়েশনের ফলে স্কুল যাওয়া বন্ধই ছিল, যা কিছু পড়াশুনা তা বাড়িতেই করে নিচ্ছিলাম। আমাদেরকে স্কুলে একটা নামমাত্র জিজ্ঞাসা করে ক্লাস সিক্সে ভর্তি করে নেওয়া হল। আমরা এইজন্য বললাম যে আমি আর আমার দাদা দুজনেই একই ক্লাসে ভর্তি হলাম। বিখ্যাত মেট্রপলিটান ইন্সটিটিউশন (মেন), ৩৯ নম্বর শঙ্কর ঘোষ লেন। তখন লোকে কিন্তু আমাদের স্কুলের আর একটা নাম দিয়ে রেখেছিল হরি ঘোষের গোয়াল
। স্কুলে ছাত্র সংখ্যা অনেক হওয়াতে এই নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজকের দিনে যখন কম করে ৬০ থেকে ৭০ ছাত্র প্রত্যেক সেকশনে আছে তখন আমরা তো প্রায় ফাঁকা ক্লাসেই বসতাম। স্কুলের প্রধান দরজা ছিল শঙ্কর ঘোষ লেনে তবুও আমরা কিন্তু বিদ্যাসাগর হোস্টেলের সামনে দিয়ে একটা শর্টকাট করে স্কুলে হেটে চলে যেতাম।
আমার সময় স্কুলে হেডমাষ্টারমশাই ছিলেন ধরনী বাবু, সুপারিন্টেন্ডেন্ট ছিলেন তুলসী বাবু। আমার কাছে সব চেয়ে প্রিয় মাষ্টার মশাই ছিলেন বাংলার অনিল বাবু, ইতিহাসের পুলিন (দে) বাবু, আর বিজ্ঞানের অনিল (ঘোষ) বাবু। বিজ্ঞানের অনিল বাবু আবার আমাদের স্পোর্টস এর টীচার ছিলেন। বাংলার অনিল বাবুর পদবী ভুলে গেছি। ছ’ফুটের চেয়ে লম্বা চেহারা, তার উপরে ওনার গলাটা ছিল একটু বেশি লম্বা, তাই ছেলেরা আড়ালে তাকে বক বলে বোঝাত। সংস্কৃত পড়াতেন আচার্জী বাবু। তার পুরো নাম ভুলে গেছি। একে সংস্কৃত, তার উপরে মাষ্টারমশাই ছিলেন ভীষন কড়া, তাই তাকে আড়ালে ডাকা হত পাউরুটি। নীরস, শুখনো মানুষ।
আজকে লিখতে গিয়ে দেখছি আমার সহপাঠীদের প্রায় সবার নামই ভুলে গেছি। কিন্তু সবার নাম ভুলে গেলেও কোনদিন হয়তো মনোরঞ্জনের নাম ভুলতে পারব না। মনোরঞ্জন ছিল তখনকার দিনে বিখ্যাত যমুনালয়
কাপড়ের দোকানের মালিকের ছেলে। স্কুলে আমার ক্লাসে আমরা তিনজন দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলাম। কাজেই রোল কল করার সময় দিলীপ ১, দিলীপ ২ আর দিলীপ ৩ হিসাবে নামাঙ্কিত হয়েছিলাম। আমি ছিলাম দিলীপ ২। কেন ১ বা ৩ নই তার কোন কারন এখন বলতে পারব না।
এবার মনোরঞ্জনের কথা বলি।যমুনালয় দোকানের তখন দুটো ব্রাঞ্চ, একটা