Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

যারা ছলনা করে
যারা ছলনা করে
যারা ছলনা করে
Ebook212 pages1 hour

যারা ছলনা করে

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

মণ্ডলী আজ পরিপূর্ণ হয়েছে ভণ্ড ও অবাধ্য মানুষে। ভ্রান্তি ও ভণ্ডামি সব সময়ই শয়তানের প্রধান অস্ত্র হিসেবে গণিত ছিল। যে নেতা একজন ভণ্ডের মুখোশের ওপাশে আসল চেহারাটা দেখতে পারেন না, তাকে তার অন্ধত্বের জন্য অবশ্যই ভুগতে হবে।
পরিচর্যাকারীদেরকে হুমকি, জনপ্রিয়তা ও দ্বিধার মন্দ আত্মার সাথে লড়তে হয়। অধিকাংশ সময় মানুষ জানেই না তারা কিসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই বইটি আপনার ভেতরে অবস্থান করা শত্রুকে চিহ্নিত করতে ও তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

LanguageBengali
Release dateJun 7, 2018
ISBN9781641355643
যারা ছলনা করে
Author

Dag Heward-Mills

Bishop Dag Heward-Mills is a medical doctor by profession and the founder of the United Denominations Originating from the Lighthouse Group of Churches (UD-OLGC). The UD-OLGC comprises over three thousand churches pastored by seasoned ministers, groomed and trained in-house. Bishop Dag Heward-Mills oversees this charismatic group of denominations, which operates in over 90 different countries in Africa, Asia, Europe, the Caribbean, Australia, and North and South America. With a ministry spanning over thirty years, Dag Heward-Mills has authored several books with bestsellers including ‘The Art of Leadership’, ‘Loyalty and Disloyalty’, and ‘The Mega Church’. He is considered to be the largest publishing author in Africa, having had his books translated into over 52 languages with more than 40 million copies in print.

Reviews for যারা ছলনা করে

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    যারা ছলনা করে - Dag Heward-Mills

    . একজন ছলনাকারীর অভিনয়ের আত্মা রয়েছে।

    . একজন ছলনাকারীর ভ্রান্ত এবং নকলের আত্মা রয়েছে।

    . একজন ছলনাকারীর ভন্ডতা ও অবিশ্বস্ততার আত্মা রয়েছে।

    . একজন ছলনাকারীর গুপ্তচরের ও আধুনিক দিনের গোপন সেবার আত্মা রয়েছে।

    . একজন ছলনাকারীর মিথ্যা ও প্রবঞ্চনার আত্মা রয়েছে।

    . একজন ছলনাকারীর হত্যার আত্মা থাকে, কারণ অধিকাংশ ছলনাকারীরাই ধ্বংস এবং হত্যাকারী হয়।

    বাইবেল থেকে কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ছলনাকারীর উদাহরণ

    . দলীলা একজন ছলনাকারী ছিলেন: দলীলা শিমশনের প্রতি তার ভালবাসায় ছলনা করে ছিল। সে তাকে প্রশান্তি দিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দিয়েছিল এবং তার কোলে তাকে ঘুম পাড়িয়ে ছিল। আর পরিশেষে দেখা গেল এই সকলই ছিল ভন্ডতা। সে ছিল একজন  মিথ্যাবাদী, প্রবঞ্চক ও হত্যাকারী:

    "তৎপরে তিনি সোরেক উপত্যকার একজন স্ত্রীলোককে ভালবাসিলেন, তাহার নাম দলীলা।

    তাহাতে পলেষ্টীয়দের ভূপালেরা সেই স্ত্রীর নিকটে আসিয়া তাহাকে কহিলেন, তুমি তাহাকে ফুস্-লাইয়া দেখ, কিসে তাহার এমন মহাবল হয়, ও কিসে আমরা

    যারা ছলনা করে

    তাহাকে জয় করিয়া ক্লেশ দিবার জন্য রাখিতে পারিব; তাহাতে আমরা প্রত্যেকে তোমাকে এগার শত রৌপ্য মুদ্রা দিব।

    তখন দলীলা শিম্‌শোনকে কহিল, বিনয় করি, তোমার এমন মহাবল কিসে হয়, আর ক্লেশ দিবার জন্য কিসে তোমাকে বাঁধিতে পারা যায়, তাহা আমাকে বল।

    তখন, এ আমাকে মনের সমস্ত কথা ভাঙ্গিয়া বলিয়াছে বুঝিয়া, দলীলা লোক পাঠাইয়া পলেষ্টীয়দের ভূপালদিগকে ডাকাইয়া কহিল, এইবার আইসুন, কেননা সে আমাকে মনের সমস্ত কথা ভাঙ্গিয়া বলিয়াছে।

    তাহাতে পলেষ্টীয়দের ভূপালেরা টাকা হাতে করিয়া তাহার নিকটে আসিলেন।

    পরে সে আপনার জানুর উপরে তাঁহাকে নিদ্রিত করিল, এবং একজনকে ডাকাইয়া তাঁহার মস্তকের সাত গুচ্ছ কেশ ক্ষৌরি করাইল; এইরূপে সে তাঁহাকে ক্লেশ দিতে আরম্ভ করিল, আর তাঁহার বল তাঁহাকে ছাড়িয়া গেল।

    পরে সে কহিল, হে শিম্‌শোন, পলেষ্টীয়েরা তোমাকে ধরিল। তখন তিনি নিদ্রা হইতে জাগরিত হইয়া কহিলেন, অন্যান্য সময়ের ন্যায় বাহিরে গিয়া গা ঝাড়া দিব, কিন্তু সদাপ্রভু যে তাঁহাকে ত্যাগ করিয়াছেন, তাহা তিনি বুঝিলেন না।" বিচারকর্ত্তৃগন ১৬: -, ১৮-২০ পদ।

    .      ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা একজন ছলনাকারী ছিল: যিহুদা প্রভু যীশুর একজন বিশ্বস্ত শিষ্য হওয়ার ক্ষেত্রে ছলনা করেছিল। আর শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, সে একজন বিশ্বাসঘাতক, প্রবঞ্চক ও হত্যাকারী।

    "আর শয়তান ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদার ভিতরে প্রবেশ করিল, এ সেই বারো জনের একজন। তখন সে গিয়া প্রধান যাজকদের ও সেনাপতিদের সহিত কথোপকথন করিল, কিরূপে তাঁহাকে তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিতে পারিবে।

    একজন ছলনাকারীর আত্মা

    তখন তাহারা আনন্দিত হইল, ও তাহাকে টাকা দিতে প্রতিজ্ঞা করিল।

    তাহাতে সে সম্মত হইল, এবং জনতার অগোচরে তাঁহাকে তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিবার সুযোগ অন্বেষণ করিতে লাগিল।

    পরে তিনি প্রার্থনা করিয়া উঠিলে পর শিষ্যদের নিকটে আসিয়া দেখিলেন, তাঁহারা দুঃখ হেতু ঘুমাইয়া পড়িয়াছেন, আর তাঁহাদিগকে বলিলেন, কেন ঘুমাইতেছ? উঠ, প্রার্থনা কর, যেন পরীক্ষায় না পড়।

    তিনি কথা কহিতেছেন, এমন সময়ে দেখ, অনেক লোক, এবং যাহার নাম যিহূদা - সেই বারো জনের মধ্যে একজন - সে তাহাদের আগে আগে আসিতেছে; সে যীশুকে চুম্বন করিবার জন্য তাঁহার নিকটে আসিল। কিন্তু যীশু তাঁহাকে কহিলেন, যিহূদা, চুম্বন দ্বারা কি মনুষ্যপুত্রকে সমর্পণ করিতেছ?" লূক ২২: -, ৪৫-৪৮ পদ।

    .     অবশালোম একজন ছলনাকারী ছিলেন: অবশালোম যখন তার ভাইকে তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন সেই সময় তার ভাইয়ের প্রতি ভালবাসায় ছলনা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল সেই নিমন্ত্রণটিই ছিল একটি ছলনা। তার সেই তথাকথিত নিমন্ত্রণ আসলে তার ভাই আমনকে হত্যা করার একটি ফাঁদ।

    "আর তাহার সহোদর অবশালোম তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তোমার ভ্রাতা অম্নোন কি তোমার সহিত সংসর্গ করিয়াছে? কিন্তু এখন হে আমার ভগিনি, চুপ থাক, সে তোমার ভ্রাতা; তুমি এই বিষয়ে বিমনা হইও না। তদবধি তামর বিষণ্ন ভাবে আপন সহোদর অবশালোমের গৃহে থাকিল।

    কিন্তু দায়ূদ রাজা এই সকল কথা শুনিয়া অতিশয় ক্রুদ্ধ হইলেন।

    আর অবশালোম অম্নোনের কাছে ভাল-মন্দ কিছুই বলিল না, কেননা তাহার সহোদরা তামরকে সে মানভ্রষ্ট করাতে অবশালোম অম্নোনকে ঘৃণা করিল। সম্পূর্ণ

    দুই বৎসর পরে ইফ্রয়িমের নিকটস্থ বাল্‌-হাৎসোরে অবশালোমের মেষগুলোর লোম কাটা হইল; এবং অবশালোম সমস্ত রাজপুত্রকে নিমন্ত্রণ করিল।

    আর অবশালোম রাজার নিকটে আসিয়া কহিল, দেখুন, আপনার এই দাসের মেষগুলোর লোম কাটা হইতেছে; অতএব বিনয় করি, মহারাজ ও রাজার দাসগণ আপনার দাসের সঙ্গে আগমন করুন।

    রাজা অবশালোমকে কহিলেন, হে আমার পুত্র, তাহা নয়, আমরা সকলে যাইব না, পাছে তোমার ভারস্বরূপ হই। তথাপি সে পীড়াপীড়ি করিল, তবু রাজা যাইতে সম্মত হইলেন না, কিন্তু তাহাকে আশীর্বাদ করিলেন।

    তখন অবশালোম কহিল, যদ্যপি তাহা না হয়, তবে আমার ভ্রাতা অম্নোনকে আমাদের সঙ্গে যাইতে দিউন; রাজা তাহাকে কহিলেন, সে কেন তোমার সঙ্গে যাইবে? কিন্তু অবশালোম তাঁহাকে পীড়াপীড়ি করিলে রাজা অম্নোনকে ও তাহার সহিত সমস্ত রাজপুত্রকে যাইতে দিলেন।

    পরে অবশালোম আপন চাকরদিগকে এই আজ্ঞা দিল, দেখিও, দ্রাক্ষারসে অম্নোনের চিত্ত প্রফুল্ল হইলে যখন আমি তোমাদিগকে বলিব, অম্নোনকে মার, তখন তোমরা তাহাকে বধ করিও, ভীত হইও না। আমি কি তোমাদিগকে আজ্ঞা দিই নাই? তোমরা সাহস কর, বীর্যবান হও।

    পরে অবশালোমের চাকরেরা অম্নোনের প্রতি অবশালোমের আজ্ঞামত কর্ম করিল। তখন রাজপুত্রগণ সকলে উঠিয়া আপন আপন খচ্চরে চড়িয়া পলায়ন করিল।"

    ২ শমুয়েল ১৩: ২০-২৯ পদ।

    .          যায়েল একজন ছলনাকারী ছিলেন: তিনি সীষরার সাথে ছলনা করে ছিলেন, সীষরা ছিলেন কনানীয় সেনাবাহিনীর একজন সেনাপতি। যায়েল তাকে তার তাবুতে আসতে উৎসাহ দিয়েছিলেন এবং তাকে বলেছিলেন ভয় পাবেন না, বিশ্রাম করুন।

    যায়েল সীষরাকে হত্যা করেছিলেন তাবুর একটি গোঁজ দিয়ে। সেটি তার কানের মধ্য দিয়ে মাটিতে গেঁথে দিয়েছিলেন। এই ধরনের বিভিষীকাময় কাজ করতে কয়েক জন পুরুষ হয়ত সক্ষম হবে। সেই নরম, কোমল, ছলনাকারী নারী আসলে একজন হত্যাকারী ছিলেন। আশ্চর্য!

    কিন্তু সীষরা পদব্রজে পলাইয়া কেনীয় হেবরের স্ত্রী যায়েলের তাম্বুর দিকে গেলেন; কেননা হাৎসোরের যাবীন রাজাতে ও কেনীয় হেবরের কুলে তখন ঐক্য ছিল।

    আর যায়েল সীষরার সঙ্গে দেখা করিতে বাহির হইয়া তাঁহাকে কহিলেন, হে আমার প্রভু, ফিরিয়া আইসুন, আমার এখানে আইসুন, ভীত হইবেন না। তখন তিনি তাঁহার দিকে ফিরিয়া তাম্বুর মধ্যে গেলে সেই স্ত্রী এক কম্বল দিয়া তাঁহাকে ঢাকিয়া রাখিলেন।

    আর সীষরা তাঁহাকে কহিলেন, বিনয় করি, আমাকে একটু খাবার জল দেও, আমি পিপাসিত হইয়াছি। তাহাতে তিনি দুগ্ধের কুপা খুলিয়া পান করিতে দিলেন ও তাঁহাকে ঢাকিয়া রাখিলেন।

    পরে সীষরা তাঁহাকে কহিলেন, তুমি তাম্বুদ্বারে দাঁড়াইয়া থাক; যদি কেহ আসিয়া জিজ্ঞাসা করে, এখানে কি কোন মনুষ্য আছে? তবে বলিও, কেহ নাই।

    পরে হেবরের স্ত্রী যায়েল তাম্বুর একটি গোঁজ লইলেন, ও মুদ্গর হস্তে করিয়া ধীরে ধীরে তাঁহার নিকটে গিয়া তাঁহার কর্ণমূলে গোঁজ এমন বিদ্ধ করিলেন যে, তাহা মৃত্তিকায় প্রবেশ করিল; কারণ তিনি নিদ্রাগত ছিলেন; এইরূপে তিনি মূর্চ্ছিত হইয়া মরিয়া গেলেন। (বিচারকর্ত্তৃগন ৪: ১৭- ২১ পদ।)

    .      হূশয় একজন ছলনাকারী ছিলেন: হূশয় অবশালোমের একজন প্রকৃত সঙ্গী হওয়ার বিষয়ে ছলনা করেছিলন। তিনি তাকে কখনও ভাল পরামর্শ দেন নি। আসলে হূশয় রাজা দায়ূদের পক্ষে কাজ করছিলেন। তাকে অবশালোমের কাছে পাঠানো হয়েছিল যেন তিনি গোপনে দায়ূদকে সাহায্য করতে পারেন।

    যারা ছলনা করে

    পরে যে স্থানে লোকেরা ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রণিপাত করিত, দায়ূদ পর্বতের সেই শিখরে উপস্থিত হইলে দেখ, অর্কীয় হূশয় ছেঁড়া আঙ্গরাখা পরিয়া মাথায় মৃত্তিকা দিয়া দায়ূদের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন।

    দায়ূদ তাঁহাকে কহিলেন, তুমি যদি আমার সহিত অগ্রসর হও, তবে আমাকে ভারগ্রস্ত করিবে।

    কিন্তু যদি নগরে ফিরিয়া গিয়া অবশালোমকে বল, হে রাজন্‌, আমি আপনার দাস হইব, ইতিপূর্বে যেমন আপনার পিতার দাস ছিলাম, তেমনি এখন আপনার দাস হইব, তাহা হইলে তুমি আমার জন্য অহীথোফলের মন্ত্রণা ব্যর্থ করিতে পারিবে।

    সেই স্থানে সাদোক ও অবিয়াথর, এই দুই যাজক কি তোমার সহিত থাকিবেন না? অতএব তুমি রাজবাটীর যে কোন কথা শুনিবে, তাহা সাদোক ও অবিয়াথর যাজককে বলিবে। ২ শমুয়েল ১৫: ৩২-৩৫ পদ।

    তখন দায়ূদের মিত্র অর্কীয় হূশয় অবশালোমের নিকটে আসিলেন। হূশয় অবশালোমকে কহিলেন, মহারাজ চিরজীবী হউন, মহারাজ চিরজীবী হউন।

    অবশালোম হূশয়কে কহিল, এই কি মিত্রের প্রতি তোমার দয়া? তুমি আপন মিত্রের সহিত কেন গমন করিলে না?

    হূশয় অবশালোমকে কহিলেন, তাহা নয়; কিন্তু সদাপ্রভু, এই জাতি ও ইস্রায়েলের সমস্ত লোক যাঁহাকে মনোনীত করিয়াছেন আমি তাঁহারই হইব, তাঁহারই সহিত থাকিব। আর পুনশ্চ, আমি কাহার সেবা করিব? তাঁহার পুত্রের সাক্ষাতে কি নয়? যেমন আপনার পিতার সাক্ষাতে সেবা করিয়াছি, তেমনি আপনার সাক্ষাতেও করিব। পরে অবশালোম অহীথোফলকে কহিল, এখন কি কর্তব্য? তোমরা মন্ত্রণা দেও। (২ শমুয়েল ১৬: ১৬- ২০ পদ।)

    .     দীণার ভাইয়েরা ছলনাকারী ছিলেন: তারা ছলনা করেছিল শিখিমের সাথে, যখন শিখিম তাদের বোনকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। আসলে তারা পুরো গ্রামের সকলকে হত্যা করতে চেয়েছিল।

    আর লেয়ার কন্যা দীণা, যাহাকে তিনি যাকোবের জন্য প্রসব করিয়াছিলেন, সেই দেশের কন্যাদের সঙ্গে দেখা করিতে বাহিরে গেল। আর হিব্বীয় হমোর নামক দেশাধিপতির

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1