নীরবতার সীমান্তে তুমি ও কবিতা
By এইচ সোলাইমান
5/5
()
About this ebook
কবিতার উপজীব্য কী? কতকিছুই তো! কি নেই তাতে? বলতে গেলে সবই; ব্যক্তি জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্টনৈতিক জীবনের কম বেশি সব দিকগুলোই কখনও সশরীরে, কখনও বা প্রচ্ছন্নভাবে হানা দেয় কবির সচেতন মনে, বাঙ্ময় হয়ে উঠে তাঁর কবিতার ভাষা ও শরীরে। সমালোচক বিষয়ানুসারে কবিতাকে নানা শ্রেণীতে শ্রেণীভুক্ত করে। এদের মধ্যে গীতিকবিতা একটি। প্রধানতমও বটে।
তরুণতম এইচ সোলাইমান-এর ছোট্ট এই 'কবিতার বই'য়ের নাতিদীর্ঘ অথচ প্রগাঢ় অনুভূতিদ্যোতক এই কবিতাগুলো গীতিকবিতারই গোত্রভুক্ত। লেখকের ব্যক্তি জীবনের প্রেম-অপ্রেম, প্রেমজাত বিচিত্র সব অনুভূতি বাণীরুপ নিয়ে মূর্তিমতি হয়েছে পদ্যবন্ধে। পূর্বানুরাগ, অনুরাগ, মিলন-বিরহ, প্রেমজাত আশা-নিরাশা, হতাশা, দোলাচল, ব্যর্থতাজাত নৈরাশ্য, হাহাকার সবকিছুই চলে এসেছে। কখনও পুরো কবিতা জুড়ে, কখনও বা কবিতার চরণানুষঙ্গে।
'আমার কবিতাগুলোর আজ
একটি মাত্র উদ্দেশ্য;'
[জীবন বৃত্ত]
কাব্য পাঠে উদ্দেশ্য পরিস্ফুট হয়। লেখক তাঁর কাঙ্ক্ষিত ও অন্বিষ্ট তুমিকে সন্ধান করছেন। এই তুমি আর কেউ নয়, তার প্রেমাস্পদ, যার উদ্দেশ্যেই এই কাব্যসৃজন।
সম্ভবত, অনুপ্রেনণাও এই তুমি'ই।
'সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।' [কবিতার কথা, জীবনানন্দ দাশ]
তরুণ এই লেখককে আমরা 'কবি' বলবো কিনা? তাঁর লেখা এই গদ্য ছন্দের পদ্যগুলি সার্থক 'কবিতা' হয়ে উঠেছে কিনা? এমন প্রশ্ন পাঠকের মনে জাগবেই। এক্ষেত্রে লেখকের অপকট স্বীকারোক্তি-
'আমি কবিতা লিখছি সত্যি,
তবে আমি কবি হতে পারিনি।'
[আমি ব্যর্থতারই প্রতীক]
এই বিচারের ভার পাঠকের হাতেই। শুধু কবিতাই নয়, সব লেখার মূল উদ্দেশ্য পাঠক-সমাদর। অতএব, কবির এই দুস্প্রাপ্য তিলকচিহ্ন লেখকের কপালে জুটবে কিনা, তা পাঠকরাই স্থির করবেন।
_লিটু খান
জনকন্ঠ ভাবন
২০, অক্টোবর ২০১৪
এইচ সোলাইমান
কবিতা আমার রক্ত কণা। কবিতা আমার ঘুমের খোরাক।আমি তাই লিখি যা লিখে শান্তি পাই। সেই বই পড়ি যে বই তৃপ্তি দেয়। বুকে আগলে রাখি।ঘুরে বেড়াই। আর এভাবে ঘুরতে ঘুরতেই একদিন মরে যেতে চাই।
Related categories
Reviews for নীরবতার সীমান্তে তুমি ও কবিতা
1 rating0 reviews
Book preview
নীরবতার সীমান্তে তুমি ও কবিতা - এইচ সোলাইমান
উৎসর্গ:
আপনাকে, তোকে এবং
বিশেষ করে তোমাকে।
ভুমিকা:
কবিতার উপজীব্য কী? কতকিছুই তো! কি নেই তাতে? বলতে গেলে সবই; ব্যক্তি জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্টনৈতিক জীবনের কম বেশি সব দিকগুলোই কখনও সশরীরে, কখনও বা প্রচ্ছন্নভাবে হানা দেয় কবির সচেতন মনে, বাঙ্ময় হয়ে উঠে তাঁর কবিতার ভাষা ও শরীরে। সমালোচক বিষয়ানুসারে কবিতাকে নানা শ্রেণীতে শ্রেণীভুক্ত করে। এদের মধ্যে গীতিকবিতা একটি। প্রধানতমও বটে।
তরুণতম এইচ সোলাইমান-এর ছোট্ট এই 'কবিতার বই'য়ের নাতিদীর্ঘ অথচ প্রগাঢ় অনুভূতিদ্যোতক এই কবিতাগুলো গীতিকবিতারই গোত্রভুক্ত। লেখকের ব্যক্তি জীবনের প্রেম-অপ্রেম, প্রেমজাত বিচিত্র সব অনুভূতি বাণীরুপ নিয়ে মূর্তিমতি হয়েছে পদ্যবন্ধে। পূর্বানুরাগ, অনুরাগ, মিলন-বিরহ, প্রেমজাত আশা-নিরাশা, হতাশা, দোলাচল, ব্যর্থতাজাত নৈরাশ্য, হাহাকার সবকিছুই চলে এসেছে। কখনও পুরো কবিতা জুড়ে, কখনও বা কবিতার চরণানুষঙ্গে।
'আমার কবিতাগুলোর আজ
একটি মাত্র উদ্দেশ্য;'
[জীবন বৃত্ত]
কাব্য পাঠে উদ্দেশ্য পরিস্ফুট হয়। লেখক তাঁর কাঙ্ক্ষিত ও অন্বিষ্ট তুমিকে সন্ধান করছেন। এই তুমি আর কেউ নয়, তার