আল্লাহর দিকে আহবান / Call towards Allah swt.(Bengali)
5/5
()
About this ebook
এই বইটিতে নিন্মোক্ত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে
মানুষের কর্তব্য ॥ মু’মিনের কর্তব্য ॥ আল্লাহর দিকে আহবান ও নবীগণ ॥ নতুন আইয়ামে জাহিলিয়াত ॥ মুসলিম উম্মাহর কর্তব্য ॥ আহবান জ্ঞাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ ॥ আহবানকারীর বৈশিষ্ট ॥ আহবান জ্ঞাপনের ক্রমধারা ॥ ইসলাম-বিরোধী প্রভাবশালী গোষ্ঠী ॥ প্রভাবশালী গোষ্ঠীর প্রতি আহবান ॥ নিরক্ষরদের প্রতি আহবান ॥ আহবানকারীর ভাষণ ॥
অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমদ Prof. A K M Nazir Ahmed
Professor A.K.M Nazir Ahmad was born in Boalia village of Borura Upazilla under Comilla district in 1939. He obtained B.A (Hons) in English literature from Dhaka University in 1962 and M.A in 1963. He got involved with the Islamic movement in 1960. He was the Nayeb-e-Ameer of Jamaat-e-Islami since 2009. He was also a director of the Bangladesh Islamic Center. He wrote about 35 books on Islamic literature. Professor Nazir Ahmad visited many countries including USA, UK, Turkey, Malaysia, Singapore, Indonesia, Kingdom of Saudi Arabia and India. In his professional life, he worked as the professor of English Department in Comilla Victoria College and Comilla College.
Related categories
Reviews for আল্লাহর দিকে আহবান / Call towards Allah swt.(Bengali)
1 rating0 reviews
Book preview
আল্লাহর দিকে আহবান / Call towards Allah swt.(Bengali) - অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমদ Prof. A K M Nazir Ahmed
আল্লাহর
দিকে আহবান
এ কে এম নাজির আহমদ
প্রকাশনায়
আহসান পাবলিকেশন
www.ahsanpublication.com
প্রকাশকাল
একাদশ মুদ্রণ
মার্চ : ২০১৩
স্বত্ব সংরক্ষণ
লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
প্রচ্ছদ
মুবাশ্বির মজুমদার
কম্পোজ
ফরিদ উদ্দীন আহমদ
ISBN
978-984-8808-51-1
Epub Formatting &
International Distribution
DOTNPIX MEDIA LTD
www.dotnpix.com
গোড়ার কথা
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ইচ্ছা করলেন তিনি এক নতুন জীব সৃষ্টি করবেন যে হবে পৃথিবীতে তাঁর খালীফাহ বা প্রতিনিধি। আদমের (আ) সৃষ্টি আল্লাহর সেই ইচ্ছারই বাস্তবায়ন।
খালীফাহ তাঁকেই বলা হয় মালিকের অধীনতা স্বীকার করে যিনি মালিকের দেয়া ক্ষমতা-ইখতিয়ার প্রয়োগ করেন। খালীফাহ কখনো মালিক হতে পারেন না। মালিকের ইচ্ছানুযায়ী ক্ষমতা-ইখতিয়ার প্রয়োগ করাই হচ্ছে তাঁর কর্তব্য।
খালীফাহ রূপে নতুন এক সৃষ্টিকে পৃথিবীতে পাঠানো হবে, আল্লাহর এই সিদ্ধান্ত জানার পর ফিরিশতাদের মনে খটকা সৃষ্টি হয়। তারা বলে আপনি কি এমন জীব সৃষ্টি করবেন যে তাতে বিপর্যয় ঘটাবে এবং রক্তপাত করবে?
ফিরিশতাগণ এটা বুঝেছিলো যে এই নতুন জীবকে ক্ষমতা-ইখতিয়ার দেয়া হবে। তবে এটা তারা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলো না যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ যেখানে বিশ্বজাহানের শৃংখলা বিধান করছেন সেখানে তাঁর সৃষ্ট কোন জীব পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানকার শৃংখলা বিঘ্নিত না হয়ে পারে কিভাবে।
ফিরিশতাগণ আরো বলে, আমরাই তো আপনার প্রশংসামূলক তাসবীহ পাঠ এবং আপনার পবিত্রতা বর্ণনার কাজ করছি।
আল্লাহ্ ফিরিশতাদেরকে কোন ইখতিয়ার দেননি। আল্লাহর কোন নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করার ইচ্ছা বা ক্ষমতা তাদের নেই। তাদেরকে বিশ্বজাহানের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা তাদের উপর অর্পিত কাজ সঠিকভাবে করে চলছে। তাদের কাজের কোন ত্রুটিতে অসন্তুষ্ট হয়েই আল্লাহ্ নতুন সৃষ্টি করছেন কিনা, এটা ছিলো তাদের মনের দ্বিতীয় খটকা।
এই খটকা দূর করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ্ বলেন, নিশ্চয়ই আমি যা জানি তোমরা তা জান না।
এ কথার মাধ্যমে আল্লাহ্ ফিরিশতাদেরকে এটা বুঝালেন যে আদমের (আ) সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা অবশ্যই আছে। যেই উদ্দেশ্যে ফিরিশতাদের সৃষ্টি করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যে নয়, বরং ভিন্নতর উদ্দেশ্যে আদমকে (আ) সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কোন সৃষ্ট জীবকে ক্ষমতা-ইখতিয়ার দিলে সে যেখানে নিযুক্ত হবে সেখানে শৃংখলা বিনষ্ট না হয়ে পারে কি করে- এই খটকা দূর করার উদ্দেশ্যে