Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন করুন
আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন করুন
আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন করুন
Ebook411 pages2 hours

আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন করুন

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

নিঃসন্দেহে এটি সাদরে গ্রহণ করার মত একটি বই। বিশপ ড্যাগ হিউয়ার্ড-মিলস, যিনি নিজেও একজন পালক, এই বইটিতে ব্যাখ্যা করেছেন কেন এবং কীভাবে আরও ফলপ্রসূ উপায়ে পালকীয় পরিচর্যা সম্পাদন করা যায়।

LanguageBengali
Release dateSep 5, 2018
ISBN9781641355667
আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন করুন
Author

Dag Heward-Mills

Bishop Dag Heward-Mills is a medical doctor by profession and the founder of the United Denominations Originating from the Lighthouse Group of Churches (UD-OLGC). The UD-OLGC comprises over three thousand churches pastored by seasoned ministers, groomed and trained in-house. Bishop Dag Heward-Mills oversees this charismatic group of denominations, which operates in over 90 different countries in Africa, Asia, Europe, the Caribbean, Australia, and North and South America. With a ministry spanning over thirty years, Dag Heward-Mills has authored several books with bestsellers including ‘The Art of Leadership’, ‘Loyalty and Disloyalty’, and ‘The Mega Church’. He is considered to be the largest publishing author in Africa, having had his books translated into over 52 languages with more than 40 million copies in print.

Reviews for আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন করুন

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন করুন - Dag Heward-Mills

    প্রকৃত পরিচর্যা

    অধ্যায় ১ 

    কেন আপনাকে নকল পরিচর্যা কাজ এড়িয়ে চলা উচিৎ

    পুরাতন নিয়মে সত্য পরিচর্যাকে মন্দিরের স্বর্ণ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। মন্দিরের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীকে স্বর্ণ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ঈশ্বর মোশীকে মন্ডলীর নকশা দিয়েছিলেন।

    পরে সদাপ্রভু মোশীকে কহিলেন, তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে আমার নিমিত্তে উপহার সংগ্রহ করিতে বল:

    হৃদয়ের ইচ্ছায় যে নিবেদন করে, তাহা হইতে তোমরা আমার সেই উপহার গ্রহন করিও।

    আর তাহারা আমার নিমিত্তে এক ধর্ম্মধাম নির্ম্মাণ করুক, তাহাতে আমি তাহাদের মধ্যে বাস করিব।

    পরে তুমি নির্ম্মল স্বর্ণে আড়াই হস্ত দীর্ঘ ও দেড় হস্ত প্রস্থ পাপাবরণ প্রস্তুত করিবে।

    তুমি এই পাপাবরণ সেই সিন্দুকের উপরে রাখিবে, এবং আমি তোমাকে যে সাক্ষ্যপত্র দিব, তাহা ঐ সিন্দুকের মধ্যে রাখিবে। আর আমি সেই স্থানে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিব, এবং পাপাবরণের উপরিভাগ হইতে, সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরিস্থ দুই দুই করূবের মধ্য হইতে তোমার সঙ্গে আলাপ করিয়া ইস্রায়েল-সন্তানগণের প্রতি আমার আজ্ঞা তোমাকে জ্ঞাত করিব।

    যাত্রাপুস্তক ২৫: ১,২,৮,১৭,২১,২২

    ঈশ্বর তার মন্দিরের চেহারা এই মতই দেখতে চেয়েছিলেন। কোন মানুষেরই ঈশ্বরের মহাপরিকল্পনার মধ্যে তার নিজের বৈচিত্র হাজির করার

    আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন

    কোন অধিকার নেই। যখন রাজা শলোমন-মন্দির নির্মাণ করেছিলেন তখন তিনি ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুসরণ করেছিলেন।

    তিনি অন্তগৃর্হ ভিতরে বিংশতি হস্ত দীর্ঘ ও বিংশতি হস্ত প্রস্থ ও বিংশতি হস্ত উচ্চ করিয়া নির্ম্মল স্বর্ণে মুড়াইলেন, এবং বেদি এরসকাষ্ঠে মুড়াইলেন। শলোমন নির্ম্মল স্বর্ণ দ্বারা গৃহের ভিতরের ভাগ মুড়াইলেন, এবং অন্তগৃহের সম্মুখে স্বর্ণশৃঙ্খল রাখিলেন, আর অন্তগৃহ স্বর্ণ দ্বারা মুড়াইলেন। তিনি সমস্ত গৃহ স্বর্ণে মুড়াইলেন, যে পর্য্যন্ত সমুদয় গৃহ সাঙ্গ না হইল: এবং অন্তগৃহের নিকটস্থ সমস্ত বেদিটী স্বর্ণে মুড়াইলেন। আর তিনি অন্তগৃহের মধ্যে দশ দশ হস্ত উচ্চ জিতকাষ্ঠের দুই করূপ নির্ম্মান করিলেন।

    পরে তিনি করূপ দুইটাকে স্বর্ণে মুড়াইলেন। এবং গৃহের মেজিয়া ভিতরে বাহিরে স্বর্ণে মুড়াইলেন।

    ১ম রাজাবলি ৬:২০-২৩,২৮,৩০

    শলোমন সদাপ্রভুর গৃহস্থিত সমস্ত পাত্র নির্ম্মাণ করাইলেন: স্বর্ণবেদি ও দর্শনরুটী রাখিবার স্বর্ণমেজ: এবং অন্তগৃহের সম্মুখে দক্ষিণে পাঁচটী ও বামে পাঁচটী নির্ম্মল স্বর্ণময় দীপবৃক্ষ, এবং স্বর্ণময় পুষ্প, প্রদীপ ও চিমটা: আর নির্ম্মল স্বর্ণময় ডাবর, কর্ত্তরী, বাটি, চমস ও অঙ্গার-পাত্র: এবং ভিতরের গ্রহের অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানের কবাটের জন্য এবং গৃহের অর্থাৎ মন্দিরের কবাটের জন্য স্বর্ণময় কবজা করাইলেন।

    ১ম রাজাবলি ৭:৪৮-৫০

    অনেক বছর পরে, অন্য একজন রাজা সোনার বিকল্প হিসেবে পিতল ব্যবহার করেছিলেন। পিতল দেখতে দেখতে অনেক খানি সোনার মত। এটি কাছাকাছি এবং সমান্তরাল কিন্তু এটা সোনা নয়। রাজা রহবিয়াম ঈশ্বরের গৃহে পিতল নিয়ে এসেছিলেন। এটি দেখতে আসল জিনিসের মত ছিল কিন্তু ঈশ্বর এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। পিতল তামা ও দস্তার সমন্বয়ে তৈরী একটি খাদ জাতীয় বস্তু। বাস্তবে পিতল খাঁটি সোনা থেকে অনেক আলাদা। নকল জিনিস যখন আসল জিনিসের বিকল্প হিসেবে প্রতিস্থাপিত

    কেন আপনাকে নকল পরিচর্যা কাজ এড়িয়ে চলা উচিৎ

    হয় তখন অনেক মানুষ এর দ্বারা প্রতারিত হয়। এজন্যই আমি এই বইটি লিখছি।

    ২য় বংশাবলি ১২:৯-১০

    মিসর-রাজ শীশক যিরূশালেমের বিরুদ্ধে আসিয়া সদাপ্রভুর গৃহের ধন ও রাজবাটীর ধন লইয়া গেলেন: তিনি সমস্তই লইয়া গেলেন: শলোমনের নির্ম্মিত স্বর্ণময় ঢাল সকলও লইয়া গেলেন। পরে রহবিয়াম রাজা তৎপরিবর্ত্তে পিত্তলময় ঢাল নির্ম্মান করাইয়া রাজবাটীর দ্বারপাল পদাতিকদিগের অধ্যক্ষগণের হস্তে সমর্পণ করিলেন।

    এই বইটির মধ্য দিয়ে আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই যাতে আপনি মন্দিরে সোনা রাখতে পারেন। আপনি অবশ্যই বাইবেলের পরিচর্যা কাজের বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারেন না। এই ধরনের ঘটনায় অনেক পেশাজীবি, সাধারন মানুষ জানেন না যে আসলে পেশাদারীরা কি করেন। সাধারন মানুষ জানেন না, উদাহরন স্বরূপ, একজন বিমান চালক বা চিকিৎসক কি করেন তা তারা জানেন না। যারা পরিচর্যাকাজের সাথে সংযুক্ত তাদের প্রত্যেকেরই কিছু কিছু বিষয় জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ!

    আমি বুঝতে পারি অনেক মানুষ তারা কি করে সে সম্পর্কে একটি রহস্যময় আবরন তৈরী করতে পছন্দ করেন। তারা তাদের ভাবমূর্তি উন্নত করার জন্য এগুলো করে থাকেন। যাহোক, প্রভু আমাকে একজন আসল পালকের কি কর্তব্য তা শিক্ষা দেবার জন্য আমাকে আহবান জানালেন। আমি শুধুমাত্র আসল বিষয়গুলি আপনাদের কাছে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

    এটি আমার প্রার্থনা যেন আপনি পরিচর্যা কাজের সরলতা বিশ্বাস করতে পারেন। আমি দেখেছি যে মানুষ প্রায়শই সাধারন সত্যে জটিল মতবাদ পছন্দ করে। তারা মনে করে যে প্রচার যত জটিল হবে, এটি সম্ভবত ঈশ্বরের কাছ থেকে অবর্তীন তা বেশী করে মনে হবে। কিছু মহৎ সত্যগুলো প্রায়ই এতটাই সহজ হয় যা সাধারন মানুষের উপলদ্ধি করার জন্য যথেষ্ট।

    আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন

    প্রেরিত পুস্তকে, পিতর ও অন্যান্য প্রেরিতবর্গ পরিচর্যার একটি সন্ধিক্ষণে পৌছালেন। এই সন্ধিক্ষনে তারা কোন মতবাদ গ্রহন করবেন তা তাদের বেছে নিতে হয়েছিল। তাদের বেছে নিতে হয়েছিল যা তারা কি আসল পরিচর্যাকারী নাকি জাগতিক প্রশাসক হতে যাচ্ছেন! কিন্তু তারা আসল পরিচর্যা কাজ বেছে নিয়েছেন।

    তখন সেই বারো জন প্রেরিত শিষ্যসমূহকে কাছে ডাকিয়া কহিলেন, আমরা যে ঈশ্বরের বাক্য ত্যাগ করিয়া ভোজনের পরিচর্য্যা করি, ইহা উপযুক্ত নহে। কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা আপনাদের মধ্য হইতে সুখ্যাতিপন্ন এবং আত্মায় ও বিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ সাত জনকে দেখিয়া লও: তাঁহাদিগকে আমরা এই কার্য্যরে ভার দিব। কিন্তু আমরা প্রার্থনায় ও বাক্যের পরিচর্য্যায় নিবিষ্ট থাকিব।

    প্রেরিত ৬:২-৪

    আপনাকে অবশ্যই সত্য পরিচর্য্যা এবং নকল পরিচর্য্যার মাঝে পার্থক্য বোঝার সক্ষমতা থাকতে হবে। একটি নকল পরিচর্যা আসল হতে পারে না। যেমন পিতল, যা সোনার বিকল্প হিসেবে খুবই সঙ্গতিহীন, যদিও এটি আসল জিনিসের কাছাকাছি ও সাদৃশ্য দেখতে। অনেক জিনিস আছে যা আসল পরিচর্যা কাজের মত দেখতে, কিন্তু তারা আসল নয়। উদাহরন স্বরূপ: মন্ডলীর প্রশাসক হওয়া মানে আপনাকে পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত হওয়া। অনেক পালক আসলেই প্রশাসক। তাদের মন্ডলীর অফিস ঘরে খুবই ব্যস্ত মনে হয়। মানসিক ভাবে তারা মনে করেন যে তারা ঈশ্বরের জন্য কাজ করছেন। মোটের উপর অফিস ও কম্পিউটারের পিছনে তাদের সারা দুনিয়া। মানুষ মনে করে নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কিছু করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। তারা সেখানে কেউ একজন সচিব, নিরাপত্তা কর্মী। কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং এই রকম কিছু হিসেবে যান। যদি একজন পালক এই রকম কিছু একটা না করতে পারেন তাহলে তিনি নিজেকে একজন বেকার মনে করেন। অনেক লোক আছেন যারা সকাল এগারোটায় আমাকে বাসায় ফোন করেন। তারা জিজ্ঞেসা করেন আমি ঘুমাচ্ছি কি না। তারা মনে করেন একজন পালক সারা সপ্তাহ ধরে ঘুমান।

    কেন আপনাকে নকল পরিচর্যা কাজ এড়িয়ে চলা উচিৎ

    প্রিয় সু-সমাচারের পরিচর্যাকারীগণ, মানুষের মতামত দ্বারা চালিত হবেন না। জগতের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। এটি বায়বিয় শক্তির রাজপুত্র যে জগৎকে নিয়ন্ত্রন ও পরিচালিত করে থাকে। জগতের সবকিছু আত্মা রাজত্ব। শয়তান চতুর এবং সমগ্র জগৎকে প্রতারনা করে চলেছে। কিছু এই প্রতারনা অবশ্যই মন্ডলীতে আসবেন না।

    সেই সকলেতে তোমরা পূর্ব্বে চলিতে, এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের কর্ত্তৃত্বাধিপতির অনুসারে, যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানগণের মধ্যে কার্য্য করিতেছে, সেই আত্মার অধিপতির অনুসারে চলিতে।

    ইফিষীয় ২:২

    এই পৃথিবী এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করে প্রতারিত হচ্ছে যে মৃত্যুর পরে আর কোন জীবন নেই। খাও, দাও, পান করো এবং বিবাহ করো আগামীকাল আমরা মরতে যাচ্ছি। যখন আপনি মারা যাবেন তখন আপনি একজন মরা কুকুরের মত! এই পৃথিবীতেই স্বর্গ এবং এই পৃথিবীতেই নরক! আপনি যা করতে পারবেন তাই জীবন! এই সূক্ষ স্লোগান জনগনকে টাকা ও আমোদ প্রমোদের পিছনে দৌড়ানোর জন্য প্রভাবিত করছে।

    যখন মন্ডলীতে এই ধরনের চিন্তা প্রবেশ করে, লোকেরা মনে করে জাগতিক কাজ কর্মই বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এমন কি পালকগণও অন্য লোকদের মতো কম্পিউটার কেনা ও অফিসে বসার জন্য চাপের মুখে থাকে। কিছু আমরাঅন্য লোকদের মতো নই! আমরা ঈশ্বরের পালের লোক।

    পালকেরা "ময়লা’ লোক যারা ভেড়াদের সাথে থাকে। পালকেরা তার মেণদের জন্য জীবন দিয়ে থাকেন। একজন মেষপালক আরাম কেদারায় বসা প্রশাসক নয়!!

    যখন আপনি ঘোষনা দিলেন যে প্রার্থনা করাই আপনার কাজ। তৎক্ষনাৎ আপনার চেহারা উৎকট হয়ে গেল। সবকারী কর্মকর্ত্তা সুপারিশ করার স্পর্ধা দেখায় যে মন্ডলীর আরো ফলপ্রসূ কাজ আছে সময় ব্যয় করার। ঠিক আছে!

    আপনার পালকীয় পরিচর্যার রূপান্তর করুন

    প্রার্থনার চেয়ে ফলপ্রসূ আর কি আছে? আমরা কেন শুনবো যে অবিশ্বাসীরা বলছে আমাদের কিভাবে কাজ করা উচিৎ? কেন একজন ঈশ্বর বিহীন লোক মন্ডলীতে তার দায়িত্ব সম্বন্ধে শিক্ষা দিতে আসে?

    মন্ডলীতে অনেক চাপ আসে যে পরিচর্যাকারীগণ যীশুর মহান আদেশ একপাশে সরিয়ে রাখেন। মন্ডলীর প্রধানের কাছ থেকে আসা আমাদের জন্য প্রধান নিদের্শনা হচ্ছে মহান আদেশ।

    অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর: পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর: আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।

    মথি ২৮:১৯-২০

    এটি নিজের জন্য পড়ুন। এটি লিখিত আকারে রয়েছে। এখানে কোন সামাজিক, স্বাস্থ্য বা শিক্ষা কার্যক্রম সম্বন্ধে কোন নিদের্শনা নেই। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা মানে আদেশের উপজাত হতে পারে কিন্তু উপজাত অবশ্যই প্রধান পন্য হতে পারে না!

    আজ মন্ডলীর প্রধান বিভাগ হচ্ছে হাসপাতাল, বিদ্যালয়, দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ক্লাব। এটি দু:খজনক! আপনি দেখবেন যে জাগতিক স্বাস্থ্য সংস্থা এবং শিক্ষা কেন্দ্র তাদের মূল কাজ এক পাশে সরিয়ে রাখে না। শয়তান সপ্রশংসিত ভাবে হাসে যে পরিচর্যাকারীগণ সুসমাচারকে রাজনীতি, সামাজিক কর্মকান্ড এবং স্বাস্থ্য কর্মীতে রূপান্তরিত করে ফেলছে। পরিচর্যার স্বর্ণ আজ পিতল দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে!

    এই মনোভাব সাধারন খ্রীষ্টিয়ানদের দিকে ও ধাবিত হচ্ছে। একদিন একজন যুবছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি রিপোট আমার কাছে নিয়ে আসল। সে বলল পালক, ঈশ্বর এই ক্যাম্পাসে বিচরন করছেন।

    আমি বললাম,সত্যি, কি হয়েছে?

    সে বলল, ঈশ্বর কাজ করছেন!

    আমি প্রশ্ন করলাম, কিভাবে ঈশ্বর কাজ করছেন? সে বলল "লোকেরা

    কেন আপনাকে নকল পরিচর্যা কাজ এড়িয়ে চলা উচিৎ

    তাদের পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হচ্ছে!

    আমি হতচকিত হয়েছিলাম। পরীক্ষা? আমার স্বর বের হচ্ছিল না। আমি নিজে নিজে বললাম, যখন ঈশ্বর কাজ করেন বা পরিচালিত হন তখন লোকেরা পরিত্রাণ পায় ও পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়। পরীক্ষায় পাশ করা ঈশ্বরের আশির্বাদ কিন্তু এটি ঈশ্বরের চালনা নয়। আমাদের ঈশ্বরের কাজ এটি বিভ্রান্ত হওয়া উচিৎ নয়। আসুন আমরা বুঝতে চেষ্টা করি যে বাইবেল আমাদের কাজ সম্পর্কে কি শিক্ষা দেয়। সোনার বদলে পিতলে যেন আমরা ভুল না করি।

    মন্দিরে শুধুমাত্র স্বর্ণে এনে আমরা বহরিয়াম যে বিচারিত হয়েছিল তা এড়িয়ে চলি।

    এটি আমার প্রার্থনা যেন আপনারা এই বইটি পড়ে পালক, পরিচর্যাকারী এবং মন্ডলীর নেতাদের কি করতে হবে তা বুঝতে পারেন।নকল পরিচর্যা থেকে সরে আসার এখনই সময়। আমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ফিরে আসা তরান্বিত করার জন্য এমন কিছু করতে পারি না যাকে আপাত দৃষ্টিতে আসল মনে হয় কিন্তু আসলে তা নয়।

    তিনটি কারণ

    সংক্ষেপে, এখানে তিনটি কারন বর্ণনা করা হয়েছে যে কেন আমাদের নকল পরিচর্যা কাজ এড়িয়ে চলা উচিৎ।

    ১. মন্ডলী একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সুসমাচার প্রচারও সমগ্র জগতে শিষ্য তৈরী করা বাধ্যতামূলক। অন্য কেউ আমাদের পক্ষে আমাদের কাজ করে দিতে পারে না।

    ২. আমাদের অবশ্যই জগৎকে তারা আমাদের কাছ থেকে যা আশা করে তা করে তাকে প্রভাবিত করা চেষ্টা করা উচিৎ নয়। ঈশ্বরই একমাত্র যিনি আমাদের আহবান করেছেন এবং তিনিই একমাত্র যাকে আমাদের খুশি করার চেষ্টা করতে হবে।

    ৩. আমরা একমাত্র আসল পরিচর্যা কাজ করে শয়তান এবং তার বাহিনীবে পরাজিত করতে পারি। এই শেষ সময়ের যুদ্ধে নকল পরিচর্যা কাজের কোন স্থান নাই।

    আমার ছোট একটি সাংকেতিক চিহৃ আছে যা আপনাকে ও আমাকে একজন ঈশ্বরের অভিষিক্ত পালকের নিরহঙ্কার পূর্ণ দায়িত্ব মনে করিয়ে দিবে। এটি এই রকম: প্রার্থনা, পরিদর্শন, শিক্ষা(পরামর্শ এবং প্রচার) এবং সম্পর্ক।

    ২য় অধ্যায়

    কিভাবে আপনি পরিচর্যায় উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারেন

    আপনি পরিচর্যা কাজে উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারেন! আপনার পরিচর্যায় মাঝামাঝি পর্যায় বলতে কিছু থাকা উচিৎ নয়। যাহোক, আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে উৎকর্ষতা অবশ্যই ঈশ্বরের মানদন্ড অনুযায়ী হতে হবে। এই সংক্ষিপ্ত অধ্যায়ে আপনাদের চারটি চাবিকাঠি দেখাতে চাই যা যীশুর পরিচর্যা কাজে উৎকর্ষতা নিয়ে আসবে।

    আমাদের সকলের জন্য যীশু খ্রীষ্টই হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ উদাহরন। তাকে আমাদের জন্য দেওয়া হচ্ছে ঈশ্বর কেমন তা আমরা দেখতে পারি। যে কোন পরিস্থিতিতে অনুসরন করার জন্য আমাদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরন রয়েছে।

    ইনি তাঁহার প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক, এবং আপন পরাক্রমের বাক্যে সমদিয়ের ধারনকর্ত্তা হইয়া পাপ ধৌত করিয়া উর্দ্ধলোকে মহিমার দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন।

    ইব্রীয় ১:৩

    এটি মনে রাখবেন যে যখন আপনাকে কি করতে হবে তা আপনার জানা থাকবে না। তখন যীশু যা করেছিলেন তা করুন। যীশু একজন উত্তম মেষপালক যোহন ১০:১১)। তিনি একজন ডপালকের শ্রেষ্ঠ উদাহরন যা আপনি হতে পারেন।

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1