Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ / Sot Kaje Adesh O Osot Kaje Nished (Bengali)
সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ / Sot Kaje Adesh O Osot Kaje Nished (Bengali)
সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ / Sot Kaje Adesh O Osot Kaje Nished (Bengali)
Ebook206 pages1 hour

সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ / Sot Kaje Adesh O Osot Kaje Nished (Bengali)

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

বর্তমান সমাজে সৎকাজের পরিমাণ কিছুটা লক্ষণীয় হলেও অসৎকাজের প্রবণতা মারাত্মকভাবে বেড়ে চলছে, যার কুফল প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুর্নীতি, অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতায় ভরা সমাজ পঙ্কিলতায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সৎ ও ঈমানদার লোকদের পক্ষে এই সমাজে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ কঠোরভাবে যদি তা প্রতিরোধ না করেন, তাহলে পর্যায়ক্রমে অন্যায় ও অশ্লীলতার বন্যায় ভাল কাজটুকু ভেসে যেতে পারে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন “তোমরা যখন কোন অন্যায় কাজ সংঘটিত হতে দেখ, তখন তা শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিরোধ করো, তা সম্ভব না হলে যবান দ্বারা প্রতিরোধ করো, তাও সম্ভব না হলে অন্ততঃ মনে মনে ঘৃণা করো, এটা হলো ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।” (সহীহুল বুখারী-৯৫৬)
সুতরাং ঈমানের দাবি হচ্ছে, অসৎ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, অন্যথায় আল্লাহ তা‘আলার গযবে সকলকে নিপতিত হতে হবে এবং আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে কোন দোয়াও কবুল হবে না, সংকলক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন।

LanguageBengali
Release dateApr 23, 2015
ISBN9781310201134
সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ / Sot Kaje Adesh O Osot Kaje Nished (Bengali)

Related categories

Reviews for সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ / Sot Kaje Adesh O Osot Kaje Nished (Bengali)

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ / Sot Kaje Adesh O Osot Kaje Nished (Bengali) - ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল Engg. Mohammad Mostofa Kamal

    স্বাগত বক্তব্য

    বিসল্লাহির রাহমানির রাহীম

    আমি খুবই আনন্দিত যে, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়- সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ-এর উপর গভীর অধ্যয়ন করে আল কুরআন থেকে মূল্যবান আয়াতগুলো সংকলন করেছেন।

    জীবনের সকল ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

    বর্তমান সমাজে সৎকাজের পরিমাণ কিছুটা লক্ষণীয় হলেও অসৎকাজের প্রবণতা মারাত্মকভাবে বেড়ে চলছে, যার কুফল প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুর্নীতি, অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতায় ভরা সমাজ পঙ্কিলতায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সৎ ও ঈমানদার লোকদের পক্ষে এই সমাজে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

    সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ কঠোরভাবে যদি তা প্রতিরোধ না করেন, তাহলে পর্যায়ক্রমে অন্যায় ও অশ্লীলতার বন্যায় ভাল কাজটুকু ভেসে যেতে পারে।

    রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন: তোমরা যখন কোন অন্যায় কাজ সংঘটিত হতে দেখ, তখন তা শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিরোধ করো, তা সম্ভব না হলে যবান দ্বারা প্রতিরোধ করো, তাও সম্ভব না হলে অন্তত: মনে মনে ঘৃণা করো, এটা হলো ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর। (সহীহুল বুখারী-৯৫৬)

    সুতরাং ঈমানের দাবি হচ্ছে, অসৎ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, অন্যথায় আল্লাহ তা‘আলার গযবে সকলকে নিপতিত হতে হবে এবং আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে কোন দোয়াও কবুল হবে না, সংকলক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন।

    সমাজ থেকে অন্যায় দূর হলে এবং ন্যায়, সততা প্রতিষ্ঠা লাভ করলে তার এই সাধনা ও শ্রম সার্থক হবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে শেষ করছি।

    ওয়াস সালাম

    হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান

    প্রাক্তন মুহাদ্দিস

    তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে অগণিত শুকরিয়া যে, তিনি আমাদেরকে মনোনীত করেছেন তার দাস হিসেবে এবং দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন নবী করীম (সা.) এর উম্মত হিসেবে।

    আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা এ প্রসঙ্গে সূরা ফাতিরের ৩২ ও ৩৩ নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন:

    অত:পর আমি কিতাবের অধিকারী করেছি তাদেরকে, যাদেরকে আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে মনোনীত করেছি। তাদের কেউ কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেউ মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্র নির্দেশক্রমে কল্যাণের পথে এগিয়ে গেছে। এটাই মহাঅনুগ্রহ, তারা প্রবেশ করবে বসবাসের জান্নাতে

    আল্লাহ্ পাক পবিত্র কুরআনে সবচেয়ে বেশী দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সৎকর্ম বাস্তবায়নের জন্য। অসংখ্য মূল্যবান আয়াতগুলোর মাঝে নিন্মোক্ত আয়াত দুইটি ভূমিকাতে এসে যায়:

    সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৪৮ (আংশিক): তোমরা সৎকাজে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে যাও

    সূরা আলে-ইমরান, আয়াত ১০৪: ‘‘আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহ্বান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দিবে ভালো কাজের এবং অন্যায় কাজ করতে বারণ করবে, আর তারাই হল, সফলকাম।’’

    সৎকাজের প্রতিযোগিতায় সমাজ ও জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন নবী করীম (সা.)। ব্যক্তিগত চরিত্র গঠনে, পারিবারিক সম্পর্কের উন্নতিকল্পে এবং সর্বোপরি একটি সুন্দর ও সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সৎ কাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ পালনে নবী করীম (সা.) এর বলিষ্ঠ ভূমিকা যুগ যুগ ধরে কিয়ামত পর্যন্ত মাইলফলক হিসেবে চিহিৃত থাকবে। ‘‘আমর বিল মারুফ ওয়া নাহী আনিল মুনকার কুরআনের এই অমূল্য দিক নির্দেশনার বাস্তবায়নে সৎকাজে আদেশ দান ও সম্পাদন করাকে রাসূলুল্লাহ (সা.) সামাজিক আন্দোলনের শ্লোগান হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন, যাতে তার সাথী হিসেবে ছিলেন অসংখ্য ত্যাগী সাহাবায়ে কেরামগণ। তাই তো তাঁর বাণীতে এর প্রতিফলন ঘটে: নবী করীম (সা.) বলেন- তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজের নিষেধ করবে, তা না হলে শীঘ্র আল্লাহ তার পক্ষ থেকে আযাব পাঠাবেন এবং তোমরা তার কাছে দোয়া করবে, কিন্তু তা কবুল হবে না। (তিরমিযী-২১৬৯)

    যে ব্যক্তি হেদায়েত ও সৎকর্মের প্রতি আহ্বান জানায়, তার আহ্বানে যত লোক সৎকর্ম করবে, সে তাদের সবার সমান ছওয়াব পাবে, এতে তাদের ছওয়াব হ্রাস করা হবে না, পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অসৎকর্ম করে অথবা পাপের প্রতি আহ্বান করে, তার আহ্বানে যত লোক পাপকর্মে লিপ্ত হবে, তাদের সবার সমান গোনাহ তারও হবে, এতে তাদের গোনাহ হ্রাস করা হবে না। (মুসলিম-২৬৭৪, আবু দাউদ-৪৬১৯, তিরমিযী-২৬৭৪)

    পবিত্র কুরআনের ছোট্ট একটি সূরা কিন্তু অসম্ভব মূল্যবান অর্থ বহন করে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা সূরা আসরে ফরমান:

    ‘‘যুগের কসম, মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের ও সবরের তাকীদ করে’’ আল্লাহ্ পাক পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন আমাদের কি কি করণীয়: শুধু ঈমানদার হলেই হবে না, সাথে সাথে সৎকর্ম করতে হবে এবং সৎপথের দাওয়াত দিতে হবে। ঈমান আনয়ন ও সৎকর্ম বাস্তবায়ন একটি অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত তাই সৎকর্ম সম্পাদনের পূর্বশর্ত হিসেবে ঈমানদার হওয়া বাঞ্ছনীয়।

    আমাদের সমাজে ভাল মানুষ নামে আখ্যায়িত কিছু বুদ্ধিজীবীরা সময়ে অসময়ে জাতিকে অনেক দিক নির্দেশনা দেয়, প্রকৃতপক্ষে ঈমানের ধারে কাছেও তারা নেই। আবার এর বিপরীতে আমাদের মাঝে অনেকে নামায পড়ে, রোযা রেখে নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করি কিন্তু কোন সামাজিক অশ্লীলতার প্রতিবাদ করি না কিংবা কাকেও সৎকাজে উৎসাহিত করি না।

    প্রতিটি সৎকর্ম গ্রহণ হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে তা হতে হবে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য ও রাসূলে আকরাম (সা:) এর তরীকা মোতাবেক।

    বার বার আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সতর্ক করেছেন সৎকর্ম সম্পর্কিত মূল্যবান আয়াতগুলোর মাধ্যমে যা অবশ্যই আমাদের জানা দরকার। পবিত্র কালামুল্লাহ্র অমূল্য আয়াতগুলোর অনুবাদের সংকলনে অনিচ্ছাকৃত কিংবা মুদ্রণজনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে পাঠকগণের নিকট বিনীত অনুরোধ আমাকে অবগত করবেন। ইনশাআল্লাহ্ পরবর্তী সংস্করণে শুধরে নিবো।

    পরিশেষে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা, আল্লাহ্ যেন আমাদেরকে সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ পালনে কঠোর ও অনমনীয় হওয়ার তাওফিক দেন যা আমাদের ব্যক্তিগত চরিত্র সংশোধন ও সুস্থ সমাজ গঠনে সহায়ক হয় এবং তাঁর অসীম দয়া ও রহমতের বিনিময়ে আমাদের যেন জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা মিলে।

    এই কামনায়

    মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল

    চীফ ইঞ্জিনিয়ার (মেরীন)

    ই-মেইল: mdmostofakamal@yahoo.com

    মোবাইল: ০১৯১৮৯৯২২৯৮

    সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ

    সূরা আল বাক্বারাহ

    (আয়াত-৮ ও ৯): আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ্ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি, অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়। তারা আল্লাহ্ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না

    (আয়াত-১৪ ও ১৫): আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি, আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্র, বরং আল্লাহ্ই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে।

    (আয়াত-২১): ‘‘হে মানবসমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর যিনি তোমাদিগকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে সৃষ্টি করেছেন, তাতে আশা করা যায় তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারবে।’’

    (আয়াত-২৫): "আর হে নবী (সা:), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1