সমুদ্রের দিনরাত্রি (Life at Sea)
()
About this ebook
দূর দেশে সোনা আছে বলে নয়ই নিতান্তই জীবিকার তাগিদে এক যুবক পাড়ি জমিয়েছিল সমুদ্রে। তারপর নীল পানি, বিশাল ঢেউ, আর নি:সঙ্গতা। দিন গোনা, ঢেউ গোনা, বন্দরে বন্দরে নূতন অভিজ্ঞতা। সেইসাথে স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভঙ্গের পালা এই নিয়ে সমুদ্রের দিনরাত্রি।
Suhreed Sarkar
Suhreed Sarkar is an IT consultant, trainer and technical writer. He studied Marine engineering, served on board the ship for two years, and then started journey in to IT world with MCSE in Windows NT 4.0 track. Later he studied business administration and earned MBA from University of Dhaka. He has a bunch of BrainBench certifications on various topics including PHP4, Project Management, RDBMS Concepts, E-commerce, Web Server Administration, Internet Security, Training Development, Training Delivery and Evaluation, and Technical Writing.
Related categories
Reviews for সমুদ্রের দিনরাত্রি (Life at Sea)
0 ratings0 reviews
Book preview
সমুদ্রের দিনরাত্রি (Life at Sea) - Suhreed Sarkar
Somudrer Din Ratri (Life at Sea)
A Travelogue by Suhreed Sarkar
Copyright (c) Suhreed Sarkar 2011. Alll Rights Reserved.
SmashWords Edition
First Published in July 2011
***
এই বইটি কেবল আপনার জন্য লাইসেন্সকৃত। আপনি যদি এটি না কিনে থাকেন তাহলে এক্ষুনি www.smashwords.com এ ফেরত দিন এবং একটি কপি কিনুন। আপনি একটি কপি কেনার পর সেটি কেবল নিজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। অন্য কাউকে সেটি দিতে পারবেন না। অন্য কাউকে দিতে চাইলে তার জন্য আরেকটি কপি কিনুন। এই নীতি মেনে চলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
~ o ~
সমুদ্রের দিনরাত্রি
সুহৃদ সরকার
দূর দেশে সোনা আছে বলে নয়ই নিতান্তই জীবিকার তাগিদে এক যুবক পাড়ি জমিয়েছিল সমুদ্রে। তারপর নীল পানি, বিশাল ঢেউ, আর নি:সঙ্গতা। দিন গোনা, ঢেউ গোনা, বন্দরে বন্দরে নূতন অভিজ্ঞতা। সেইসাথে স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভঙ্গের পালা এই নিয়ে সমুদ্রের দিনরাত্রি।
ভিয়েতনামের পথে
১.
জাহাজ ছাড়ল সন্ধ্যায়।
তখন চারদিকে নিয়নবাতি জ্বলে উঠছে। কয়েকবার ভেঁপু বাজিয়ে আমাদের জাহাজ এগিয়ে চলছে কর্ণফুলির জোয়ারে। বন্দর থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছি আমরা।
কর্নফুলির অপরপাড় ক্রমশ ঢেকে যাচ্ছে অন্ধকারে। কেবিন ছেড়ে বাইরে আসি। অনেকদূর চলে এসেছি। মেরিন একাডেমি জেটি পেরিয়ে সার কারখানা। সার কারখানা টাওয়ারে সেই সিগন্যাল বাতি জ্বলছে-নিভছে যথারীতি।
একসময় সারকারখানার সিগন্যাল বাতিও হারিয়ে যায়। চারদিক অন্ধকার। আকাশে একটু একটু মেঘ। মেঘের ফাঁকে চাঁদের আলো ঠিকরে পড়ছে। নিচে অথই সাগর। জল আর জল। চাঁদের আলোয় চিক চিক করছে চারপাশ।
এ জায়গায় আগেও কয়েকবার এসেছি। কয়েকরাত কেটেছে এখানে। রাতের বেলা চাঁদের আলোতে দেখেছি সমুদ্রকে। কিন্তু সমুদ্রের সেই আসল রূপ দেখিনি। যে রূপ ভয়ঙ্কর। উত্তাল তরঙ্গ কিংবা ফেনিল ঊর্মিমালা কোনটাই দেখা হয়নি। সমুদ্রের নীলপানি তাও না। ঘোলাটে পানি ছেড়ে কখন নীলপানিতে পৌঁছি তা দেখার ইে"ছ ছিল। কিন্তু এখন রাতের বেলা তা আর সম্ভব হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে শুধুই রূপালি সাগর।
কর্নফুলির পাড় থেকে শুধুই দেখতাম সাগরকে। সাগরের বুকে নোঙর করে থাকত অজস্র জাহাজ। রাতের বেলা ঘুমুতে যাবার আগে নজরে পড়ত আলোয় ঝলমল জাহাজগুলো। ভাবতাম, কবে যাবো ওই দূর সমুদ্রে!
সমুদ্রে না গেলেও কর্নফুলির সাথে পরিচয় ছিল। সে পরিচয় বেশ ভালভাবেই। সাম্পানে চড়ে কর্নফুলি পাড়ি দেয়া - সে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সামুদ্রিক ঢেউয়ের ছিটেফোঁটা এসে পড়ে এই কর্নফুলিতে, বিশেষ করে জোয়ারের সময়। ছোট্ট সাম্পান দুলতে থাকে এদিক ওদিক। মনে হয় এই বুঝি চলে গেল জলের তলে। কিন্তু না, তা হয় না। আবার ভেসে ওঠে। জাহাজ এসে ঢোকে বন্দরে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে কর্নফুলির দুপাড়ে। সাম্পানও দুলতে থাকে সেই তালে। বেশ ভাল লাগে। দু'একটা মাছধরা ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরে আসে। উপরে উড়তে থাকে চিল আর বাজপাখি। পাহারাদারকে ফাঁকি দিয়ে অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় মাছ নিয়ে উড়াল দেয় আকাশে।
রাতের কর্নফুলির রূপটা আলাদা। চারপাশে নিঝুম, এক পাতলা কুয়াশার আবরণ। তারমধ্যে দু'একটা হারিকেনের মিটিমিটি আলো। কাঠের নৌকা কিংবা