Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প
গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প
গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প
Ebook123 pages53 minutes

গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

এই গল্পসংগ্রহে তিনটে গল্প আছে। প্রথম গল্প ছোটোদের জন্য, দ্বিতীয় গল্প ট্র্যাজিক প্রেমের গল্প এবং তৃতীয় গল্প এক উদভ্রান্ত যুবকের জীবনের ঘটনাবহুল কয়েকটা দিনের কাহিনী

LanguageBengali
Release dateSep 18, 2016
ISBN9781370522170
গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প
Author

Ratan Lal Basu

ADDRESS: KOLKATAPh. D. in EconomicsProfession: Retired from 1st January, 2009 from the post of Reader in Economics and Teacher-in-Charge, Bhairab Ganguly College, Kolkata, India

Read more from Ratan Lal Basu

Related authors

Related to গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প

Reviews for গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প - Ratan Lal Basu

    গণেশ ঠাকুরের ভক্ত ও অন্যান্য গল্প

    Ratan Lal Basu

    Copyright 2016 Ratan Lal Basu

    Smashwords Edition

    Smashwords Edition, License Notes

    Thank you for downloading this free ebook. Although this is a free book, it remains the copyrighted property of the author, and may not be reproduced, copied and distributed for commercial or non- commercial purposes. If you have enjoyed this book, please encourage your friends to download their own copy at Smashwords.com, where they can also discover other works by this author. Thank you for your support.

    সূচিপত্র

    গণেশ ঠাকুরের ভক্ত

    বিনিদ্র

    নির্মলের কয়েকটা দিন

    লেখক পরিচিতি

    গণেশ ঠাকুরের ভক্ত

    গণেশ ঠাকুর হঠাৎ কেমন চুপচাপ আর গম্ভীর হয়ে পড়েছেন। মা পার্বতীর কথার উত্তর কোনো রকমে দু একটা কথায় সেরে দিচ্ছেন। দেবী চিন্তিত হয়ে কথাটা শিব ঠাকুরকে বলতে গেলেন। কিন্তু গিয়ে দেখেন স্বামী আবার গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে পড়েছেন। কেজানে তাঁর ধ্যান কখন ভাঙবে? তাঁকে নিয়ে এই হল মুশকিল। যখন তখন ধ্যানে ডুবে যান। এই অবস্থায় ধ্যানে বিঘ্ন ঘটালে প্রচণ্ড রাগে তিনি যে কি করে বসবেন তার কোনো ঠিক নেই।

    অগত্যা দেবী বাধ্য হয়ে কার্তিক, সরস্বতী আর লক্ষ্মীকে ডেকে পাঠালেন। ওঁরা তিনজনও বললেন যে ওঁরাও গণেশের এই আকস্মিক পরিবর্তন দেখে অবাক হয়েছেন। মাত্র কয়েকদিন আগেই কত হাসিখুশি ছিলেন। হঠাৎ কি এমন হল যে তিনি ঘরবন্দি হয়ে একদম চুপ মেরে গেলেন? চুপচাপ বসে সারাক্ষণ আনমনে কি যেন ভাবেন, চোখেমুখে গভীর বিষণ্ণতা। তাঁর সাথে কেউ কি কোনো খারাপ ব্যবহার করেছে? তাঁর তিন স্ত্রী বুদ্ধি, সিদ্ধি আর ঋদ্ধি কে প্রশ্ন করতেই তাঁরা কেঁদে ফেললেন। এতদিন জোর করে কান্না চেপে ছিলেন। পার্বতী তাঁদের সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, তোমরা ভেবোনা। আমরা সবাইতো চেষ্টা করছি। আর আমরা বিফল হলে বৈকুণ্ঠে বিষ্ণুতো আছেনই। তাঁর কাছে তো সব সমস্যারই সমাধান আছে। তিনি শিবের মতই ত্রিকালদর্শী আর জটিল সমস্যার সমাধানে তাঁরতো জুড়ি নেই। স্বয়ং শিবও সমস্যায় পড়লে বিষ্ণুর কাছে ছুটে যান

    লক্ষ্মীদেবী তাড়াতাড়ি বলে উঠলেল, মা এখনি চলনা

    পার্বতী হেসে বললেন, আগে আমরা নিজেরা চেষ্টা করে দেখি। না পারলে তবেই বিষ্ণুকে বিরক্ত করব। লক্ষ্মী, বাপের বাড়ি বহুদিন থেকে স্বামীর জন্য মন কেমন করছে, বুঝতে পারছি। একটু সবুর করো মা, হয়ত তাঁর কাছে যেতেই হবে। আর আমরা নিজেরা সমস্যার সমাধান করতে পারলে তারপর তোমাকে এমনি বৈকুণ্ঠে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেব

    সবাই সজোরে হেসে উঠতেই লক্ষ্মীদেবী লজ্জায় মুখ নত করলেন। হাসির জোয়ার গুরুগম্ভীর গুমোট পরিবেশকে কিছুটা হাল্কা করে দিল।

    পার্বতী বললেন, আমি একটু ধ্যান করে দেখি কোনো শক্তিশালী অসুর গণেশকে অসুবিধায় ফেলেছে কিনা

    দেবী ধ্যানে বসেছেন তো বসেছেন। সবাই অধীর হয়ে প্রতীক্ষা করছেন কখন দেবীর ধ্যান ভাঙে আর তিনি কি দুঃসংবাদ নিয়ে আসেন। এদিকে লক্ষ্মীদেবীর আর বসে থাকা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে এক বড় ব্যবসায়ী পূজো দিয়েছে ঘটা করে। নানারকম মিষ্টদ্রব্য থালায় সাজানো। পূজো সেরে সব চলে গেছে। এই বেলা চুপিসাড়ে গিয়ে ভালোভালো সব খাওয়ারগুলো খেয়ে আসতে হবে। তাই লক্ষ্মীদেবী টুক করে একফাঁকে বেরিয়ে পৃথিবী থেকে প্রসাদ খেয়ে এলেন। ফিরে এসে দেখেন কার্তিক চোখবুঁজে বসে মাথায় হাত বুলোচ্ছেন আর সরস্বতী হাঁসসহ কোথায় বেরিয়ে গেছেন, হয়ত কোনো ভক্তর পরীক্ষার পড়ায় সাহায্য করতে।

    এদিকে পার্বতীদেবী এখনো ধানে মগ্ন। কিছুক্ষণ বাদে সরস্বতী ফিরে এলেন। লক্ষ্মীর কানে কানে বললেন, মহা ঝামেলা। ছেলেমেয়েগুলো পড়াশুনা করবেনা। সারাদিন আড্ডা মারবে, একটা যন্ত্র নিয়ে শুধু কথা বলে যাবে আর কি সব নির্বোধের খেলা খেলবে হিসাবযন্ত্রে। আর পরীক্ষা সামনে এলেই, ‘মা সরস্বতী বাঁচাও’। আমি বাঁচাব কি করে বল?

    লক্ষ্মী বললেন, ঠিকই বলেছিস। আমারও একই ঝামেলা। সবাইকে ঠকিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামাচ্ছে, তবু আমার নাম করে বলবে, ‘মা লক্ষ্মী এই দাও ওই দাও’

    অবশেষে দেবীর ধ্যান ভাঙলো। চোখ মেলে চাইলেন পার্বতীদেবী। তীব্র উৎকণ্ঠা নিয়ে সবাই উৎসুক হয়ে রইল দেবীর কথা শোনার জন্য। দেবী মিষ্টি হেসে বললেন, নারে, সারা বিশ্ব ঘুরে দেখলাম কোথাও গণেশের কোনো শত্রু তৈরি হয়নি

    তাহলে? সবাই একই সাথে প্রশ্ন করলেন।

    লক্ষ্মী আগবাড়িয়ে বলে ফেললেন, তাহলে কি এবার বৈকুণ্ঠেই যেতে হবে?

    সরস্বতী একটু আড় চোখে চেয়ে মুচকি হাসতেই লক্ষ্মী তাঁর হাতে চিমটি কেটে দিলেন।

    পার্বতী বললেন, নারে আমাদের এখনো বিষ্ণুকে বিরক্ত করার সময় আসেনি। আমি সারা বিশ্ব ঘুরেছি ঠিকই, কিন্তু মানুষের পৃথিবী বাদে। ওখানেই তো গণেশের অধিকাংশ ভক্ত থাকে। জানিসতো মহাদেবের কাছে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বছরে দুর্গাপূজার চারদিন ছাড়া বাকি সময় মানুষের পৃথিবীর সাথে কোনো যোগাযোগ রাখতে পারবনা। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক তোরা এবার নিজেদের বাহনে চড়ে মানুষের পৃথিবী ঘুরে দেখ কোথাও গণেশের কোনো অসম্মান হয়েছে কিনা

    একটা খটখট শব্দ হতেই সবাই তাকিয়ে দেখেন গণেশের বাহন ইঁদুর দরজার পর্দার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে। দেবী তাকে ভেতরে আসার অনুমতি দিতেই ইঁদুর ছুটে ভেতরে এসে এদিক ওদিক তাকাতে লাগল। সবাই তাকে একযোগে প্রশ্ন করলেল, তোমার প্রভুর কি হয়েছে তুমি নিশ্চয় বলতে পারবে

    ইঁদুর বিষণ্ণ স্বরে বলল, "আমিওতো আপনাদের একই প্রশ্ন করতে যাচ্ছিলাম। শাস্তির মেয়াদ শেষ হতেই একটু আগে ফিরে এসেছি। প্রভু আমাকে এতদিন পরে দেখে কত খুশি হবেন, তা না আবেগহীন স্বরে শুধু বললেন, ‘তাহলে আজ তোমার মুক্তি

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1