Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

দেশবিদেশের আরও উপকথা
দেশবিদেশের আরও উপকথা
দেশবিদেশের আরও উপকথা
Ebook134 pages56 minutes

দেশবিদেশের আরও উপকথা

Rating: 5 out of 5 stars

5/5

()

Read preview

About this ebook

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেওয়া ২৩টি লোককথার সংগ্রহ। বাংলা ভাষায় লেখা গল্পগুলির মধ্যে আছে, কি ভাবে নাপিত ভুতের কাছ থেকে মোহর আদায় করল, কি ভাবে মোরগ তাঁর মালিককে বড়লোক করে দিল। কিভাবে হাঁস তার পাওনা টাকা রাজার কাছ থেকে উদ্ধার করল, সাগরের জল কেন নোনা হল, মোমের কূমীর কি ভাবে শাস্তি পেল। কিভাবে কুয়াশার দৃষ্টি হল, বিড়াল আর ইদুরের বিয়ে কি ভাবে ভেঙ্গে গেল,খরগোশের ঠোঁট কেন চেড়া থাকে। এই রকম আরও অনেকগল্প।
The book contains 23 stories in Bengali Language. Stories are folktales from different parts of World. These folktales can be considered as fables to teach the surrounding of the society,

LanguageEnglish
Release dateMay 27, 2015
ISBN9781310078675
দেশবিদেশের আরও উপকথা
Author

Dilip Kr. Bandyopadhyay

Retired from service since last 20 years. Writes in Bengali mostly in rhyming poems. Interested in travel. Happily married.

Related to দেশবিদেশের আরও উপকথা

Related ebooks

Fantasy For You

View More

Related articles

Reviews for দেশবিদেশের আরও উপকথা

Rating: 5 out of 5 stars
5/5

1 rating0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    দেশবিদেশের আরও উপকথা - Dilip Kr. Bandyopadhyay

    দেশবিদেশের

    আরও

    উপকথা

    স্পাইসিদিলীপ সঙ্কলিত

    শ্ম্যাশওয়ার্ড ডট কম থেকে লেখক দ্বারা প্রকাশিত

    লেখক দ্বারা সর্বসত্ব সংরক্ষিত

    মে ২০১৫

    মুখবন্ধ

    আমার আগের লেখা উপকথার বইটা লেখার সময় আমার পাঠকবর্গের কাছ থেকে কিছুটা উৎসাহ পেয়েছিলাম যে তারা আরও কিছু উপকথা পড়তে চান। আমার এই প্রচেষ্টা তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য। কতটা সক্ষম হলাম তা ঠিক বলতে পারবে না কেননা তাঁর বিচার পাঠকদের কাছে। তবে তারা যদি দয়া করে আমাকে কিছু উপদেশ বা প্রয়োজনে বকুনীও দেন তবে কিন্তু আমার উৎসাহ আরও বেড়ে যাবে। আমার মেল আই ডি হলঃ Dilip.k@aol.com

    সূচীপত্র

    ১) ব্রহ্মদত্যির কথা (ভারত)

    ২) চালাক কাঠুরে বউ (পাকিস্তান)

    ৩) শাকচুন্নী বউ (বাংলাদেশ)

    ৪) মইঞ্চা আর দানবের কথা (নেপাল)

    ৫) বাঁদর আর নেকড়ের গল্প (ভুটান)

    ৬) উলা আর গালার কথা (অষ্ট্রেলিয়া)

    ৭) নিউজীল্যান্ডের সৃষ্টি ( নিউজিল্যান্ড=মাওরি)

    ৮) বুকী আর ম্যালিসের কথা (হাইতি)

    ৯) গোঁয়ার রাজকন্যের গল্প (পুয়ের্টোরিকো)

    ১০)খরগোশ আর নেকড়ে ( মেক্সিকো-মায়া)

    ১১)কুয়াষার সৃষ্টি (গ্রীনল্যান্ড-এস্কিমো)

    ১২)দুষ্টু দাসী (তুরস্ক)

    ১৩)দুটো আধুলির সাথে ব্যাগটা (রুমানিয়া)

    ১৪)প্যাঁক প্যাঁক (ফ্রান্স)

    ১৫)ইদুর আর বেড়ালের বিয়ে (ইথিয়োপিয়া)

    ১৬)মোমের কূমীর (মিশর)

    ১৭)লিমাউইগের কথা (ফিলিপাইনস)

    ১৮)সাগরের জল কেন নোনা (কোরিয়া)

    ১৯)গুটিপোকার দেবী (চীন)

    ২০)সোনার শশা (ইন্দোনেশিয়া)

    ২১)খরগোশের ঠোঁট কি ভাবে চেরা হল (তিব্বত)

    ২২)চুল্লীতে ছাই না মোহর (আফগানিস্তান)

    ২৩)ভীতু ভুত আর নাপিত (ভারত)

    ২৪) লেখকের অন্যান্য বই

    ব্রহ্মদত্যির কথা

    (ভারতের উপকথা)

    এক সময়ে এক খুব গরীব ব্রাহ্মন ছিল যার কথা আমি তোমাদের বলছি। কুলীন ব্রাহ্মণ না হবার জন্য তার রোজগার খুব একটা ছিল না, আর সেই জন্য তার অনেক দুঃখকষ্ট ছিল। বিয়ে করবার ইচ্ছে ছিল তার আর সেই জন্য সে যত পয়সাওয়ালা লোক ধারেকাছে ছিল তাঁদের কাছে গিয়ে কিছু টাকা চাইত, যাতে সে পণ দিয়ে একটা বউ পেতে পারে। অবশ্যই এর সাথে বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার খরচও ছিল, যেটা মিলিয়ে অনেক টাকা হয়ে যাচ্ছিল। অনেক এদিক ওদিকে চককর লাগানোর পরে, তার টাকা তো জোগাড় হয়ে গেল, আর বিয়েটা হয়েও গেল শেষ পর্যন্ত।

    বিয়ের পরে বউকে নিয়ে সে এল তার বাড়িতে। বাড়ীতে ছিল তার মা। কিছুদিন বাদে, যখন হাতের পয়সা গেল ফুরিয়ে, তখন সে মাকে বলে, দেখ মাআমার কাছে তো আর পয়সা নেই, তাই তোমাদের দুজনের খরচ চালানর জন্য আমাকে বাইরে মানে বিদেশে কাজের জন্য যেতে হবে। আর আমার ফিরতে যখন কয়েক বছর লেগে যেতে পারে, তখন আমার কাছে যা পয়সাকড়ি আছে সেগুলো তোমাকে দিচ্ছি। তুমি তাই দিয়ে চালাও, আর আমার বউটার দিকে একটু খেয়াল রেখ। এই বলে সে তো মাকে প্রণাম করে বিদেশে যাবার জন্য রওয়ানা দিল।

    সেই গাঁয়ে ছিল এক ব্রহ্মদত্যি। সন্ধ্যে বেলায় সে একেবারে সেই ব্রাহ্মনের চেহারা ধরে এসে ব্রাহ্মণের ঘরে হাজির। বউ তো তাঁকে দেখে অবাক। জিজ্ঞাসা করে, কি গো, এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলে যে। এদিকে বলে গেলে, অনেক দিন বাদেই আসতে পারবে। ব্রহ্মদত্যি বলে, না, আজকের দিনটা অশুভ আছে, তাই আজকে আর বের হব না। আর কিছু টাকা এখান থেকেই রোজগার হয়ে গেছে। কদিন বাদে বার হলেও হবে। বুড়ি মাও কিছু সন্দেহ করতে পারলনা বলে তাঁকে আর কিছু জিজ্ঞেস করল না।

    ওদিকে ব্রহ্মদত্যি একেবারে সেই ব্রাহ্মণের চেহারা ধরেছে বলে, কেউ আর কিছু সন্দেহ করতে পারছে না। কিছুদিন বাদে সেই ব্রাহ্মণ তার ঘরে ফেরত এল। এবার হল মজা। ঐ ব্রহ্মদত্যি ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞেস করে, তুই কে রে? আমার বাড়ীতে কি করতে এসেছিস। ব্রাহ্মণ তো অবাক, এটা আবার কে। আর কি সব উল্টোপাল্টা জিজ্ঞেস করছে। সে বলে উঠল, আমি কে জিজ্ঞেস করছিস? আগে বল তুই কে? আমার বাড়ীতে ঢুকেছিস। এটা আমার মা, এটা আমার বউ। যা ভাগ এখান থেকে

    ব্রহ্মদত্যি ক্ষেপে গিয়ে বলে, পাগল না, পেট খারাপ। পাড়াশুদ্ধ সবাই জানে, এ হচ্ছে আমার মা, আর এ আমার বউ। যা ভাগ এখান থেকে।এই বলে তো ব্রাহ্মণকে তো ভাগিয়েই দিল। ব্রাহ্মণ গেল রাজার কাছে নালিশ জানাতে। রাজামশাই কি করে। দুজনকেই ডেকে পাঠালেন। কিন্তু এক সাথে দুজনকে দেখে এক্কেবারে চমকে গেলেন। এরা যে একে আর একজনের এক্কেবারে কপি। কোথাও কত তফাৎ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কি করা যায়।

    রাজামশাই কিছু না ভেবে পেয়ে চিন্তা করে দেখবেন এই স্থির করে ব্রাহ্মণকে পরে আসতে বললেন। কিন্তু পরে এসেও লাভ কিছু হল না? ব্রাহ্মণ একবার করে আসে, আর রাজামশাইয়ের কাছ থেকে আবার পরে আসার কথা শোনে, আর কাঁদতে কাঁদতে ফেরত যায়। "কি ভাগ্য আমার, আর কি

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1