Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ কী
একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ কী
একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ কী
Ebook332 pages2 hours

একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ কী

Rating: 3.5 out of 5 stars

3.5/5

()

Read preview

About this ebook

‘মেষপালক’ শব্দটি শুনলে কেবল একটি শব্দই আপনার মাথায় আসবে – মেষ! মেষ এমন নির্ভরশীল প্রাণী যার একজন পালকের প্রয়োজন পড়ে। একজন মেষপালক তার মেষদের প্রতিপালন করেন, ভালবাসেন এবং দিকনির্দেশনা দেন। বাইবেলে ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর চারণভূমির মেষ বলে উল্লেখ করেছেন।

যীশু তাঁর শিষ্য পিতরকে বলেছেন যেন তিনি তাঁর মেষদেরকে পালন করার মধ্য দিয়ে ত্রাণকর্তার প্রতি তাঁর ভালবাসার প্রমাণ দেন। মেষপালক হওয়া অত্যন্ত মহান একটি দায়িত্ব। ঈশ্বরের জন্য কার্যকারী হিসেবে আহূত হওয়া এবং তাঁর মেষদের প্রতিপালন করা অত্যন্ত সম্মানের বিষয়।

এই বইটিতে ড্যাগ হিউয়ার্ড-মিলস আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, প্রেরণা দিচ্ছেন এবং দেখাচ্ছেন যেন আমরা ঈশ্বরের লোকদের যত্ন নেওয়ার এই মহান দায়িত্বে সামিল হই। একজন মেষপালক হওয়ার এই চমৎকার দায়িত্ব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না!

LanguageBengali
Release dateJun 7, 2018
ISBN9781641355681
একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ কী
Author

Dag Heward-Mills

Bishop Dag Heward-Mills is a medical doctor by profession and the founder of the United Denominations Originating from the Lighthouse Group of Churches (UD-OLGC). The UD-OLGC comprises over three thousand churches pastored by seasoned ministers, groomed and trained in-house. Bishop Dag Heward-Mills oversees this charismatic group of denominations, which operates in over 90 different countries in Africa, Asia, Europe, the Caribbean, Australia, and North and South America. With a ministry spanning over thirty years, Dag Heward-Mills has authored several books with bestsellers including ‘The Art of Leadership’, ‘Loyalty and Disloyalty’, and ‘The Mega Church’. He is considered to be the largest publishing author in Africa, having had his books translated into over 52 languages with more than 40 million copies in print.

Reviews for একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ কী

Rating: 3.5 out of 5 stars
3.5/5

2 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ কী - Dag Heward-Mills

    অধ্যায় ১

    মেষপালক কে?

    কিনত্মু বিসত্মর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করম্নণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল৷

    মথি ৯:৩৬

    মেষপালকের সংজ্ঞা কী তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই৷ যিনি মেষপালের যত্ন করেন ও তাদেরকে পরিচালনা করেন তিনিই মেষপালক৷ একজন মেষপালককে স্বয়ং ঈশ্বর তার মেষপাল দেখাশোনার জন্য আহ্বান করে থাকেন৷

    বাইবেলে আমরা দেখতে পাই ঈশ্বরের লোকদেরকে মেষপাল বলা হয়েছে এবং তিনি কিছু কিছু মানুষকে তাঁর এই মেষপালের উপরে পালক হওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন৷ ঈশ্বর আমাদেরকে সাপ, গিরগিটি, বিড়াল কিংবা কুকুরের পাল হিসেবে দেখতে চান না৷ কোনমতেই না! তিনি চান আমরা যেন মেষপাল হয়ে উঠি যাদের ভালবাসা, যত্ন এবং পরিচালনার প্রয়োজন রয়েছে৷

    আইস, আমরা প্রণিপাত করি, প্রণত হই, আমাদের নির্মাতা সদাপ্রভুর সাক্ষাতে জানু পাতি৷ কেননা তিনিই আমাদের ঈশ্বর, আমরা তাঁহার চরাণির প্রজা ও তাঁহার হসত্মের মেষ৷

    গীতসংহিতা ৯৫:৬-৭

    আমি এই বইটি লিখছি কারণ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি অনেক মানুষ ঈশ্বরের মেষদের তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব গ্রহণ করতে আগ্রহী হবেন৷ ঈশ্বরের লোকদের তত্ত্বাবধান করার মত মহান একটি দায়িত্ব গ্রহণের এখনই সময়৷ একজন মেষপালক হওয়াটা সর্বকালের সেরা কাজগুলোর মধ্যে একটি, কারণ আমাদের প্রভু যীশু মানব জাতিকে ভালবাসেন এবং তিনি তাদেরকে দেখেন একটি মেষপাল হিসেবে, যাদের প্রয়োজন যত্ন ও পরিচালনা৷ মেষপালক হওয়াটা খুবই দারম্নন একটি কাজ৷ এ কারণেই তিনি এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ম-লীর প্রধান প্রেরিত পিতরকে৷ মনে রাখবেন! যীশু পিতরকে তাঁর ভালবাসার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন মেষদের যত্ন নেওয়ার মধ্য দিয়ে৷ পিতর, তুমি কি আমাকে ভালবাস? যদি তুমি আমাকে ভালবাস তাহলে আমার মেষদেরকে চরাও!

    তাঁহারা আহার করিলে পর যীশু শিমোন পিতরকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, ইহাদের অপেক্ষা তুমি কি আমাকে অধিক প্রেম কর? তিনি কহিলেন, হাঁ, প্রভু; আপনি জানেন, আমি আপনাকে ভাল বাসি৷ তিনি তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষশাবকগণকে চরাও৷

    পরে তিনি দ্বিতীয় বার তাঁহাকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, তুমি কি আমাকে প্রেম কর? তিনি কহিলেন, হাঁ, প্রভু; আপনি জানেন, আমি আপনাকে ভাল বাসি৷ তিনি তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষগণকে পালন কর৷

    তিনি তৃতীয় বার তাঁহাকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, তুমি কি আমাকে ভাল বাস? পিতর দুঃখিত হইলেন যে, তিনি তৃতীয় বার তাঁহাকে বলিলেন, 'তুমি কি আমাকে ভাল বাস?' আর তিনি তাঁহাকে কহিলেন, প্রভু, আপনি সকলই জানেন; আপনি জ্ঞাত আছেন যে, আমি আপনাকে ভাল বাসি৷ যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষগণকে চরাও৷

    যোহন ২১:১৫-১৭

    প্রত্যেকটি ম-লীতে দুই ধরনের মানুষ রয়েছে: মেষপালক ও মেষ৷ আপনি হয় একজন মেষপালক নতুবা একজন মেষ৷ মেষপালক বলতে মূলত পালককেই বোঝায়৷ অনেক ভাষায় আবার 'মেষপালক' এবং 'পালক' শব্দ দুটিকে আলাদা করে বোঝানোর জন্য পৃথক কোন শব্দ নেই৷ মেষপালক কথাটি বোঝাতে যে শব্দ ব্যবহার করা হয় সেই শব্দটি দিয়েই আবার পালক বোঝানো হয়ে থাকে৷ আমি মেষপালক শব্দটি ব্যবহার করতে পছন্দ করি কারণ এটি শুনলে সকলেই বুঝতে পারেন যাকে মেষপালক বলা হচ্ছে তার কাজটি আসলে কী৷ 'মেষপালক' শব্দটি পছন্দ করার পেছনে কারণ হল, একজন পালকের দায়িত্বকে শব্দটি আরও পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করে৷ একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ হচ্ছে, আপনাকে অবশ্যই লোকদেরকে মেষপালের মত করে দেখাশোনা করতে হবে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হবে৷

    'পালক' শব্দটি সম্পর্কে অনেক অদ্ভুত ব্যাখ্যা রয়েছে এবং একজন পালকের কেমন হওয়া উচিত বা তার কী কী করা উচিত সে সম্পর্কে সবারই নিজস্ব ধারণা ও মতামত রয়েছে৷ তবে যখন আপনি বলবেন আপনি একজন মেষপালক, তখনই সঙ্গে সঙ্গে সবাই বুঝতে পারবে আপনার দায়িত্ব মেষ পালন করা৷ তবে এটা ঠিক যে, মেষপালক হিসেবে আপনি যে লোকদের তত্ত্বাবধান করছেন তাদের স্বভাব মেষদের মত না হলে আপনি তাদেরকে পরিচালনা দান, নির্দেশনা দান, শিৰা দান কিংবা তত্ত্বাবধান করতে পারবেন না৷ ইংরেজী ভাষায় পালক শব্দটি বহুল ব্যবহৃত হয় 'ঈশ্বরের লোক' বোঝাতে কিংবা ঈশ্বরের প্রতিনিধি বোঝাতে৷ এ কারণে ভাববাদী, প্রেরিত, প্রাচীন থেকে শুরম্ন করে ঈশ্বরের যে কোন প্রতিনিধিকেই 'পালক' নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে৷ মেষপালক বলতে বোঝানো হয়ে থাকে বিশেষ এক ধরনের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিকে, যার কাজ হচ্ছে সময় নিয়ে তার মেষপালের তত্ত্বাবধান করা, তাদেরকে ভালবাসা দেওয়া, তাদেরকে চরানো এবং একত্রিত করা৷

    উপরের শাস্ত্রাংশে যে মেষগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণ হল, তাদের কোন মেষপালক ছিল না৷ কোন ভাববাদী ছিল না বলে যে মেষেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তা নয়৷ কোন প্রচারক বা প্রাচীন সেখানে ছিলেন না বলে যে মেষেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তা নয়৷ মেষপালক ছিলেন না বলেই মেষেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল৷ আমার দৃঢ় বিশ্বাস, অনেক লোকই মেষপালক হওয়ার জন্য আহূত৷ অনেকেই অন্যদেরকে তাদের ভালবাসা, তাদের সময় ও তাদের শ্রম দান করতে পারেন৷ একথা আমি জেনেই বলছি, কারণ অধিকাংশ মানুষই প্রয়োজনে একজন মা এবং একজন ভাই হয়ে উঠতে পারে এবং তাদের সনত্মানদের যত্ন নেওয়ার জন্য সেই সহজাত গুণাবলী থাকে৷ একজন মেষপালক হওয়ার অর্থ হচ্ছে মেষদের প্রতি ভালবাসা, যত্ন ও পরিচালনা দানে এতটাই নিমগ্ন থাকা যে, তাদেরকে মেষদের পিতা বললেও অতু্যক্তি হয় না৷ যখন কেউ মেষপালক হওয়ার জন্য অভিষেক লাভ করেন তখন লোকেরা তার কাছে এসে জড়ো হয়, কারণ প্রত্যেকেরই ভালবাসা, যত্ন ও পরিচালনার দরকার আছে৷

    যারা ঈশ্বরের লোকদের যত্ন নেন ও তাদের প্রতিপালন করেন তাদের কথা বলার সময় 'মেষপালক' শব্দটি ব্যবহার করতে শিখুন, কারণ এই সম্বোধনটিই তাদের প্রকৃত রূপ তুলে ধরে৷ আপনি যখন নিজেকে মেষপালক বলে পরিচয় দেবেন, তখন একজন মেষপালক হিসেবে আপনার কাজের প্রতি আপনি মনোনিবেশ করতে সৰম হবেন৷ আজ অনেকেরই মানুষের প্রতি ভালবাসা ও পরিচালনা দানের জন্য কাজ করার কথা ছিল, কিন্তু তারা হয়ে পড়েছেন পার্থিব চিনত্মাচেতনার অধিকারী, যে কারণে ম-লীর চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বোধ হয় তাদেরকে আরও ভাল মানাবে৷

    আপনি যদি কোন মেষপালককে ব্যাংকে কাজ করতে দেখেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করবেন, 'আপনার মেষ ও ছাগলগুলোকে আপনি কোথায় ছেড়ে এলেন? ওগুলোর কী অবস্থা? কে ওগুলোকে দেখাশোনা করবে?' আজ অনেক মেষপালক তাদের ছাগল ও মেষদেরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে এবং তারা মেষপালন ছেড়ে তথাকথিত বাণিজ্যকেন্দ্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে৷ ঈশ্বরের লোকদের যত্ন নেবার জন্য ও তাদের প্রতিপালন করার জন্য যাদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছিল তাদের অনেকেই সেই সম্মানকে অবজ্ঞা করেছিল৷ এই বিধানটি ছুড়ে ফেলবেন না৷ মেষপালন খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব৷ এটি ঈশ্বর নিরূপিত দায়িত্ব৷ এই দায়িত্বের প্রতি আনত্মরিক হোন৷ আপনিও একজন মেষপালক হতে পারেন এবং ঈশ্বরের সনত্মানদের যত্ন ও প্রতিপালন করতে পারেন৷ আপনিও ঈশ্বরের জন্য কিছু করতে পারেন!

    একটা সময় আমরা অনেক কিছু পেয়েছি, কিন্তু এখন সময় এসেছে কিছু দেবার! একটা সময় আমরা শিৰা পেয়েছি, কিন্তু এখন সময় এসেছে শেখানোর! একটা সময় আমরা অন্য কারও নেতৃত্বে চলেছি, কিন্তু এখন সময় এসেছে অন্যদের নেতৃত্ব দেওয়ার! মেষপালনের এই মহান দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে উত্‍সর্গ করম্নন - মানুষকে ভালবাসুন, তত্ত্বাবধান করম্নন ও শিৰা দান করম্নন৷ এটি অত্যনত্ম সম্মানের বিষয়৷ এমনকি আপনি যদি ম-লীর সাধারণ একজন সভ্য হন, তাহলেও আপনি মেষপালক হতে পারেন৷ ম-লীর অনেক সাধারণ সদস্যই পরিচর্যা কাজের সাথে যুক্ত হয়ে থাকেন৷ আপনিও ম-লীর সেই সম্মানিত সদস্যদের একজন হতে পারেন, যারা মেষপালকের মত করে ঈশ্বরের সেবা করে চলেছেন৷

    আপনি যদি পূর্ণ সময়ের জন্য পরিচর্যা কাজে নিযুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে নিজেকে ঈশ্বরের লোক না ভেবে একজন মেষপালক বলে ভাবতে শুরম্ন করম্নন৷ এতে করে আপনি আপনার আহ্বান আরও ভালভাবে উপলব্ধি করতে সৰম হবেন৷ ঈশ্বরের ভালবাসা, যত্ন, পরিচালনা ও শিৰার সমসত্ম দানে প্রবাহিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আপনি ঈশ্বরের লোকদের মেষপালক হয়ে উঠবেন৷ মনে রাখবেন ঈশ্বর তাঁর মেষদের খুব ভালবাসেন৷ তিনি আমাদের জন্য মৃতু্যবরণ করেছেন৷ নিশ্চয়ই তিনি আমাদের জন্য খুব আনত্মরিকভাবে চিনত্মাও করেন! ঈশ্বরের মেষদের যে ব্যক্তি প্রতিপালন করেন তিনি সরাসরি ঈশ্বরের ভালবাসা দ্বারা পরিচালিত হন, কারণ যীশু এই মেষদেরকেই ভালবেসেছিলেন এবং তাদের জন্য মরেছিলেন৷

    অধ্যায় ২

    কেন আপনি একজন মেষপালক হবেন

    এ ই অধ্যায়ে আমি পবিত্র শাস্ত্র থেকে কিছু অংশ দেখাব যা আপনাকে এ কথা বিশ্বাস করতে সাহায্য করবে যে, আপনিও একজন মেষপালক হতে পারেন৷ আমি বিশ্বাস করি খ্রীষ্টিয় জীবনে বৃদ্ধি লাভের একটি পর্যায়ে এসে আপনিও একজন মেষপালক হতে পারেন, অনত্মত কিছুটা হলেও৷ পরিচর্যা কাজে আপনিও যে ফলপ্রসূ হতে পারেন সে সম্পর্কে বাইবেল আমাদেরকে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শিৰা দেয়৷ বাক্য আমাদেরকে এও শেখায় যে, অল্প লোককে নয় বরং অনেককে পরিচর্যা কাজের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে৷

    আর তিনিই কয়েক জনকে প্রেরিত, কয়েক জনকে ভাববাদী, কয়েক জনকে সুসমাচার-প্রচারক ও কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরম্ন করিয়া দান করিয়াছেন, পবিত্রগণকে পরিপক্ক করিবার নিমিত্ত করিয়াছেন, যেন পরিচর্যা কার্য সাধিত হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তোলা হয়, 

    ইফিষীয় ৪:১১,১২

    সাধারণত এই শাস্ত্রাংশটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয় ঈশ্বর তিনটি বিশেষ কারণে ম-লীতে পরিচর্যা কাজের জন্য বিশেষ পদ তৈরি করেছেন: 

    ১.পবিত্রগণকে পরিপক্ক করার জন্য৷

    ২.পরিচর্যা কাজ সাধন করার জন্য৷

    ৩.খ্রীষ্টের দেহকে গেঁথে তোলার জন্য৷

    এ কথাগুলো সত্য৷ তবে আমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন যে, বাইবেলের অনুবাদকারীরা অনেক বিরাম চিহ্ন যোগ করেছেন যা কখনো কখনো আমাদেরকে ভুল ব্যাখ্যা দিতে পারে৷ ইফিষীয় ৪:১২ পদের বিরামচিহ্নগুলো সরিয়ে ফেলার পর দেখুন কথাগুলো কেমন শোনায়৷

    আর তিনিই কয়েক জনকে প্রেরিত, কয়েক জনকে ভাববাদী, কয়েক জনকে সুসমাচার-প্রচারক ও কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরম্ন করিয়া দান করিয়াছেন, পবিত্রগণকে পরিপক্ক করিবার নিমিত্ত করিয়াছেন যেন পরিচর্যা কার্য সাধিত হয় যেন খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তোলা হয়, 

    ইফিষীয় ৪:১১,১২

    এখন এই অংশটি পড়ে মনে হচ্ছে ঈশ্বর প্রেরিত, ভাববাদী, প্রচারক, পালক ও শিৰকদেরকে নিযুক্ত করেছেন যেন তারা পরিচর্যা কাজ সাধন করার জন্য পবিত্রগণকে পরিপক্ক করে তোলেন৷

    অন্যভাবে বললে, এই বিশেষ পরিচর্যার পদগুলো দেওয়া হয়েছে সাধারণ ঈশ্বরভক্ত মানুষদেরকে (অর্থাত্‍ পবিত্রগণকে) পরিচর্যা কাজের জন্য সৰম করে তোলার জন্য৷ এর অর্থ কী? খুব সহজে চিনত্মা করলে এর অর্থ সাধারণ ঈশ্বরভক্ত মানুষেরাও পরিচর্যা কাজ করতে পারবেন৷ এতে আরও বোঝা যায় পরিচর্যা কাজ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রেরিতবর্গ ও শিৰাগুরম্নদের দায়িত্বের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়৷

    মেষপালকেরা সনত্মোষজনকভাবে পরিচর্যা কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করতে পারেন৷

    ইফিষীয় ৪:১১, ১২ পদ দুটিকে যদি আপনি এভাবে ব্যাখ্যা করেন তাহলে বোঝা যায় পরিচর্যা কাজের দায়িত্ব আমাদের সকলের উপরে বর্তায়, শুধুমাত্র হাতে গোণা কয়েকজন ব্যক্তির উপরে নয়৷ অবশ্যই এটি প্রকৃত ব্যাখ্যা, কারণ বাইবেল বলে অনেকে আহূত! 

    ঈশ্বর তাঁর কাজ করার জন্য কখনো অল্প কয়েকজন মানুষকে আহ্বান জানাননি৷ যত মানুষ সাড়া দিয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষকেই ঈশ্বর সব সময় আহ্বান করেছেন৷

    আপনি যদি ঈশ্বর হতেন এবং আপনার উপরে অনেক বড় দায়িত্ব সম্পাদনের ভার থাকত - অর্থাত্‍ সমগ্র জগতকে রৰা করার দায়িত্ব, তাহলে কি আপনি মাত্র অল্প কিছু মানুষকে আহ্বান করে তাদেরকে কাজে নিযুক্ত করতেন? নিশ্চয়ই না! আপনার পৰে যতজন মানুষ সম্ভব তাদেরকে আপনি ডাকতেন এবং কাজে পাঠাতেন৷ দুর্ভাগ্যবশত খুব অল্প মানুষই তাদের প্রতি এই আহ্বানে সাড়া দেয় এবং অবশেষে সামান্য কিছু মানুষই কেবল দ্রাৰাৰেত্রে পরিচর্যা কাজ করার জন্য মনোনীত হয়৷

    আহ্বান পাওয়া কি খুব বড় কোন বিষয়?

    আমরা মনে করি ঈশ্বরের আহ্বান বোধহয় অলৌকিক কোন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আসে, যেমন দৈববাণী শোনা, দর্শন দেখা এবং বিশেষ আত্মিক অভিজ্ঞতা লাভ করা৷ এই প্রজন্ম ভ্রানত্মির শিকার৷ অনেকেই আহূত বটে, কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই যীশুর দর্শন পায়নি৷ বাইবেল আমাদেরকে শেখায় যে, আমাদেরকে পবিত্র হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে৷

    রোমে ঈশ্বরের প্রিয় আহূত পবিত্র যত লোক আছেন.... 

    রোমীয় ১:৭

    করিন্থে স্থিত ঈশ্বরের ম-লীর সমীপে, খ্রীষ্ট যীশুতে পবিত্রীকৃত ও আহূত পবিত্রগণের সমীপে.... 

    ১ করিন্থীয় ১:২

    পবিত্র ব্যক্তিগণ ইফিষীয় ৪:১২ পদ অনুসারে দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে৷ একবার সত্যি করে বলুন তো, পবিত্র হওয়ার এই আহ্বানে আমরা ক'জন ঐশ্বরিক বাণী শুনতে পেয়েছি? আমাদের মধ্যে কতজন বজ্রপাত ও বিদু্যত্‍চমকের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পরিত্রাণ লাভ করেছি? আমাদের মধ্যে কে কে দামেস্কে যাওয়ার পথে ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গিয়েছে? খুব কম খ্রীষ্টিয়ানই ঈশ্বরের কাছ থেকে এমন নাটকীয়ভাবে আহ্বান লাভ করেছেন৷

    কিন্তু তাতে করে এমনটা ভাবার কোন যুক্তি নেই যে, আমরা কেউ খ্রীষ্টিয়ান হওয়ার জন্য আহ্বান পাইনি৷

    নতুন জন্মপ্রাপ্ত সমসত্ম খ্রীষ্টিয়ানই তাদের জীবনে পবিত্র ব্যক্তি বা সাধু ব্যক্তি হওয়ার জন্য ঐশ্বরিক আহ্বান লাভ করে থাকেন৷ হতে পারে আহ্বানটি আমরা দৃষ্টিগোচরভাবে পাইনি, কিন্তু অবশ্যই এই আহ্বান ঐশ্বরিক৷ যদি আপনি নিজেকে একজন খ্রীষ্টিয়ান বলে থাকেন, তাহলে আপনি একটি আহ্বান লাভ করেছেন যাতে আপনার সাড়া দিতেই হবে৷ আমি আপনাকে বলছি, আপনার অজানত্মেই আপনি একটি আহ্বান শুনেছেন এবং স্বর্গীয় এই আহ্বানে আপনি সাড়াও দিয়েছেন৷

    আপনার এই আহ্বানটি কী ছিল? ঠিক যখনই আপনি যীশু খ্রীষ্ট সম্পর্কে বাসত্মব সত্যটি অনুধাবন করেছেন তখনই আপনি এই আহ্বান পেয়েছেন৷ এই সত্য অনুধাবনই আপনাকে খ্রীষ্টের প্রতি নিজের জীবন উত্‍সর্গ করতে এবং আপনাকে একজন নতুন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ান হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেছে৷

    অনেক সময় লোকেরা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রত্যাদেশের অপেৰায় থাকার কারণে ঈশ্বরের প্রকৃত অলৌকিক ঘটনাগুলোকে দেখতে পায় না৷ আমাদেরকে যেভাবে খ্রীষ্টিয়ান হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, সেভাবেই ঈশ্বর আমাদের অনেককে কোন না কোনভাবে তাঁর পরিচর্যা কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷ হয়তো এলিয় ভাববাদীর মত শ্বাসরম্নদ্ধকর পর্যায়ের পরিচর্যা কাজ করার জন্য আপনাকে আহ্বান জানানো হয়নি, কিন্তু তারপরও সেটা আহ্বান তো বটে! 

    শমূয়েল ভাববাদীর পরিচর্যা কাজের দিকে তাকান৷ শমূয়েল যখন ঈশ্বরের কাছ থেকে আহ্বান পান তখন তিনি মন্দিরে ছিলেন৷

    আর বালক শমূয়েল এলির সম্মুখে সদাপ্রভুর পরিচর্যা করিতেন.... 

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1