Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

দেশ বিদেশের রূপকথা
দেশ বিদেশের রূপকথা
দেশ বিদেশের রূপকথা
Ebook221 pages1 hour

দেশ বিদেশের রূপকথা

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

a collection of sixteen fairy tales from different countries, written in Bengali language and script. They are from American countries like, Brazil, Mexico, Red Indians, from countries of Europe. like, Sweden, Lithuania. Poland. Yugoslavia, Asian countries like Japan. Iran, and after all from India also. ১৬টি পুরাতন রুপকথার সংকলন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেওয়া। সংকলনে আছে দুষ্টু পরীর দুষ্টুমীর কথা, খোঁড়া শেয়ালের উপকারের গল্প; সাত রাণীর ছেলে যে তাঁর মায়েদের চোখ এনে দিয়েছিল আর ন্যাড়া পাহাড়ের ডানাওয়ালা রাজকন্যার গল্প,তেমনি আছে দানবের প্রতিহিংসার কথা, আর রশোমন গেটের রাক্ষসের সাথে যুদ্ধের কথা। এমনি সব ষোলটি গল্পের সংকলন

LanguageBengali
Release dateJun 7, 2015
ISBN9781310802287
দেশ বিদেশের রূপকথা
Author

Dilip Kr. Bandyopadhyay

Retired from service since last 20 years. Writes in Bengali mostly in rhyming poems. Interested in travel. Happily married.

Reviews for দেশ বিদেশের রূপকথা

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    দেশ বিদেশের রূপকথা - Dilip Kr. Bandyopadhyay

    ছোট্ট বেলার সেই হারানো দিনগুলোর কথা অনেকেরই মনে যখন আসে, তখন তাঁর সাথে মনে চলে আসে সেই ঠাকুমা, দিদিমার সামনে বসে তাঁর কাছ থেকে রাজপুত্ররাজকন্যে, দৈত্য দানো আর জন্তু জানোয়ারের কত সব গল্প। আজকের ছোট ছোট সংসারে আর আমাদের কাছে সেই ঠাকুমা দিদিমারা নেই। তাই গল্প বলার কেউ নেই।

    কিন্তু গল্পেরা তো হারিয়ে যায়নি। নানা দেশের ছেলেমেয়েরা সে সব গল্প শুনছে আর সময় পেলে বড় হয়ে তাঁদের ছেলেমেয়েদের বলছে। আমার এই সংকলনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের কিছু রূপকথার অনুবাদ একসাথে করে এনেছি। পাঠকের ভাল লাগলেই আমার তৃপ্তি।

    পাঠকের যদি কিছু বক্তব্য থাকে, তবে আমার মেল আই ডি তে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার মেল আইডি হল dilip.k@aol.com

    সুচীপত্র

    ১) চুনীর জন্মকথা (বাংলা রূপকথা)

    ২) নীল দাড়ি (ফরাসী রূপকথা)

    ৩) দানো (রুশী রূপকথা)

    ৪) ছাই কুড়ুনী (মেক্সিকান রূপকথা)

    ৫) কেন বাঘের গায়ে ডোরাকাটা দাগ হল (ব্রাজিলের রূপকথা)

    ৬) কা-বিব-য়ন-ওক্কা আর শিঙ্গেবিস (রেড ইন্ডিয়ানদের রূপকথা)

    ৭) এক দুষ্টু পরীর অভিযান -- প্রথম অভিযান ( মেক্সিকোর রূপকথা)

    ৮) এক দুষ্টু পরীর অভিযান -- দ্বিতীয় অভিযান ( মেক্সিকোর রূপকথা)

    ৯) সুবর্ণ রাণীর পাহাড় (সুইডেনের রূপকথা)

    ১০) তিন রাজকুমার আর তাঁদের নেকড়েছানা (লিথুয়ানিয়ার রূপকথা)

    ১১) ন্যাড়া পাহাড়ের রাজকন্যা (পোলিশ রূপকথা)

    ১২) ইঁদুর আর বেড়ালের কাহিনী (ইরাণের রূপকথা)

    ১৩) খোঁড়া শেয়াল আর জাঙ্কো (যুগোস্লাভিয়ার রূপকথা)

    ১৪) রাজকন্যে আর কুমার (ভারত -সাঁওতালী রূপকথা)

    ১৫) রশোমনের রাক্ষস (জাপানী রূপকথা)

    ১৬) সাত রানীর ছেলে (ভারতের রূপকথা)

    লেখকের অন্যান্য বইয়ের সূচী

    চুনীর জন্মকথা

    (ভারত-বাংলা রূপকথা)

    কোন এক সময়ে এক রাজা যখন মারা যান তখন তার চার ছেলে আর রাণী বেঁচে ছিলেন।। রাণীমার কিন্তু এই চার ছেলের মধ্যে ছোট ছেলেকে বেশী ভালবাসতেন। তাই সমস্ত ভাল ভাল জিনিষ, খাবার, সব কিছুই তার জন্য রাণীমা ঠিক করে রাখতেন আর দিয়ে দিতেন।

    অন্য ভাইয়েরা কিন্তু রানীমার এই একচোখোমী পছন্দ করত না, আর সেই জন্য তারা আলাদা থাকতে শুরু করে দিল। আর ছোট রাজকুমারও প্রশ্রয় পেয়ে, মানে আদর পেয়ে পেয়ে, যাকে বলে বাঁদর হয়ে উঠেছিল। নিজে যা ভাল মনে করত তাই সে করত, কারুর কথা, এমন কি মারও কথা শুনত না।

    একদিন সে গেছে নদীতে স্নান করবে বলে। দেখতে পেল ঘাটে একটা নৌকো বাঁধা আছে। আর তাতে কোন মাঝি নেই। বাস আর কি চাই। সোজা গিয়ে ঐ নৌকোতে উঠে বসে পড়ল। রাণীমার কাছে খবর গেল যে ছোট রাজকুমার একটা নৌকোতে উঠে বসেছেন। রাণীমা দৌড়তে দৌড়তে এসে হাজির। এসে তাঁকে নেমে আসতে বললেন। কিন্তু রাজকুমার কি শোনবার পাত্র। সে বলে, আমি বিদেশে যাচ্ছি। তুমি যদি যাবে তো এক্ষুনি আমার সাথে নৌকোতে চলে এস, আমি এই রওয়ানা হলাম বলে

    রাণিমা তো তাঁকে বারবার বললেন নেমে আসতে, কিন্তু ছোট রাজকুমার কথা না শুনে নৌকোর বাঁধন খুলতে শুরু করে দিল। রাণিমা দৌড়ে গিয়ে নৌকোতে উঠলেন, যাতে রাজকুমারকে ধরে নামিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু সেই সময় বাঁধনটাও পূরো খুলে গেল আর রাণিমাকেও সাথে নিয়ে নৌকো স্রোতের মুখে পড়ে চলতে শুরু করে দিল।

    নৌকো চলতে চলতে গিয়ে পৌঁছে গেল সমুদ্রে। আর তার পরেও সমূদ্রের ভেতরে বেশ কিছু দূর যাবার পরে রাজকুমার সামনে দেখে একটা ঘুর্ণী, অনেকটা জায়গা জুড়ে সমূদ্রের জল ঘুরপাক খাচ্ছে আর নীচের দিকে নেমে যাচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে বড় বড় কিছু চুনী পাথর ভেসে বেড়াচ্ছে।

    বড় বড় বললে ভুল হবে, সেগুলো ছিল পেল্লায় মাপের। এত বড় চুনী সহজে দেখাই যায় না। এক একটার দাম দিয়ে সাত সাতটা রাজার রাজত্ব কেনা যাবে। এত দামী সেগুলো। রাজকুমার তার পছন্দ মতন মাপের গোটা কয়েক চুনীকে তুলে তার নৌকোতে নিয়ে নিলেন।

    রাণীমা বলেন, বেটা ওগুলো নিস না রে। হয়তো কেউ জাহাজডুবী হয়ে পড়েছে আর এই গুলো তারই সম্পত্তি হবে। অন্যের জিনিষ তাঁকে না বলে নিলে সেটাত চুরিই হবে। বার বার রাণীমার এই রকম কথায়, শেষ পর্যন্ত রাজকুমার তো চুনীগুলোকে ফেলে দিল। না সবগুলোকে ফেলে নি, একটা চুনী সে তার পকেটে রেখে দিয়েছিল।

    এদিকে নৌকো ভাসতে ভাসতে গিয়ে পৌছাল এক বন্দরে। রাজকুমার আর রাণীমা তো নেমে পড়লেন। এটা একটা ছোটখাট বন্দর ছিল না। বিরাট শহর আর বিরাট তার বন্দর। সেখানকার রাজা মশাইও খুব নামী লোক।

    রানীমা আর তার ছেলে দুজনে মিলে ঐ রাজামশাইয়ের প্রাসাদের অল্প দূরেই এক কুঁড়ে ঘর বানিয়ে থাকতে লাগল। এদিকে ছোট রাজকুমারের বয়স তো আর খুব বেশী নয়। তার খুব গুলি খেলার সখ। আর রাজামশাইয়ের ছেলেরাও বাগানে গুলি খেলতে আসে। রাজকুমার চলে গেল সেখানে, আর গিয়ে সবাই মিলে গুলি খেলতে সুরু করে দিল।

    কিন্তু রাজকুমারের কাছে তো আর খেলবার জন্য আলাদা করে গুলি নেই। কি করে? তার পকেটে যে চুনি পাথরটা আছে সেটাকেই গুলি বানিয়ে খেলতে সুরু করে দিল। কিন্তু চুনীটা তা এত শক্ত, কোন গুলির সাথে তার টক্কর লাগলেই আর অন্য গুলিটা ভেঙে যায়।

    প্রাসাদের জানলা থেকে সেটা কিন্তু রাজকন্যার নজরে এসে গেল। কত্ত বড় চকচকে লাল একটা পাথরের গুলি। বাস, বায়না শুরু হয়ে গেল, ওটা তার চাই। রাজামশাইয়ের কাছে খবর গেল, রাজকুমারী ঐ গুলিটা না পেলে আর কিছু খাবেন না।

    ভীষন ব্যপার। রাজকন্যে অনশনে বসেছেন। রাজা মশাই তো ভেবেই কি ভাবে কি করবেন। যাকগে ঐ লাল গুলিটার ব্যপার তো। পেয়াদা পাঠিয়ে রাজকুমারকে তার লাল গুলিশুদ্ধ প্রাসাদে নিয়ে আসা হল।

    রাজামশাই রাজকুমারের কাছ চুনীটাকে দেখে তো অবাক। এত বড় চুনী তো তিনি দেখেন নি আগে। ছেলেটার কাছে এটা এল কি ভাবে, আর তা ছাড়া এটাত খুব দামি অথচ সেটা দিয়ে ছেলেটা গুলি খেলছে। জিজ্ঞেস করলেন এটাকে বেচে দিতে কত টাকা রাজকুমার নেবে।

    রাজকুমার তো ওটার দাম জানে না। আর সেটাকে সমুদ্র থেকে কুড়িয়ে পেয়েছে তাই বলে দিল, এই হাজার টাকার মতন। রাজামশাই তো তক্ষুণি টাকা দিয়ে চুনীটাকে নিয়ে নিলেন। আর রাজকুমার টাকা নিয়ে ফিরে গিয়ে তার মা কে টাকাটা দিয়ে দিল।

    এদিকে রাজকুমারী চুনীটাকে পেয়ে তো খুব খূসী। সেটাকে তার খোঁপাতে লাগিয়ে , তার পোষা ময়না পাখীকে জিজ্ঞেস করে, আমাকে কেমন দেখাচ্ছে বলত, ময়না? ময়না বলে, একদম বাজে। খালি একটা লাগানতে মোটেই ভাল দেখাচ্ছে না। খোঁপার অন্য দিকে আরও একটা লাগালে দেখতে অনেক ভাল দেখাবে

    বাস, রাজকন্যে চলে গেল তার গোঁসা ঘরে। দরজাতে খিল আর পণ ধরে বসলেন তার বাবার কাছে। আরও একটা এই রকম চুণী তার চাই। না এনে দিলে পরে রাজকন্যে নিজেই নিজের প্রাণ নিয়ে নেবেন।

    রাজামশাই কি আর করেন। কোথা থেকে এই রকম আর একটা চুনী পাওয়া যায়। ডেকে পাঠালেন সেই রাজকুমারকে। আর জিজ্ঞেস করলেন, ওহে ছোকরা, তোমার কাছে কি আরও একটা এই রকম পাথর আছে। আমার যে আর একটা চাই

    রাজকুমার বলে, না আমার কাছে তো আর নেই। এই একটাই নিয়েছিলাম, আর সেটা আপনাকে দিয়ে দিয়েছি। তবে এগুলো কোথায় পাওয়া যায় আমি জানি। আপনি যদি চান, তবে আমি গিয়ে এনে দিতে পারি

    রাজামশাই তো খুব খুশী। বলেন, তা তুমি যদি এনে দিতে পার তবে তোমাকে অনেক পুরস্কার দেব। রাজকুমার ঘরে ফিরে গিয়ে মাকে বলে আবার সে সমুদ্রে যাবে ঐ চুনী আনতে। রানীমা বলেন, সেটাত অনেক দূরে, আর ওখানে অনেক বিপদ আছে। যাস না। কিছু রাজকুমার নাছোড়বান্দা।

    চলল রাজকুমার তার সেই নৌকোতে করে সেই ঘুর্ণির দিকে। আবার দেখে যে বড় বড় চুনী জলে ভাসছে। এবার কিন্তু আর সে ঐ গুলোর দিকে নজর দিল না। তার মনে হল নিশ্চয় নীচে কোথাও অনেক চুনী আছে, সেখানে গেলে পছন্দ মতন অনেক চুনী নিয়ে আসা যাবে।

    ভাল করে নৌকোর থেকে নজর করে দেখতে পেল যে নীচে জল যেখানে যাচ্ছে সেখান একটা বিরাট প্রাসাদ আছে। বাস ওখানেই তাহলে চুনী পাওয়া যাবে। নৌকোটাকে ঘুর্ণির বাইরে রেখে রাজকুমার লাফ মারল ঘুর্নীর মধ্যে আর চলে গেল একেবার নীচে।

    প্রাসাদে ঢুকে দেখে একটা ঘরে শিব ধ্যনে বসে আছেন, চোখ দুটো তার বন্ধ। আর ঠিক শিবের মাথার উপরেই একটা তাকে একজন খুব সুন্দরী দেখতে মেয়ে শুয়ে আছে। ভাল করে দেখে সে চমকে উঠল। কেন না মেয়েটার গলাটা যে কাটা আর তার থেকে রক্ত বেড়িয়ে শিবের জটার উপরে এসে পড়ছে।

    আর যেই ফোঁটা ফোঁটা রক্ত এসে জটার উপরে পড়ছে সেগুলো একটা করে চুনী পাথর তৈরী হয়ে যাচ্ছে। আরও দেখতে পেল যে মেয়েটার পাশে দুটো কাঠি রাখা আছে। একটা সোনার আর একটা রুপোর কাঠি। কাঠি দুটোকে হাতে নিয়ে ভাবছে এটা কি ব্যপার। এমন সময় তার হাত থেকে সোনার কাঠিটা হঠাত মেয়েটার গায়ে পড়ে গেল।

    আর কি। অমনি সেই কাটা মুন্ডুটাও মেয়েটার শরীরের সাথে লেগে গেল। মেয়েটা বেঁচে উঠল। উঠেই মেয়েটা দেখে একজন মানুষ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষটা হচ্ছে আমাদের রাজকুমার। চমকে গিয়ে মেয়ে জিজ্ঞেস করে, তুমি কে?

    রাজকুমার তাঁকে সব কথা বলে আর তখন মেয়েটা বলে যে শিগগীর এখান থেকে পালাতে। কেননা শিব জেগে উঠলে পরে তার দিকে তাকিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে ছাই করে দেবে।

    কিন্তু রাজকুমারের তো ঐ মেয়েটিকে খুব পছন্দ হয়ে গেছে। বলে পালাতে হলে তারা দুজনেই এখান থেকে পালাবে। চটপট তারা যতটা পারে চুনী গুলো এক জায়গাতে করে এসে উঠল নৌকোতে। আর তার পরে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে এল তার মার কাছে।

    রানীমা তো সেই মেয়েটিকে দেখে খুসী হয়ে গেলেন। ঠিক করে ফেললেন তাহলে ছোট রাজকুমারের সাথে ঐ মেয়েটার বিয়ে দিয়ে দেওয়া যাক। হয়ে গেল বিয়ে খুব বাদ্যি বাজা বাজিয়ে, পটকা ফাটিয়ে।

    বিয়ের পরে

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1