Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

মন্ডলী স্থাপন করা
মন্ডলী স্থাপন করা
মন্ডলী স্থাপন করা
Ebook344 pages2 hours

মন্ডলী স্থাপন করা

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

মণ্ডলী স্থাপন করা সুসমাচারের পরিচর্যাকারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত একটি চেতনা। প্রথম যুগের শিষ্যদের জন্য এটি ছিল অন্যতম প্রধান একটি কাজ। সফলভাবে মণ্ডলী স্থাপনের জন্য বিভিন্ন দক্ষতা থাকা এবং বিভিন্ন বিষয় গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী তিন হাজারের বেশি মণ্ডলী নিয়ে স্থাপিত একটি ক্যারিশমাটিক ডিনমিনেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড্যাগ হিউয়ার্ড-মিলস এই বইটির মধ্য দিয়ে আমাদেরকে মণ্ডলী স্থাপনের বিভিন্ন দিকগুলো সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় নিয়ে যাবেন। যে সকল পরিচর্যাকারী মণ্ডলী স্থাপনকে তার জীবন ও পরিচর্যা কাজের দর্শন হিসেবে নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই বইটি একটি প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।

LanguageBengali
Release dateJun 7, 2018
ISBN9781641355360
মন্ডলী স্থাপন করা
Author

Dag Heward-Mills

Bishop Dag Heward-Mills is a medical doctor by profession and the founder of the United Denominations Originating from the Lighthouse Group of Churches (UD-OLGC). The UD-OLGC comprises over three thousand churches pastored by seasoned ministers, groomed and trained in-house. Bishop Dag Heward-Mills oversees this charismatic group of denominations, which operates in over 90 different countries in Africa, Asia, Europe, the Caribbean, Australia, and North and South America. With a ministry spanning over thirty years, Dag Heward-Mills has authored several books with bestsellers including ‘The Art of Leadership’, ‘Loyalty and Disloyalty’, and ‘The Mega Church’. He is considered to be the largest publishing author in Africa, having had his books translated into over 52 languages with more than 40 million copies in print.

Reviews for মন্ডলী স্থাপন করা

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    মন্ডলী স্থাপন করা - Dag Heward-Mills

    এমন সময় আসে যে তখন সত্যিই এই প্রশ্ন এসে দাঁড়ায় যে মন্ডলীর অগ্রগতি হচ্ছে না কি থেমে আছে। মন্ডলীতে অনেক ধরনের কার্য্যক্রম এবং অনেক আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকে। কিন্তু তবুও ঈশ্বরের রাজ্য কি তাহলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, নাকি একটি চক্রের মধ্যে ঘোরপাক খাওয়া?

    কখনও কখনও আপনি বড় শহরগুলিতে দেখতে পাবেন যে, নতুন নতুন মন্ডলী স্থাপন করা হচ্ছে। কখনও কখনও এই নতুন মন্ডলীগুলি শহরের সকলের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে যায়। আর এমন কিছু বিষয় দেখা যায় যে, ঈশ্বরে যেন সেখানে নতুন কিছু করতে যাচ্ছেন।

    আর লোকেরা ঝাঁকে ঝাঁকে সেই মন্ডলীতে উপস্থিত হতে শুরু করে আর সেই নতুন বিষয়গুলি লুফে নেয়। আপনি যদি একটু ভাল ভাবে দৃষ্টি দেন, তবে সেই নতুন কার্য্যক্রটি কাছে থেকে দেখতে পাবেন, প্রকৃতপক্ষে, এই নতুন মন্ডলীটি কাছাকাছি কোন মন্ডলী থেকে আসা লোকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

    ঈশ্বরের রাজ্য জাগতিক লোকদের দ্বারা পূর্ণ, তারা সব সময় নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় গুলি পছন্দ করে। অনেক পালকেরা রয়েছে যারা খুবই উত্তেজিত এবং তারা মনে করে যে তাদের মন্ডলীর বৃদ্ধি রয়েছে এবং সেখানে আত্মিক উদ্দিপনা রয়েছে। আসল কথা হল, ঈশ্বরের রাজ্যে তাদের বৃদ্ধি খুবই সামান্য। লোকেরা শুধু এই মন্ডলী থেকে ঐ মন্ডলীতে ঘোরা ফেরা করছে। ঈশ্বরের রাজ্যের প্রয়োজন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

    কিছু বছর আগে ইউরোপিয়ানরা আফ্রিকাতে এবং এশিয়াতে মিশনারীদেরকে প্রেরন করেছিলেন এবং সেই কারণে সারা পৃথিবীতে আর খ্রীষ্টিয়ান ধর্ম ছড়িয়ে

    মন্ডলী স্থাপন করা

    পড়েছে। যারা আগে প্রতিমার পুজা করত তারা আজ খ্রীষ্টিয়ান হয়েছে। কিন্তু আমরা যেন নিজেদেরকে না ভুলাই: আজকের পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে। এমন অনেক লোকেরা রয়েছে যাদের একজন উপযুক্ত পালক নেই। তার চেয়েও আজ বড় প্রয়োজন যে সমস্ত স্থানে খ্রীষ্টিয়ান নেই সেখানে মন্ডলী স্থাপন করা করা।

    ২০০ বছর আগে যখন ইউরোপিয়ানরা মিশনারী প্রেরন করেছিলেন তখন সারা পৃথিবীতে লোক সংখ্যা ছিল ১ বিলিয়ন। কিন্তু আজ, ২০০৪ সালে এই লোক সংখ্যা ৬.১ বিলিয়ন। সাধারন বিশ্ব সব সময় মোট জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তারদের সংখ্যা নিয়ে অভিযোগ করে।

    কিন্তু কেউ কি কখনও মোট জনসংখ্যার অনুপাতে পালকের সংখ্যা নিয়ে অভিযোগ করেছে? আজকের পৃথিবীতে যে পরিমানে মানুষ রয়েছে সেই অনুপাতে কত জন প্রচারক রয়েছে?

    কিভাবে ঈশ্বরের রাজ্যকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায়

    আমরা যখন যীশুর দেয়া নির্দেশনা মেনে কাজ করব তখনই ঈশ্বরের রাজ্য তার প্রকৃত গতি পাবে। যীশুর শেষ আদেশ ছিল যেন আমরা সমুদয় জগতে যাই এবং শিষ্য তৈরি করি।

    "তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে। অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।"

    মথি ২৮: ১৮-২০ পদ।

    এই শাস্ত্রাংশে যীশু আমাদেরকে বলছেন যে, আমরা যেন লোকদেরকে "ঈশ্বরের বাক্য"শিক্ষা দেই। আর তাদেরকে এক জায়গায় জড় না করে কোন দিনই তাদেরকে শিক্ষা দেয়া যায় না।

    প্রকৃত পক্ষে মন্ডলী কি

    ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দেবার জন্য দেবার জন্য বিশ্বাসীদের নিয়মিত জমায়েতকেই মন্ডলী বলে। অন্য কথায় বলা যায় যে, আমাদের প্রভু আমাদেরকে বলেছেন যে, আমরা যেন সারা পৃথিবীতে যাই এবং ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দেবার জন্য যেন আমরা লোকদেরকে জড় করি। ঈশ্বর তার লোকদের তুলবেন যেন তারা সারা পৃথিবীতে যায় এবং ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দেবার জন্য লোকদেরকে জড় করে।

    যত বেশি দলে দলে লোক জড় করা যাবে তত বেশি লোককে ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দেয়া হবে, তত বেশি করে যীশুর মহান আদেশ পূর্ণ হবে। যত বেশি লোককে শিক্ষা দেয়া হবে তত বেশি করে মহান আদেশের পূর্ণতা হবে। আর সেই জমায়েতই হল মন্ডলী, আর তা যীশুর উপযুক্ত সেবাকারীদের দ্বারাই স্থাপিত হয়।

    আমরা লোকদেরকে প্রভাবিত করতে ভালবাসি

    দূর্ভাগ্যবশত, বেশির ভাগ পালকেরাই সব সময় চিন্তা করে যে, লোকেরা কি বলবে। আর এই কারণে তারা পুরোপুরি ভাবে মহান আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারে না। আমরা চাই যেন আমরা একটা বড় জমায়েত করি, আর আমরা চাই লোকেরা বলবে যে আমরা কত মহান! সব কিছুর পরেও, আমাদের মন্ডলীতে যত বেশি লোক থাকবে পালক হিসাবে তত বেশি গুরুত্ব আমাদের বাড়বে।

    "প্রজাবাহুল্যে রাজার শোভা হয়; কিন্তু জনবৃন্দের অভাবে ভূপতির সর্বনাশ ঘটে।"

    হিতোপদেশ ১৪: ২৮ পদ।

    তাই যত বেশি জায়গায় সম্ভব তত বেশি করে লোকদের জমায়েত করে মহান আদেশের বাস্তবায়ত করতে হবে। বিশ্বের বিশালতা এবং চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা মানুষই এই প্রয়োজনকে দাঁড় করিয়েছে যে, অধিক পালকের প্রয়োজন। লোকেরা আর এক জায়গায় জমায়েত হয়ে এক জায়গায় উপাসনা করে না। কিন্তু যত বেশি জায়গায় সম্ভব তারা আলাদা আলাদা একত্রিত হয়। যদি আমরা সত্যিই

    আমাদের প্রভুর আদেশের প্রতি বাধ্য হতে চাই, তবে আমাদের আর অন্য কোন পথ নাই।

    অবশ্যই নেতাদের প্রশিক্ষন দিতে হবে। অবশ্যই পালকদের প্রশিক্ষন দিতে হবে। অবশ্যই কার্য্যকারীদের কে প্রশিক্ষন দিতে হবে। মন্ডলীগুলির মধ্যে আমি শ্রেষ্ট, এই চিন্তাকে বাদ দিতে হবে। এই শ্রেষ্ট হবার মানষিকতা চায় যেন আমরা ভাবি আমিই শ্রেষ্ট পালক, আর যাকে সবাই এক নামে চিনবে, আর প্রশংসা করবে।

    আমরা অনেক সময় নিজেকে এই বলে ভুলাই যে পালকের মন্ডলীতে যত বেশি লোক থাকবে স্বর্গে তার অবস্থান তত মহান হবে। কিন্তু এটা সঠিক নয়। স্বর্গে সেই পালককে মহান বলা হবে যিনি নম্র এবং শিশু সুলভ।

    "সেই দণ্ডে শিষ্যেরা যীশুর নিকটে আসিয়া বলিলেন, তবে স্বর্গ-রাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে? তিনি একটি শিশুকে আপনার নিকটে ডাকিয়া তাঁহাদের মধ্যে দাঁড় করাইলেন, এবং কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের ন্যায় না হইয়া উঠ, তবে কোন মতে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে না। অতএব যে কেহ আপনাকে এই শিশুর মত নত করে, সেই স্বর্গ-রাজ্যে শ্রেষ্ঠ।"

    মথি ১৮: -৪ পদ।

    যীশু এটা খুব ষ্পষ্ট করে দেখিয়েছেন যে কে স্বর্গ রাজ্যে মহান হবে। আপনার মন্ডলীর আকার দেখে কেউই বলতে পারবে না যে, আপনার নম্রতা কতটুকু। ঘটনাক্রমে, ছোট মন্ডলীর একজন পালক প্রকৃত ভাবে বড় মন্ডলীর পালকের থেকে বেশি বিনম্র হয়।

    তাই আমাদের আরও বেশি বেশি জমায়েতের প্রয়োজন, বেশি মন্ডলী এবং প্রভুর জন্য আরও বেশি ফল সংগ্রহ। তাই আমাদের মন্ডলী স্থাপনের প্রয়োজন। প্রতিটি বিশ্বাসীর এই লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন যে, "প্রতিটি দরজাতে একটি মন্ডলী এবং প্রতিটি ভাষাতে মন্ডলী"। একটি লাইট পোষ্টের নিচে জমায়েত বা একটি গাছ তলার নিচে জমায়েতই ঈশ্বরের রাজ্যতে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।

    তাই লোকদের ভুলানো বন্ধ করি। আমরা আমাদের মন্ডলীর আকার দেখে আমাদের পরিচর্য্যাকে মূল্যায়ন করা বন্ধ করি। যত বেশি সম্ভব তত বেশি জায়গায় লোকদেরকে একত্রিত করি। প্রিয় মন্ডলীর নেতারা, মানুষের কাছ থেকে সম্মান পাবার প্রচেষ্টা থেকে নিজেকে বিরত রাখি কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে সম্মান পাবার চেষ্টা করি।

    "তোমরা কিরূপে বিশ্বাস করিতে পার? তোমরা ত পরস্পরের নিকটে গৌরব গ্রহণ করিতেছ, এবং একমাত্র ঈশ্বরের নিকট হইতে যে গৌরব আইসে, তাহার চেষ্টা কর না।"

    যোহন ৫: ৪৪ পদ।

    সুসমাচার প্রচার কি মহান আদেশের পরিপূর্ণতা?

    সুসমাচার প্রচার এবং ক্রুসেড করা ভাল। কারণ এগুলিই এই শিক্ষা প্রদানের শুরু। প্রচারককে অবশ্যই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এই প্রচারগুলি কি সত্যিই মহান আদেশের চাহিদা পূর্ণ করতে পারছে? হ্যাঁ এবং না! হ্যাঁ, কারণ এর মধ্য দিয়ে সেই উদ্দেশ্য পুরনের কাজ শুরু হয়েছে। না, কারণ শিক্ষা দেয়া ছাড়া কিভাবে মন্ডলী স্থাপিত হবে। আর তাহলে, মহান আদেশ সফল হবে না।

    সহজ কথায় হল, সুসমাচার প্রচারের দ্বারা মন্ডলী স্থাপনের মধ্য দিয়ে মহান আদেশের পূর্ণতা। মন্ডলী হল লোকদের সমাবেশ এবং এই সমাবেশের মধ্যে ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দিতে হবে।

    নতুন নতুন স্থানে মন্ডলী স্থাপন করা

    সবার উপরে, প্রভু আমাদের যে দিকে চালনা করে সেই দিকে মন্ডলী স্থাপন করা করা উচিত। শহরে এবং গ্রামে, সব জায়গায় মন্ডলী স্থাপন করা করতে হবে। আমি দেখেছি যে, নতুন নতুন স্থানে মন্ডলী স্থাপন করা করা প্রয়োজন। আমরা সবাই সেই সব স্থানে কাজ করতে পছন্দ করি যেখানে আগে থেকেই কাজ হয়ে চলছে। কিন্তু আমি আপনাদের বলছি, এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে কোন দিন কেউ কাজ করে নি। আর ঈশ্বর আমাদের সেখানে কাজ করার জন্য আহ্বান করেছেন।

    মন্ডলী স্থাপন করা

    মন্ডলী স্থাপনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং সহৃদয়তা আমাদের মন্ডলীগুলিতে মন্ডলী স্থাপনের ধারা নিয়ে আসবে। আর এই কাজে আমাদের যুবকদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে হবে।

    পালকদেরকে আজ ভাবতে হবে যে, মুসলমানরা সারা আফ্রিকাতে এবং পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করে চলছে। কিন্তু মন্ডলী মনে হচ্ছে এই বিষয়ে উদাসীন। আমরা জানি যে, মুসলমানরা কোরবানী করতে প্রস্তুত, তারা সমস্ত শহরে এবং গ্রামে ও সারা পৃথিবীতে যেতে কখনই পিছু পা হয় না।

    অন্যদিকে খ্রীষ্টিয়ানেরা, যাদেরকে সারা পৃথিবীতে প্রেরন করা হয়েছে, তারা এক জায়গায় বসে আছে আর কিছু ‍কিছু শহরে শান্তিতে বসবাস করতে চেষ্টা করছে।

    কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবে; আর তোমরা যিরূশালেমে, সমুদয় যিহূদিয়া ও শমরিয়া দেশে, এবং কাছের শহরে, সুবিধাজনক শহরে এবং উন্নত শহরে আমার সাক্ষী হইবে। (কোন বাইবেলে এমন রয়েছে?)

    অধ্যায় ২

    মন্ডলী স্থাপনকারীদের মানসিকতা

    "খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তাহা তোমাদের মধ্যেও হউক"

    ফিলিপীয় ২:

    কোন কাজ করার জন্য খ্রীষ্টের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা রয়েছে, আর তিনি সেই ভাবেই তার কাজ করে। "এই পদ আমাদেরকে এই কথা বলে যে, কাজ করার জন্য সেই ভাবে চিন্তা করুন যেভাবে খ্রীষ্ট চিন্তা করেন। তাহা তোমাদের মধ্যে হউক"এই কথাই সেই অর্থ প্রকাশ করে। এই কথা সত্য যে আপনার মন যখন সেই নির্দিষ্ট পথে চিন্তা করে তখনই আপনি ঈশ্বরের ইচ্ছা পূর্ণ করতে পারেন।

    আমি সেই বিষয়ে লিখছি যে, যখন আপনি একজন মন্ডলী স্থাপন করাকারী হিসাবে কাজ করবেন তখন আপনার চিন্তা ভাবনা কেমন হওয়া উচিত। আর এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ব্যতিত কেউই মন্ডলীস্থাপনকারী হিসাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সামনের দিকে আগাতে পারবে না।

    পরবর্তী অধ্যায় গুলিতে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, মন্ডলী স্থাপনের মুল মন্ত্রটি কি। এর দ্বারা আপনি গতি পাবেন এবং আপনার পরিচর্য্যা কাজ প্রেরিতদের কাজের মত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

    . মনে রাখুন যে, ঈশ্বর আপনার কাজকে দেখছেন।

    প্রিয় বন্ধু, এই পৃথিবীতে আপনার কাজকে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। ঈশ্বর আপনার মধ্যে যা দিয়েছেন সেই বিষয়ে তিনি আপনার কাছে কিছু দাবী করেন। তিনি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছেন যে, আপনাকে যে উপহার তিনি দিয়েছেন তা দিয়ে আপনি কি করেছেন। ঈশ্বর আপনাকে যা দিয়েছেন সেই বিষয়ে তিনি আপনার কাছে কিছু বিমিনয় চাচ্ছেন। তিনি আপনার কাজের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন।

    এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, সাতটি মন্ডলীর প্রতি সাতটি পত্রে একটি কথা বার

    বার বলেছেন যে, আমি তোমার কাজকে জানি। তাহলে এই কাজ বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন? এগুলি কি, এটা এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা প্রত্যেকটি মন্ডলীতে থাকতে হবে। নিচের পদটি দেখুন,

    "আমি জানি তোমার কার্য সকল এবং তোমার পরিশ্রম ও ধৈর্য; আর আমি জানি যে, তুমি দুষ্টদিগকে সহ্য করিতে পার না, এবং আপনাদিগকে প্রেরিত বলিলেও যাহারা প্রেরিত নয়, তাহাদিগকে পরীক্ষা করিয়াছ ও মিথ্যাবাদী নিশ্চয় করিয়াছ।"

    প্রকাশিত বাক্য ২:

    "আমি জানি তোমার ক্লেশ ও দীনতা, তথাপি, তুমি ধনবান; এবং আপনাদিগকে যিহূদী বলিলেও যাহারা যিহূদী নয়, কিন্তু শয়তানের সমাজ, তাহাদের ধর্ম-নিন্দাও আমি জানি।"

    প্রকাশিত বাক্য ২:

    "আমি জানি, তুমি কোথায় বাস করিতেছ, সেখানে শয়তানের সিংহাসন রহিয়াছে। আর তুমি আমার নাম দৃঢ়রূপে ধারণ করিতেছ, আমার বিশ্বাস অস্বীকার কর নাই; আমার সেই সাক্ষী, আমার সেই বিশ্বস্ত লোক আন্তিপা যখন তোমাদের মধ্যে তথায় নিহত হইয়াছিল, যেখানে শয়তান বাস করে, তখনও বিশ্বাস অস্বীকার কর নাই।"

    প্রকাশিত বাক্য ২:১৩

    "আমি জানি তোমার কর্ম সকল ও তোমার প্রেম ও বিশ্বাস ও পরিচর্যা ও ধৈর্য, আর তোমার প্রথম কর্ম অপেক্ষা প্রচুরতর শেষ কর্ম আমি জানি।"

    প্রকাশিত বাক্য ২:১৯

    "আর সার্দিস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ- যিনি ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা এবং সপ্ত তারা ধারণ করেন, তিনি এই কথা কহেন; আমি জানি তোমার কার্য সকল; তোমার জীবন নামমাত্র; তুমি মৃত।"

    প্রকাশিত বাক্য ৩:

    "আমি জানি তোমার কার্য সকল; দেখ, আমি তোমার সম্মুখে এক খোলা দ্বার রাখিলাম, তাহা রুদ্ধ করিতে কাহারও সাধ্য নাই; কেননা তোমার কিঞ্চিৎ শক্তি আছে, আর তুমি আমার বাক্য পালন করিয়াছ, আমার নাম অস্বীকার কর নাই।"

    প্রকাশিত বাক্য ৩:

    ঈশ্বর এখানে বলেন নি, "আমি জানি তোমাদের ঘর বাড়ি, গাড়ি গুলিকে।" ঈশ্বর এখানে বলেন নি যে, "আমি জানি তোমার মার্সিটিস বেন্জ"। তিনি বলেছেন, "আমি তোমার কাজকে জানি"। তিনি এখানে বলেন নি যে, "আমি তোমার ডিগ্রিগুলি জানি"। তিনি এখানে বলেন নি যে, "আমি তোমার বাবা-মাকে জানি।" তিনি শুধু বলেছেন, "আমি তোমার কাজকে জানি।"

    . ঈশ্বরের সঙ্গে থেকে কাজ করার চাবি-কাঠি হল মন্ডলী স্থাপন করা করা।

    "কেননা যে কেহ আপন প্রাণ রক্ষা করিতে ইচ্ছা করে, সে তাহা হারাইবে; কিন্তু যে কেহ আমার এবং সুসমাচারের নিমিত্ত আপন প্রাণ হারায়, সে তাহা রক্ষা করিবে।"

    মার্ক ৮:৩৫ পদ।

    ১৯৮৫ খ্রীষ্টাব্দে, আমি ঈশ্বরের সঙ্গে সমস্ত পথ চলার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখন আমি সবে মাত্র মেডিকেলের কঠিন পরীক্ষা শেষ করেছিলাম। নিজের মত করে বললে, আমি ভাল ভাবেই আমার পরীক্ষা শেষ করেছিলাম। আমি চিন্তা করি যেভাবে আমি আমার পরীক্ষার জন্য কষ্ট করেছি এবং অতিরিক্ত কাজ করেছি। আমি নিজের মনে এই উপলব্দি করতে পারলাম যে, এই গুলির আসলেই কোন মুল্য নাই। কেন আমি মেডিসিনের জন্য এত কষ্ট করব? কেন আমি আমার জীবনের সমস্ত সময় এই বিষয়ের জন্য ব্যয় করব?

    আমি সেই দিনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, আমি আমার বাকিটা জীবন ঈশ্বরের কাজ করে কাটাবো। সংক্ষেপে বলা যায় যে, আমার জীবনে ঈশ্বরই হবে এক নম্বর। আমি একজন খুব

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1