Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

মেষপালকের কাজ করার কৌশল
মেষপালকের কাজ করার কৌশল
মেষপালকের কাজ করার কৌশল
Ebook526 pages3 hours

মেষপালকের কাজ করার কৌশল

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

আপনি যদি ঈশ্বরের মেষপালের পালক হয়ে থাকেন, তাহলে এই সুচিন্তিত রচনাটি আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করবে। এই বইয়ের প্রতিটি পাতায় রয়েছে আপনার সাফল্য লাভের বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশনা। বিশপ ড্যাগ হিউয়ার্ড-মিলস তার ত্রিশ বছরের বেশি সময়ের পালকীয় অভিজ্ঞতা থেকে পরিচর্যা কাজের ব্যাপারে বেশ কিছু বাস্তব অন্তর্দৃষ্টির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এই বইটিতে। আপনি যদি ঈশ্বরের লোকদের পালক হতে চান তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে এই নির্দেশিকাটিরই খোঁজ করছেন।

LanguageBengali
Release dateJun 7, 2018
ISBN9781641355568
মেষপালকের কাজ করার কৌশল
Author

Dag Heward-Mills

Bishop Dag Heward-Mills is a medical doctor by profession and the founder of the United Denominations Originating from the Lighthouse Group of Churches (UD-OLGC). The UD-OLGC comprises over three thousand churches pastored by seasoned ministers, groomed and trained in-house. Bishop Dag Heward-Mills oversees this charismatic group of denominations, which operates in over 90 different countries in Africa, Asia, Europe, the Caribbean, Australia, and North and South America. With a ministry spanning over thirty years, Dag Heward-Mills has authored several books with bestsellers including ‘The Art of Leadership’, ‘Loyalty and Disloyalty’, and ‘The Mega Church’. He is considered to be the largest publishing author in Africa, having had his books translated into over 52 languages with more than 40 million copies in print.

Reviews for মেষপালকের কাজ করার কৌশল

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    মেষপালকের কাজ করার কৌশল - Dag Heward-Mills

    আইস, আমরা প্রণিপাত করি, প্রণত হই, আমাদের নির্মাতা সদাপ্রভুর সাক্ষাতে জানু পাতিকেননা তিনিই আমাদের ঈশ্বর, আমরা তাঁহার চরাণির প্রজা ও তাঁহার হস্তের মেষআহা! অদ্যই তোমরা তাঁহার রব শ্রবণ কর!

    গীতসংহিতা ৯৫: -

    ঈশ্বরের বাক্যে, তাঁর লোকদের মেষ বলা হয়। যীশু আমাদের "পালকহীন মেষপাল" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মেষের জীবন ও আচরণকে অনুক্রমে বোঝা তাদেরকে কার্যকরভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর ও আপনার পালকের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে আপনি অবশ্যই নিজেকে মেষ হিসেবে দেখবেন। এছাড়াও ধীরে ধীরে তাদেরকে ভালভাবে বোঝার জন্য আপনি আপনার মন্ডলীর সদস্যদেরকেও অবশ্যই মেষ হিসেবে দেখবেন। গীতসংহিতা তেইশে আমরা দেখতে পারি যে কিভাবে দায়ূদ তাঁর নিজের জীবনের একজন মেষপালকের অভিজ্ঞতা থেকে একটি মেষের জীবনের বর্ণনা দিয়েছেন। "মেষদের জীবনের" বর্ণনার এই চিত্র একজন অভিজ্ঞ ইস্রায়েলীয় মেষপালকের মুখ থেকে এসেছে যে নিজেকে ঈশ্বরের মেষ হিসেবে গণ্য করত।

    সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে নাতিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালানতিনি আমার প্রাণ ফিরাইয়া আনেন, তিনি নিজ নামের জন্য আমাকে ধর্মপথে গমন করানযখন আমি মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা দিয়া গমন করিব, তখনও অমঙ্গলের ভয় করিব না, কেননা তুমি আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ, তোমার পাঁচনী ও তোমার যষ্টি আমাকে সান্ত্বনা করেতুমি আমার শত্রুগণের সাক্ষাতে আমার সম্মুখে মেজ সাজাইয়া থাক; তুমি

    আমার মস্তক তৈলে সিক্ত করিয়াছ; আমার পানপাত্র উথলিয়া পড়িতেছেকেবল মঙ্গল ও দয়াই আমার জীবনের সমুদয় দিন আমার অনুচর হইবে, আর আমি সদাপ্রভুর গৃহে চিরদিন বসতি করিব

    গীতসংহিতা ২৩: -

    আমি একটি মেষের জীবনের অনেক অনুরূপ বিষয় আবিষ্কার করতে উত্তেজিত ছিলাম যা আধুনিক দিনের মেষপালকের দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল, ডাব্লিউ ফিলিপ কেলার, এমন একজন যিনি মেষদের মালিক হিসেবে আট বছর কাজ করেছেন এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার পশুপালনের বৃহৎ খামারের মালিক হিসেবেও রত ছিলেন। একটি আধুনিক প্রেক্ষাপটে তার পালকীয় কাজ করার বাস্তবিক অভিজ্ঞতা ছিল এবং তা গীতসংহিতা ২৩ অধ্যায়ের বাস্তবতা সম্পর্কে আশ্চর্যজনক নিশ্চিতকরণ দেয়।

    সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে নাতিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান

    গীতসংহিতা ২৩: -

    মেষ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতির অধীনে শোয়। আপনাকে অবশ্যই আপনার গির্জা মন্ডলীতে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেন মেষেরা শুতে পারে এবং আপনার সঙ্গে থাকতে পারে। আপনাকে ভীত মেষকে স্থির করতে হবে এবং লোকদেরকে আপনার চারপাশে এক পরিবারে রাখুন। একজন মেষপালকের অভিজ্ঞতা থেকে, ফিলিপ কেলার তার কিছু বিষয় সহভাগিতা করেছেন যা মেষকে শোয়ার বিষয়ে সাহায্য করে। নিচের চারটি বিষয়ের প্রতিটি প্রকাশ করে কেন কিছু লোক একটি মন্ডলীতে থাকতে পারে না। অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে চাপা উত্তেজনা, ভয়, মন্দ আত্মাদের আক্রমণ ও ভাল খাবারের অভাব, এই সব কারণে মেষসমূহ মন্ডলীতে স্থায়ী হয় না। ফিলিপ কেলার বলেন:

    . মেষ শায়িত হবে যখন তারা ভয় থেকে মুক্ত হবে: তাদের সাহসের অভাবে তারা শুতে ভয় পায় যতক্ষণ না তারা সমস্ত ভয় থেকে মুক্ত হয়। মেষ, এত ভীরু হয় এবং এত সহজেই আতঙ্কগ্রহস্থ হয় যে এমনকি একটি বিপথগামী অস্থির খরগোশও হঠাৎ ঝোপের আড়াল থেকে নাড়া দিয়ে একটি বিশাল পালের মেষগুলোকে চমকে তুলতে পারবে। একটি চমকে ওঠা মেষ যখন ভয় পায় এবং দৌঁড়ায় তখন অন্য বারটিও অন্ধ ভয়ে উল্টা-পাল্টাভাবে দৌঁড়াতে শুরু করে, ভয়ের তীব্রতায় কি তাদেরকে ভয় দেখাচ্ছে তা না দেখেই দৌঁড়াতে থাকে।

    .     মেষ শুয়ে থাকবে যখন অন্যদের সঙ্গে তাদের কোন ধরনের অস্থিরতা থাকবে না: মেষসমূহের পালগুলোর সামাজিক আচরণের কারণে, মেষ শায়িত হবে না যদি না তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষণ থেকে মুক্ত হয়।

    .     মেষ শোয় যখন তারা মশা-মাছি বা পরজীবীর দ্বারা যন্ত্রণা না পায়: যদি মশা-মাছি বা পরজীবীর দ্বারা যন্ত্রণা পায় তাহলে মেষগুলো শুবে না। শুধুমাত্র এই কীটগুলো থেকে মুক্ত হলে তারা শিথিল হবে।

    .      মেষ শায়িত হবে যখন তারা ক্ষুধা থেকে মুক্ত হবে: মেষ শোবে না যতক্ষণ তারা প্রয়োজনীয় খাদ্য খুঁজে না পাবে। তাদেরকে অবশ্যই ক্ষুধা থেকে মুক্ত হতে হবে। বিশ্রাম পেতে তাদেরকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট অর্থে ভয়, চাপা উত্তেজনা, অধোগমন ও ক্ষুধা থেকে স্বাধীন হতে হবে।

    অধ্যায় ২

    কেন মেষদের পানি দরকার

    সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে নাতিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান

    গীতসংহিতা ২৩: -

    আমাদের আধুনিক মেষপালক, ফিলিপ কেলার, তার মেষদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন এবং সহভাগিতা করেছেন যে কিভাবে মেষদের বেঁচে থাকার জন্য স্বাভাবিকভাবে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, যখন মেষগুলো তাদের আত্মার প্রয়োজনীয় পানি না পায়, তারা তখন পানির জন্য সমস্ত ভুল জায়গায় অনুসন্ধান করার চেষ্টা করে। এই ঘটনাটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে প্রতিটি মেষপালককে অবশ্যই মেষদের জন্য পবিত্র আত্মার পানির সেবা ও যোগান প্রদান করা প্রয়োজন। পালককে আবশ্যই আধ্যাত্মিক ও পবিত্র আত্মার অভিষেকের শক্তিতে সেবা করতে হবে।

    পুলপিটের উপর থেকে অভিষিক্ত সেবার অভাবের কারণে মিথ্যা সূত্র ও যাদুবিদ্যার শক্তি থেকে মন্ডলীর সদস্যরা সমাধান পাওয়ার চেষ্টা করে।

    ফিলিপ কেলার বলেছেন:

    ঠিক যেমন শরীরের এক ধরনের ধারণ ক্ষমতা আছে এবং পানির প্রয়োজন আছে, বাক্যও আমাদের কাছে এই বিয়য়ে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছে যে মানুষের আত্মারও এক ধরনের ধারণ ক্ষমতা আছে ও অনন্ত আত্মা ঈশ্বরের কাছ থেকে পানি প্রয়োজন। মেষেরা তৃষ্ণার্ত হলে অস্থির হয়ে ওঠে এবং পানির সন্ধানে বের হয়। তারা ভাল পানি না পেলে, প্রায়ই শেষে দূষিত পাত্রের গর্ত থেকে পান করে যেখান থেকে তারা আক্রান্ত হয় অভ্যন্তরীণ পরজীবীর দ্বারা, যেমন নেমাটোড, যকৃতের পোঁকা, এবং অন্যান্য জীবাণু।

    এই বিষয়টি আমাকে এক পাল মেষের বিষয়ে মনে করিয়ে দেয় যাদেরকে একদিন আমি দেখেছিলাম এবং তাদেরকে একটি দারূন পর্বতের প্রবাহের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল। তুষার-হতে খাঁটি এবং পরিষ্কার এবং স্ফটিক পানি প্রবাহিত হচ্ছিল সুন্দর গাছের গোড়ার মধ্য দিয়ে। কিন্তু পথে বিভিন্ন একগুঁয়ে ভেড়ী এবং তাদের শাবকগুলো থেমে গিয়েছিল, পরিবর্তে, পাশে ছোট, নোংরা, কর্দমাক্ত গর্ত থেকে পান করার জন্য তাদের গমনপথে। শুধুমাত্র বর্তমান মেষদের চলার পথের কাঁদার জন্য পানি অযোগ্য এবং দূষিত উন্মথিত ছিল না কিন্তু পূর্ববর্তী পালগুলোর মল এবং প্রস্রাব থেকেও। এরপরেও এই একগুঁয়ে মেষগুলো পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল যে এই পানি পান করার জন্য ভাল।

    তাদের জন্য পানি নিজেই অযোগ্য এবং দূষিত ছিল। তার চেয়েও বেশি, এটা স্পষ্টত নেমাটোড এবং লিভারের পরজীবীর ডিম অবশেষে অপ্রত্যাশিতভাবে দূষিত এবং ধ্বংসাত্মক প্রভাবমূলক রোগের মাধ্যমে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।

    মেষদের জন্য পানির তিনটি প্রধান উৎস রয়েছে: ঝরনা এবং স্রোতসমূহ, ঘাসের উপর শিশির, এবং গভীর কূপ। একটি মেষের শরীর পশু হিসেবে প্রায় ৭০ শতাংশ পানি দিয়ে গঠিত হয়। পানি স্বাভাবিক শরীরে কাজসমূহকে ঠিক রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়; পানি প্রতিটি সেলের অংশ, তার রসস্ফীতি এবং স্বাভাবিক জীবনের প্রণালীতে অবদান রাখে।

    অতএব, পানি মেষের জীবনীশক্তি, শক্তি এবং তেজ নির্ধারণ করে।

    অধ্যায় ৩

    মেষদের পড়ে যাওয়ার মানে কি

    হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর

    গীতসংহিতা ৪২: ১১

    আমাদের আধুনিক মেষপালক মেষদের সাথে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন এবং সহভাগিতা করেছেন একটি মেষের পড়ে যাওয়ার মানে কি। এটা আবিষ্কার করা মজার বিষয় যে কিভাবে কোন মেষ অসহায় হতে পারে ও সাহায্য ছাড়া তার পায়ের উপর দাঁড়াতে অক্ষম হয়। বাস্তব মেষ এবং বাস্তব মানুষের মধ্যে সাদৃশ্য হচ্ছে তাড়না, অন্তত যদি বলতে হয় তেমনই।

    ফিলিপ কেলার একজন মেষদের মালিক হিসেবে তার বাস্তব মেষসমূহের সঙ্গের অভিজ্ঞতাকে সহভাগিতা করেছেন। তিনি বলেছেন:

    তাড়িত হওয়া বা পড়ে যাওয়া একটি প্রাচীন ইংরেজী মেষপালকের শব্দ যা তার পিঠকে বাঁকা করে ফেলেছে এবং এরপর এটা আর নিজে থেকে উঠতে পারে না। পিঠের নত হওয়া অবস্থায় একটি মেষকে দেখা একটি খুব হৃদয়স্পর্শী বিষয়। পিঠের উপর শুয়ে আছে, বাতাসে এর পাগুলো রয়েছে, উন্মত্তবৎ সংগ্রামরত থাকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য, কিন্তু সফল হয় না। কখনও কখনও এটি ব্যা-ব্যা করবে একটু সাহায্যের জন্য, কিন্তু সাধারণভাবে ভয়ে হতাশভাবে পরাজিত হয়ে এটা সেখানে শুয়েই থাকে।

    মালিক যদি সেখানে অল্প সময়ের মধ্যে না পৌঁছায়, তাহলে মেষ মারা যাবে। এটি একটি কারণ যে কেন মেষপালককে প্রতিদিন তার পালের দেখাশোনার বিষয়ে এত অপরিহার্যভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, গুণে গুণে দেখতে হবে যে প্রত্যেকটি উঠতে পারছে এবং তাদের পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছে। যদি এক বা দুইটি অনুপস্থিত থাকে, প্রায়ই প্রথম চিন্তা

    যা তার মনের মধ্যে উদিত হয় তা হচ্ছে, আমার মেষগুলোর মধ্যে একটি কোথাও উল্টোভাবে পড়ে আছে। আমার অবশ্যই এটিকে অনুসন্ধান করতে যেতে হবে এবং সাহায্য করতে হবে যেন পায়ের উপর আবার দাঁড়াতে পারে।

    শুধুমাত্র মেষপালকই মেষদের উপর ধারালো চক্ষু রাখে না কিন্তু শিকারীও একইভাব চোখ রাখে। বাজপাখি, শকুন, কুকুর, নেকড়ে এবং চিতাবাঘ- বনবিড়াল সকলেই জানে যে একটি পড়ে যাওয়া মেষ সহজে শিকার করা যায় এবং এটি মৃত্যু থেকে বেশি দূরে নয়।

    যেকোনো পড়ে যাওয়া মেষ অসহায়, মৃত্যুর কাছাকাছি এবং যে কারো দ্বারা আক্রমণ প্রবনতার সমস্যামূলক এই জ্ঞান দেখাশোনাকারীকে পড়ে যাওয়া মেষ সম্মন্ধে গম্ভীর করে তোলে। তার অবিরত যত্ন ও পালের প্রতি পরিশ্রমী মনোযোগ কোনকিছুই কমিয়ে দিতে পারবে না এমনকি যদি বৃহত্তম, সাস্থ্যবান, শক্তিশালী এবং কখনও কখনও স্বাস্থ্যকর মেষও পড়ে যায় এবং একটি ক্ষয়ক্ষতির বিষয় হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, অধিকাংশ সময় প্রায়ই চর্বিযুক্ত মেষগুলোই পড়ে যায়।

    এভাবেই এটা ঘটে: একটি, ভারী চর্বি বা দীর্ঘ ধাবিত মেষ কিছু সামান্য ঠালা বা বিষণ্নতায় শুয়ে থাকে মাটিতে। এটা নিজেকে নড়াচড়া করতে পারে সামান্য প্রসারিত হতে বা শিথিল হতে। হঠাৎ শরীরের সম্পূর্ণ মাধ্যাকর্ষণতা বদলে যায় এতে এটি তার পেছনে এত বেশী ঝুকে যায় যে আর পা স্থল স্পর্শ করতে পারে না। এটা আতঙ্কগ্রস্থ হতে পারে এবং উন্মত্তবৎভাবে দাপাদাপি করা শুরু করতে পারে। ঘন ঘন এটা করা বিষয়টিকে শুধুমাত্র আরো খারাপ করে তোলে। এটা এমনকি আরও বেশি উল্টে যায়। এখন এটার পক্ষে পুনরায় পায়ের উপর ফিরে আসা একেবারেই অসম্ভব হয়ে যায়।

    যখন এটা সেখানে শুয়ে থাকা অবস্থায় সংগ্রাম করতে থাকে, ধোঁয়া তৈরী হতে শুরু করে। এটা প্রসারিত হতে থাকে তাদের আরো বেশি চেষ্টা করার কারণে এবং শরীরের রক্ত চলাচলের নালী কেটে যায়, বিশেষ করে পায়ের। যদি আবহাওয়া খুব গরম এবং আলোময় হয়, একটি পড়ে যাওয়া মেষ মরতে পারে কয়েক ঘন্টার মধ্যে। যদি এটা শীতল ও মেঘলা এবং বৃষ্টিময় হয়,

    তাহলে হয়তো এটা এভাবে কয়েক দিনের জন্য বেঁচে থাকতে পারবে।

    একজন মেষপালক ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করবেন একটি অনুপস্থিত একক মেষকে অনুসন্ধানের জন্য। বেশিরভাগ সময় তিনি এটাকে একটু দূরে খুঁজে পায়, সে পিঠের ভর দিয়ে পড়ে আছে ও অসহায়ভাবে শুয়ে রয়েছে। তিনি এটার দিকে দৌঁড়াতে শুরু করেন - যত দ্রুত সম্ভব তিনি দৌঁড়ে যান কারণ প্রতি মিনিটই সংকটপূর্ণ।

    মেষপালকের মধ্যে ভয় মেশানো একটি অনুভূতি এবং আনন্দ সৃষ্টি হয়: ভয় কারণ হতে পারে খুব বেশি দেরি হয়ে গেছে; আনন্দ যে এটিকে অবশেষে পাওয়া গেছে।

    যত তাড়াতাড়ি মেষপালক পড়ে যাওয়া মেষের কাছে পৌছায়, তার প্রথম প্রৈতি থাকে এটাকে তুলে নেওয়া। সদয়ভাবে তিনি মেষটিকে ঘুরিয়ে বসানোর চেষ্টা করে। এতে পেটে গ্যাসের চাপ উপশম হবে। মেষ যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিচে পড়ে থাকে তাহলে মেষপালক এর পায়ের উপর দাঁড় করানোর চেষ্টা করবে। তারপর, তার পা দিয়ে মেষের দুই পা ফাঁক করে মেষপালক মেষকে দাঁড় করিয়ে রাখে, এর দেহের অঙ্গগুলো মালিশ করতে থাকে পায়ের রক্ত চলাচল পুনরুদ্ধার করতে। এটা সঞ্চালিত হতে প্রায়ই বেশ সময় নেয়।

    মেষ যখন আবার হেঁটে যেতে শুরু করে তখন এটা প্রায়ই শুধু পদস্খলিত হয়, টাল হয়ে যায় এবং আরো একবার ঢিবির সাথে ধাক্কার সম্মুখীন হয়।

    একটু একটু করে মেষ তার সুস্থিতি পুনরায় ফিরে পায়। এটা অটলভাবে এবং নিশ্চিতভাবে হেঁটে যেতে শুরু করবে। একটু একটু করে এটা অন্যগুলোর সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হয়, তার ভয় এবং হতাশা থেকে মুক্ত হওয়া, তাকে আর একটু বেশিদিন বেঁচে থাকার আরেকটি সুযোগ দেয়। মেষ বিভিন্ন কারণে পড়ে যেতে পারে।

    . মেষ যে আরামদায়ক, নরম, বৃত্তাকার মাটির গর্ত বেছে নেয় সেখানে প্রায়ই পড়ে যায়এ অবস্থায় খুব সহজেই পিঠের উপর উল্টে পড়ে যেতে পারে।

    সহজ স্থান, আরামদায়ক কোণ, আরামদায়ক অবস্থান যেখানে কোন কষ্ট নেই, সহনশীলতার কোন প্রয়োজন নেই, আত্মশাসনের উপর কোন জোর নেই, খ্রীষ্টান জীবনেও সবসময় এধরনের স্থান যারা খুঁজছেন তারা বড় বিপদে আছেন।

    . অত্যধিক লোম থাকা একটি মেষের পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারেপ্রায়শই যখন মেষের লোম খুব দীর্ঘ হয়ে যায় এবং প্রচন্ডভাবে কাঁদা, সার, চোরকাঁটা এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ এর সঙ্গে জট পাকায়, তখন খুব সহজে একটি মেষ পড়ে যেতে পারে, বাস্তবিকভাবে নিজস্ব লোমে ভারগ্রস্ত হয়েই পড়ে যায়।

    শাস্ত্রের মধ্যে "লোম" মানে খ্রীষ্টান জীবনে পুরানো স্ব-জীবনে ফিরে যাওয়া। এটি বাহ্যিক অভিব্যক্তির একটি ভেতরের মনোভাব, আমাদের নিজস্ব ইচ্ছা এবং আশা ও আকাঙ্খার বিবৃতি। এটা আমাদের জীবনের দিকগুলোকে প্রকাশ করে, যেসব ক্ষেত্রে আমরা ক্রমাগত আমাদের চারপাশের জাগতিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। এখানে আমরা খুঁজে পাই পার্থিব বিষয়সমূহের আঁটসাঁট আহরণ, জাগতিক ধারণার ভার আমাদেরকে আকর্ষণ করতে থাকে এবং আমাদের চেপে ধরে। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে কোন মহাপুরোহিতের কখনো লোমের পোশাক পরে ইহুদীদের তাঁরুনির্মিত মন্দিরের অন্দরমহলে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। এটা অহংকার, গর্ব এবং ব্যক্তিগত ইচ্ছার বিষয়ে বলে - এবং ঈশ্বর এই সমস্ত বিষয় সহ্য করেন না।

    একটি মেষ পড়ে যায় কারণ এটি অত্যন্ত দীর্ঘ এবং ভারী হয়ে যায়, মেষপালক দ্রুতগতিতে পদক্ষেপ নেন অবস্থার প্রতিকার করার জন্য। তিনি মেষের লোম কেটে পরিষ্কার করেন যেন ভবিষ্যতের জীবন হারানোর বিপদ প্রতিহত করতে পারেন। এটি মনোরম প্রক্রিয়া নয়। লোম কাটার সময়টি মেষেরা পছন্দ করে না। এটা মেষপালকের জন্য কঠোর পরিশ্রমও প্রতিনিধিত্ব করে, কিন্তু এটি অবশ্যই করতে হবে।

    .     খুব মোটা হলে একটি মেষ পড়ে যেতে পারেএটা একটা জানা বিষয় যে বেশি চর্বিযুক্ত মেষ স্বাস্থ্যকরও নয় এবং উৎপাদনশীলও নয়এবং

    অবশ্যিকভাবে সাস্থ্যবান মেষটিই প্রায়শই পড়ে যায়। মেষদের পক্ষে নড়াচড়া করা এবং পায়ের উপর দাঁড়াতে পারা কঠিন হয়ে যায় শুধুমাত্র তাদের অতিরিক্ত ওজনের কারণে।

    একবার একজন মেষপালক যদি সন্দেহভাজন হয়ে পড়েন যে, তার মেষগুলো পড়ে যেতে পারে বেশি মোটা হয়ে ওঠার কারণে, তিনি দূরগামী পদক্ষেপ নেন। তিনি মেষদের উপর আরো কঠোর পদক্ষেপ নেন: তারা কম খাবার পায় এবং তাদের সাধারণ অবস্থা অনেক কাছ থেকে দেখাশোনা করা হয়। মেষপালকের উদ্দেশ্য হচ্ছে মেষগুলো চর্বিযুক্ত, তুলতুলে এবং দুর্বল না হয়ে যেন শক্তিশালী, বলিষ্ঠ এবং অনলস হয়।

    অধ্যায় ৪

    কেন মেষদের দিক নির্দেশনা দরকার

    সদাপ্রভ আমার পালক, আমার অভাব হইবে নাতিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালানতিনি আমার প্রাণ ফিরাইয়া আনেন, তিনি নিজ নামের জন্য আমাকে ধর্মপথে গমন করান

    গীতসংহিতা ২৩: -

    দিক নির্দেশণা ছাড়া আমাদের মন্ডলীর সদস্যগণ পথভ্রষ্ঠ হয়ে যাবে এবং তাদের জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। অনেকের জীবনে স্ব-ধ্বংসাত্মক নিদর্শন গঠিত হয়েছে। কিভাবে মেষদের নির্দেশিকার প্রয়োজন হয় সেই বিষয়টি আধুনিক মেষপালক প্রকাশ করেছেন। তিনি আমাদের বলেছেন যে, যখন মেষেরা নিজেদের মত করে চলে তারা বিপথে যায় এবং নেতিবাচক আত্মবিধ্বংসী নিদর্শন দ্বারা নিজেদেরকে ধ্বংস করে।

    তিনি সহভাগিতা করেছেন: মেষ সম্পর্কে একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর ভুল ধারণা হচ্ছে এই যে, তারা শুধু "যে কোন জায়গায় যেতে পারে"। সত্য একেবারেই বিপরীত। দেখাশোনা করার বিষয়ে মেষদের চেয়ে বিষদভাবে আর অন্য কোন গৃহপালিত পশু বর্গের ক্ষেত্রে এত বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজন হয় না। মেষ অন্ধ অনুসারী, অভ্যাসগতভাবে এবং বোকার মত পরস্পরকে অনুসরণ করবে সরু পথানুসারে যতক্ষণ না তারা দৃড়ভাবে ক্ষয় হতে থাকবে দানবীয় ধ্বংসের মধ্যে, তাই আমরা মানুষের মধ্যেও একই অভ্যাস দেখেছি যা অন্যদের জীবন ধ্বংস করেছে।

    আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি, প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন

    যিশাইয় ৫৩:

    মেষদেরকে পরিচালনা এবং দেখাশোনা করতে হবে বুদ্ধির সাথে। মেষদেরকে নিজেদের মত ছেড়ে দিলে তারা তাদের নিজস্ব ধ্বংসাত্মক অভ্যাসগত খেয়ালখুশি অনুযায়ী তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে চলাফেরা করে।

    . নির্দেশিকা ছাড়া মেষগুলো একই পথ অনুসরণ করবে যতক্ষণ না তারা ধ্বংস হয়ে যায়মেষেরা ঘাস কামড়ে খায় মাটি পর্যন্ত এমনকি যতক্ষণ না শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এধরনের স্থানে, ঘাসের শিকড় মাটি থেকে উঠে আসে, এই কারণে মাটি অনুর্বর হয়। এই ধরনের অপব্যবহার মানে উর্বরতা হ্রাস এবং সকল বিধ্বস্ত জমির ক্ষয়জনক অমঙ্গল।

    . নির্দেশিকা ছাড়া মেষ একই পাহাড় চাড়ণ করবে যতক্ষণ না তারা সেটিকে মরুভূমি বর্জ্যতে পরিণত না করেযখন মেষ পাতলা, অকেজো এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন উভয় জমি ও মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেষদেরকে দখোশোনা করার সময় একজন মেষপালকের সর্বাধিক একক রক্ষাকবচ হচ্ছে তার পালকে অনবরত মাঠের দিকে এগুতে সাহায্য করা। তাদরেকে পর্যায়ক্রমে চরে খাবার জন্য মাঠ থেকে মাঠে স্থানান্তরিত করতে হবে।

    . নির্দেশিকা ছাড়া মেষ তাদের নিজস্ব ভূমি দূষিত করে যতক্ষণ না এটি রোগ এবং পরজীবিতে পূর্ণ না হয়মেষদের আচরণ এবং তাদের পছন্দের কারণে নির্দিষ্ট বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত স্থানসমূহ, এই অত্যন্ত জীর্ণ এলাকা দ্রুত সব ধরনের পরজীবীতে পরিণত হয়। একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে একটি বিশাল পাল এইভাবে কৃমি, নেমাটোড এবং মামড়ির দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

    আপনি যে একজন মেষপালককে অনুসরণ

    করছেন তার 7টি লক্ষণ

    . সমৃদ্ধি।

    আপনি যে একজন মেষপালকের নেতৃত্বে আছেন তার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে সমৃদ্ধি। সমৃদ্ধি সবসময় তার কাছে আসে যে প্রভুর রবের বাধ্য হয়।

    সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে না

    গীতসংহিতা ২৩:

    . নীরবতা।

    আপনি যে একজন মেষপালকের নেতৃত্বে আছেন তার দ্বিতীয় লক্ষণ হচ্ছে নীরবতা, বিক্ষোভহীনতা এবং আশ্বাস।

    ... তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান

    গীতসংহিতা ২৩:

    . আধ্যাত্মিক খাদ্য।

    একজন মেষপালকের যত্নের অধীনরত ব্যক্তি ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা পূর্ণ হয়।

    তিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান ...

    গীতসংহিতা ২৩:

    . আরাম।

    মেষপালকের অধীনে থাকার কারণে আরাম প্রাপ্তি আপনার আরেকটি আশির্বাদ।

    যখন আমি মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা দিয়া গমন করিব, তখনও অমঙ্গলের ভয় করিব না, কেননা তুমি আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ, তোমার পাঁচনী ও তোমার যষ্টি আমাকে সান্ত্বনা করে

    গীতসংহিতা ২৩:

    .

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1