পালকেরা সবচেয়ে প্রধান যে দশটি ভুল করে থাকেন
()
About this ebook
...তখন প্রভু দাসকে কহিলেন, বাহির হইয়া রাজপথে রাজপথে ও গলিতে-গলিতে যাও, এবং আসিবার জন্য লোকদিগকে পীড়াপীড়ি কর, যেন আমার গৃহ পরিপূর্ণ হয়।” লূক ১৪:২৩। ঈশ্বরের প্রাণের ইচ্ছা যেন এই জগৎ পরিত্রাণ পায় এবং তাঁর গৃহ তথা মণ্ডলী যেন পরিপূর্ণ হয়!
এই চিন্তার রেখা থেকেই বিশপ ড্যাগ হিউয়ার্ড মিলস রচিত “মহামণ্ডলী” বইটির সূত্রপাত, যিনি ঘানার অন্যতম একটি বৃহৎ মণ্ডলীর পালক। অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ী এই বইটি পড়ার পর আপনার মণ্ডলী ও পরিচর্যা কাজ আর আগের মত থাকবে না!
“ড. হিউয়ার্ড-মিলস প্রভু যীশু খ্রীষ্টের কিাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জগতে সুসমাচার প্রচারের কাজে নিয়োজিত হয়েছেন। পরিচর্যা কাজের সাথে যুক্ত প্রত্যেকের জন্যই তিনি একজন মহান ও আদর্শ নেতা। “চার্চ গ্রোথ ইন্টারন্যাশনাল” থেকে আমরা সকলে এ কথা ব্যক্ত করতে পেরে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি যে, জগতের এই সুবিশাল শস্য ক্ষেত্রে ড. ড্যাগ হিউয়ার্ড-মিলস আমাদের একজন বন্ধু এবং সহকর্মী।
- ড. ডেভিড ইয়োঙ্গি চো
চেয়ারম্যান, চার্চ গ্রোথ ইন্টারন্যাশনাল
Dag Heward-Mills
Bishop Dag Heward-Mills is a medical doctor by profession and the founder of the United Denominations Originating from the Lighthouse Group of Churches (UD-OLGC). The UD-OLGC comprises over three thousand churches pastored by seasoned ministers, groomed and trained in-house. Bishop Dag Heward-Mills oversees this charismatic group of denominations, which operates in over 90 different countries in Africa, Asia, Europe, the Caribbean, Australia, and North and South America. With a ministry spanning over thirty years, Dag Heward-Mills has authored several books with bestsellers including ‘The Art of Leadership’, ‘Loyalty and Disloyalty’, and ‘The Mega Church’. He is considered to be the largest publishing author in Africa, having had his books translated into over 52 languages with more than 40 million copies in print.
Reviews for পালকেরা সবচেয়ে প্রধান যে দশটি ভুল করে থাকেন
0 ratings0 reviews
Book preview
পালকেরা সবচেয়ে প্রধান যে দশটি ভুল করে থাকেন - Dag Heward-Mills
পরিচর্যায় ঝিমিয়ে পড়া
অনেক পালকেরা তাদের পরিচর্যা কাজে এগিয়ে যাবার বিষয়ে ঝিমিয়ে পড়েছেন। কোন কোন সময় তারা ঈশ্বরের আহ্বান পালন করতেও দেরী করেন। সম্ভবত, অনেক পালকের অলসতার মনোভাব আছে। ধীর গতি হওয়া পরিচর্যাতে খুবই বিপদজনক বিষয়। আমাদের জীবনে একটি সিদ্ধান্তকারী বিষয় হলো আমাদের চলা ফেরার গতি একই সঙ্গে চলতে থাকে। এগুলো হলো আমার সময়
, আপনার সময়
ও আসল সময়
।
তখন যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, আমার সময় এখনও আইসে নাই, কিন্তু তোমাদের সময় সর্বদাই উপস্থিত।
যোহন ৭:৬
আপনার হাত ঘড়ির দিকে এখনই একটু তাকান। প্রাকৃতিকভাবে এখন এটাই আপনার সময়। এবার অন্য কারো হাত ঘড়ির দিকে তাকান। সেটি তার সময়। কিন্তু আসল সময় কোনটি?
বাস্তব জীবনে, প্রতিটি ঘড়িতে অন্যটির চাইতে অল্প একটু ভিন্ন সময় দেখায়। আমার ঘড়িটি সাধারণত কয়েক মিনিট আগে চলে যেন দেরী না হই। কোন কোন লোকদের ঘড়িতে সব সময় সঠিক সময় দেখায়। এই অবস্থা প্রতিটি মানুষের জন্য অনেক ধরনের সময় নিয়ে আসে।
আত্মিক পরিবেশে, আমাদের সকলেরই বিভিন্ন সময় আছে। আমার সময় আপনার সময়ের চাইতে আলাদা। সে জন্যই প্রভু যীশু বলেছিলেন, আমার সময় এখনও আসে নি কিন্তু তোমাদের সময় উপস্থিত
। কয়েক বছর আগে, প্রিন্সেস ডায়ানা হঠাৎ করে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়ে সমস্ত পৃথিবীকে শোকান্বিত করেছিলেন। কোন লোকই তার মৃত্যুর কথা ভাবতেও
পালকেরা সবচেয়ে প্রধান যে দশটি ভুল করে থাকেন
পারে নি কিন্তু তিনি মারা গিয়েছিলেন। কোন ব্যক্তিই তা আশা করে নি যে রবিবারের সকাল বেলাতে তিনি মারা যাবেন"।
তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে, যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করতেন, কত সময় হয়েছে?
আমি হয়তো উত্তর দিতাম যে আজ রবিবার সকাল এবং উপাসনায় যাবার সময় হয়েছে। আপনি যদি তাকে এই একই প্রশ্ন করতেন, তিনি হয়তো উত্তর দিতেন,
এটা আরেকটি রবিবারের সকাল। আর ক’দিন পরেই আমি আমার ছেলে-বন্ধুর সঙ্গে ফ্রান্সে যাবো"। কিন্তু আসলে সেদিন তার মৃত্যুর সাতদিন আগের দিন ছিল। দুঃখের বিষয় যে তিনি তা জানতেন না।
তার মৃত্যুর আগের শনিবারে, তিনি তার মিশরীয় ছেলে-বন্ধুর সঙ্গে প্যারিসে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। যদি কোন ব্যক্তি আপনাকে জিজ্ঞেস করতো এখন সময় কত হলো?
আপনি হয়তো উত্তর দিতেন, এখন আটটা বাজে
। যদি কোন লোক তাকে জিজ্ঞেস করতো, তিনি হয়তো উত্তর দিতেন, এখন শনিবার রাত, এ সময়টি হলো অভিসারের ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার রাত
। কিন্তু তিনি জানতেন না, যে সেটি তার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগের সময় ছিল। তার কবরে যাবার জন্য মাত্র এক সপ্তাহ বাকি ছিল।
আমার সময়
বলতে আমি আমার জীবনের সময়-তালিকার কোথায় আছি তা বোঝায়। আপনার সময়
শব্দটি দ্বারা আপনি আপনার জীবনের সময়-তালিকায় কোথায় আছেন তা বোঝায়, এবং আসল সময়
দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সার্বিক সময় তালিকায় কোথায় আছি তা বোঝায়।
অনেক লোক জানে না যে, এই জাগতিক জীবন সময়ের দ্বারা খুবই সীমাবদ্ধ। প্রতিটি নির্দেশনা বা সুযোগ সময় নির্ভর। এ কথাটি বেশ ভাল করে শুনে রাখুন: ঈশ্বর আপনাকে যে সব নির্দেশনা দিয়েছেন তার প্রত্যেকটিরই অদৃশ্য সময় সীমা আছে। যে মুহুর্তে ঈশ্বর আপনার সঙ্গে কথা বলেন সেই মুহুর্ত থেকেই সময় গোণা শুরু হয়ে যায়। প্রত্যেক ঘন্টার পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরের সেই দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রাপ্ত সময় কমতে থাকে। অনেকে মনে
পরিচর্যায় ঝিমিয়ে পড়া
করেন যে তারা শুধু সময়ের মধ্যে আছেন ও পরে কোন এক সময় ঈশ্বরের কথা গুরুত্বের সাথে নেবেন। প্রতারিত হবেন না! আপনার জীবনে ঈশ্বরের অনুগ্রহ শেষ হয়ে যাবার সময় খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে।
আগে আমি বলেছিলাম, প্রিন্সেস ডায়ানা হয়তো তাঁর বিয়ের জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। তিনি যা জানতেন না তা হলো এই যে, তিনি তাঁর চির-বিদায়ের রাত থেকে খুব বেশি দুরে ছিলেন না। তিনি জানতেন না যে তিনি ইতিহাসের সকল সময়ের মধ্যে সব চাইতে বড় শেষকৃত্যের সমাবেশের মূল বিষয় হবেন। তিনি ঈশ্বরের সময় জানতেন না।
আপনি কি ঈশ্বরের আসল সময় জানেন? আমরা কি ঈশ্বরের আসল সময় জানি?
যদি ঈশ্বর আপনাকে কোন কিছু করবার জন্য বলে থাকেন, সেই সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা টিক্ টিক্ করে চলতে শুরু করেছে। সময় আসবে যখন আপনি ঈশ্বরের সেই নির্দেশনা পূর্ণ করবার জন্য আর সময় পাবেন না।
কোন কোন সময় ঈশ্বর আপনাকে বলেন, আমার রাজ্যের জন্য আর্থিক সাহায্য দাও। হয়তো তার সঙ্গে পাঁচ বছর সময় ধরে তাঁর প্রতি বাধ্যতার ডাকও আসে। হয়তো তিনি আপনাকে বলেন,
একজন মিশনারী হয়ে বিদেশে যাও"। হয়তো এই নির্দেশনাটি দশ বছর সময়ের জন্য। কোন কোন লোক এই দশ বছরের আট বছর অন্য কিছু করে কাটায়, তারপরে শেষ দুই বছরে ঈশ্বরের বাধ্য হবার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এই দুবছরে কার্যকর কিছু করা যায় না।
এক দিন, ঈশ্বর আমাদের জীবন হতে সময়ের উপাদান সরিয়ে নেবেন। এ বিষয়টি প্রকাশিত বাক্য নামক পুস্তকে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে তিনি প্রতিজ্ঞা করে বলেছেন যে সেখানে সময় বলে আর কিছু থাকবে না। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত আমাদের যা কিছু করবার থাকে তার সব কিছুই টিক টিক করে চলা ঘড়ির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
পালকেরা সবচেয়ে প্রধান যে দশটি ভুল করে থাকেন
প্রিয় খ্রীষ্টান ভাই/বোন, আপনি যদি মনে করে থাকেন যে তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য আপনার অসীম সময় আছে তাহলে আপনি প্রতারণার চরম ফাঁদে পড়েছেন।
আর যিনি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, যিনি আকাশ ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের এবং পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের সৃষ্টি করিয়াছিলেন, তাহার নামে এই শপথ করিলেন" আর বিলম্ব হইবে না;
প্রকাশিত বাক্য ১০:৬
সকল বিষয়েরই কাল আছে ও আকাশের নীচে সমস্ত ব্যাপারের কাল আছে।
উপদেশক ৩:১
আমি একটি বই পড়েছিলাম যেখানে লেখক বলেছেন, আপনি যে বই লিখতে চান তা লিখুন এবং তা এখনই লিখুন
। তিনি আরোও বলেছেন, আপনার জীবনের পরবর্তী অবস্থায় আপনি এখন যা লিখতে চান তা আর কখনও লিখতে চাইবেন না
। কি সত্যি কথা!