সর্পের মত সতর্ক হবার অর্থ কি

অধ্যায় ১

সর্পের বিজ্ঞতা

…………… অতএব তোমরা সর্পের ন্যায় সতর্ক ও কপোতের ন্যায় অমায়িক হও।

মথি ১০: ১৬ পদ

সাপেরা জ্ঞানী

এটা অবাক হবার কোন বিষয় নয় যে, মানুষেরা সাপকে ভয় পাবে। আর যদি মানুষেরা সাপের বিষয়ে সমীহ করে চলবে এতের অবাক হবার কিছু নেই। এটা একটা বিষ্ময় যে সাপকে অদ্ভুতভাবে টিকে থাকার বিষয়ে পারদর্শী করে সৃষ্টি করা হয়েছে, যেভানে বংশ পরাম্পরায় তাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখা হয় তবু তারা টিকে আছে এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যদি যীশু সাপের বিজ্ঞতার কথা উল্লেখ না করতেন তবে হয়ত আমরা এই প্রাণীটি বেঁচে থাকার জন্য যে জ্ঞানের পরিচয় দিচ্ছে তা দেখতেই পেতাম না। যেহেতু যীশু সাপের জ্ঞানের বিষয়ে বলেছেন, তাই আমাদের সকলের উচিত এই প্রাণীটির দিকে বিশেষ নজর দেয়া যেন আমরা তার কাছ থেকে কিছু শিখতে পারি। সুতরাং, সাপের এই বিজ্ঞতা আসলে কি? কোন বিষয়টি সাপকে বিজ্ঞ করে তুলেছে?

আপনি কি সেই বিজ্ঞতাকে খুঁজে পেতে চান না যা আপনার অন্য সহকর্মীদের থেকে আপনাকে বেশি উজ্জল করে তুলবে?

আপনি কি সেই বিজ্ঞতাকে খুঁজে পেতে চান না যা আপনার জীবনের শক্তিশালী এবং কঠিন শত্রুর মোকাবেল করতে সাহায্য করবে?

আপনি কি সেই বিজ্ঞতাকে খুঁজে পেতে চান না যা আপনার জীবনের সব ধরনের পরিবর্তনে আপনাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে? সর্ব্বপরি, কতজন লোক তাদের জীবনের সর্ব্বক্ষেত্রে এবং সব সময় সম্পদশালী এবং উন্নত জীবন যাপন করতে পারে?

আপনি কি সেই বিজ্ঞতাকে খুঁজে পেতে চান না যেন লোকেরা আপনাকে ভয় পায় এবং উপযুক্ত সম্মান দেয়? আপনি কি সেই বিজ্ঞতাকে খুঁজে পেতে চান না যা আপনার জীবনের সব লক্ষ্যগুলিকে সফল হতে সাহায্য করবে?

আমি নিশ্চিত যে আপনি সেই বিজ্ঞতাকে আশা করেন। প্রকৃতপক্ষে, এটাই হল সাপের বিজ্ঞতা! এই কারণেই যীশু বলেছেন যেন আমরা সাচের মত সতর্ক হই।

যে সাতটি কারণের জন্য সাপকে বৃদ্ধিমান হিসাবে বিবেচনা করা হয়

১. সাপকে বুদ্ধিমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ তারা বনের অন্য যে কোন প্রাণীদের থেকে বেশি পরিমানে প্রজনন করে এবং বৃদ্ধি পায়।

২. সাপকে বুদ্ধিমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ তারা সর্ব্বাধুনিক পৃথিবীতেও তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে পারে। আপনি দেখবেন যে আজকের আমাদের আধুনিক পৃথিবীতে অনেক প্রাণীই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

৩. সাপকে বুদ্ধিমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ সকলে তাকে ঘৃণা করা সত্বেও সে সকলের মধ্যেও স্ববেগে অবস্থান করে।

৪. সাপকে বুদ্ধিমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ তারা মানুষের মধ্যে ভয় এবং সমীহ আনতে পেরেছে। এমন অনেক পশু আছে যাদেরকে মানুষ ভয় করে না কিন্তু সাপকে ভয় পায় এবং সমীহ করে চলে।

৫. সাপকে বুদ্ধিমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ পৃথিবীর যেকোন জায়গায় এবং যেকোন অবস্থায় বাস করতে পারে।

৬. সাপকে বুদ্ধিমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ তারা যেকোন অবস্থানে তাদের কাজ করতে পারে, যেমন- ভুমিতে, সাগরে, মিষ্টি জলে এমনকি বাতাসে।

৭. সাপকে বুদ্ধিমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ তারা এই পৃথিবীতে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। সমস্ত সরীসৃপ তাদের বিপক্ষে থাকলেও তারা এখনও বেঁচে আছে, খাবার খাচ্ছে এবং বংশবৃদ্ধি করছে।

জ্ঞানী হবার জন্য আপনাকে অবশ্যই ঘটনা, সত্য এবং সাক্ষ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে, ধ্যান করতে হবে এবং বিবেচনা করতে হবে। আপনি শুধু এটা বলেই সমাধান দিতে পারেন না যে এটা অনেক কিছু বোঝায়। যখন যীশু বলেছেন, ‘সর্পের ন্যায় সতর্ক হও’, তিনি এটা গভীর অর্থ বুঝিয়েছেন; তার কথা ছিল বিজ্ঞতায়, অর্থে এবং নির্দেষনায় পূর্ণ। এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে সাপের একটি করে জ্ঞানের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছে। যাকে তাকে চিড়িয়াখানায় পাওয়া অন্য প্রানীদের থেকে আলাদা করেছে।

আপনি কি একটি ঘটনা লক্ষ্য করেছেন, আপনার বাড়ির পাশে কি কোন দিন কোন সিংহের গর্জন শুনেছেন? কিন্তু আপনার এলাকাতে অবশ্যই সাপ থাকতে পারে। আমি যে অঞ্চলে বাস করি সেখানে অন্তত পক্ষে প্রায় বাড়িতে সাপ দেখতে পাই। সিংহেরা আপনার এলাকাতে থাকে না। তাদেরকে উচ্ছিন্ন করা হয় কারণ তারা সাপের মত বিজ্ঞতার সাথে চলতে পারে না। তারা অন্য ধরনের বিজ্ঞতায় চলে- আর তা হল সিংহের বিজ্ঞতা।

সিংহের বিজ্ঞতা আমাদেরকে সিংহের প্রতি ভয় এবং তাকে সমীহ করে চলতে বাধ্য করেছে। কিন্তু সিংহের বিজ্ঞতা তাকে পৃথিবীর সব শহরে তাদের বংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম করে নি। সিংহের সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে। অন্য দিকে সাপ মোটামুটি সব শহরেই পাওয়া যায়। সেই অর্থে, সাপেরা সিংহদের থেকেও জ্ঞানী কারণ তারা বৃদ্ধি পাচ্ছে, টিকে আছে এবং এগিয়ে চলছে অন্য দিকে সিংহ যারা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, হয়ত এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

অধ্যায় ২

অন্যের উপরে নির্ভরশীল না হয়ে জীবন-যাপনে পারদর্শী

আমরা তোমাদের যে আদেশ দিয়েছি সেইমত শান্ত জীবন কাটাতে, নিজের কাজে ব্যস্ত থাকতে এবং নিজের হাতে পরিশ্রম করতে বিশেষভাবে আগ্রহী হও, যেন বাইরের লোকদের চোখে তোমাদের চলাফেরা উপযুক্ত হয় এবং অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়। ১ থিষলনীকিয় ৪: ১১-১২ পদ (সহজ বাংলা অনুবাদ)

সাপেরা জ্ঞানী কারণ তারা বাইরের কারও উপরে নির্ভর করে না

একজন নেতা কখনই অন্য লোকদের উপরে নির্ভর করবেন না যাতে করে বাইরের লোকদের কাছে নিজের সন্মান নষ্ট হয় । একজন নেতাকে অবশ্যই কঠিন পরিশ্রম করতে হবে যেন তারা সব ধরনের ভিক্ষাবস্থা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে। ভিক্ষা সব সময় ভিক্ষাই, তা দেশের রাষ্ট্রপতি, রাজনীতিবিদ বা পালক যে করুক না কেন। ভিক্ষা সব সময় ভিক্ষাই তা আপনি যেকোন সংঘায ব্যাখ্যা করুন না কেন, বিনিয়োগকারীর সন্ধান, সেবাকারীর সন্ধান বা দাতাদের সেমিনারে অংশ নেবার মধ্য দিয়ে। অন্যদের উপরে নির্ভশীল হবার বিপরীত হচ্ছে নিজের হাতে পরিশ্রম করতে আগ্রহী হওয়া এবং কাজ করা।

কেন আপনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবেন আর চেয়ে বেড়াবেন? আপনি কি কখনও দায়ুদের এই কথা পড়েন নি, আমি যুবক ছিলাম, এখন বৃদ্ধ হইয়াছি, কিন্তু ধার্মিককে পরিত্যক্ত দেখি নাই, তাহার বংশকে খাদ্য ভিক্ষা করিতে দেখি নাই। (গীত ৩৭: ২৫ পদ)। আপনার কি সেই রকম জীবন যাপন করতে লজ্জা করে না যেখানে আপনাকে কোন জিনিসের জন্য অন্যের উপরে আশা করে থাকতে হবে? আপনার কি মনে হয় যখন আপনি সব বিষয়ে বাইরের লোকদের উপরে নির্ভর করবেন তখন তারা কি আপনাকে সন্মান করবে? কখনই না! শাস্ত্রাংটি যত্ন করে পড়ুন এবং ধ্যান করুন। আমরা তোমাদের যে আদেশ দিয়েছি সেইমত শান্ত জীবন কাটাতে, নিজের কাজে ব্যস্ত থাকতে এবং নিজের হাতে পরিশ্রম করতে বিশেষভাবে আগ্রহী হও, যেন বাইরের লোকদের চোখে তোমাদের চলাফেরা উপযুক্ত হয় এবং অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়।১ থিষলনীকিয় ৪: ১১-১২ পদ (সহজ বাংলা অনুবাদ)

সাপেরা দেখিছে যে তারা হল অন্যের উপরে নির্ভরশীল না হয়ে বেঁচে থাকতে পারদর্শী। তারাম তাদের জন্মের প্রথম দিন থেকেই তাদের নিজেদের ধরনে বেঁচে থাকতে সামর্থ্যবান। আর তাই সাপের মত জ্ঞানী হতে হলে আপনাকে অন্যে মুখাপেক্ষী হয়ে বেঁচে থাক বাদ দিতে হবে। এটা একটা দুঃখের বিষয় যখন গরীব দেশের শাসকেরা ধনী দেশগুলিতে যায় আর বিভিন্ন ধরনের ধার এবং দান চায়।

দুঃর্ভাগ্যজনক ভাবে, এমন অনেক দেশ রয়েছে যারা অন্য দেশের কলোনী হয়ে রয়েছে, তারা সব কিছুতেই তাদের প্রভু দেশের প্রতি নির্ভর করে। তারা স্বাধীন হতে পারে না। অনেক দরিদ্র দেশ রয়েছে যারা স্বাধীন হতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের নিজেদের সরকার পরিচালনায় ব্যর্থ। কাগজপত্রে হয়ত দেখা যায় তারা স্বাধীন কিন্তু তারা আসলেই স্বাধীন নয়। তারা প্রতি বছর তাদের স্বাধীনাতা দিবস পালন করে কিন্তু আসলে সেই সময তাদের শোক করা উচিত কারণ তারা প্রতিনিয়ত অন্যের উপরে ভরশা করেই বেঁচে আছে!

আশাহীন অযোগ্য নেতারা দেশের সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছে আর তারা জাতিকে দারিদ্রতার গভীর গহব্বরে নিয়ে যাচ্ছে। এই নেতার পারছে না দুটি শহরের মধ্যে রাস্তা তৈরি করতে, বিদ্যুতের, জলের, স্কুলের এবং দরিদ্র এবং অসহায় মানুষের জন্য হাসাপাতালের যোগান দিতে। এই ধরনের নেতৃত্ব দানকারী দরিদ্র দেশের নেতারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে শুধু ভিক্ষার আশায়।

অন্যদিকে সাপ, তারা যে দিন জন্মগ্রহন করে সেই দিন থেকেই তারা স্বনির্ভর এবং তারা তাদের পিতা-মাতা থেকে আলাদা থেকে বাঁচতে পারে। জন্মের প্রথম দিন থেকে অনেক সাপেরা খুন হয়, তবুও তারা প্রথম দিন থেকে একা বাস করতে থাকে। সেই সমস্ত জাতির মত নয় যারা তাদের বেঁচে থাকার জন্য অন্যদের উপরে নির্ভর করে থাকে, সাপেরা কারো সাহায্য না নিয়েই বেঁচে থাকে এবং একটা স্বাধীন, স্বনির্ভর জীবন শুরু করে।

আপনি কিভাবে দেখাতে পারেন যে আপনিও স্বনির্ভর হতে পারেন

১. আপনি যদি সাপের মত বুদ্ধিমান জীবন কাঁটাতে চান তবে আপনাকে টাকা, উপহার, সম্পদ এমন কি ধার করার চিন্তার জীবন থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

তখন অব্রাম সদোমের রাজাকে উত্তর করিলেন, আমি স্বর্গমর্ত্যের অধিকারী পরাৎপর ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে হস্ত উঠাইয়া কহিতেছি, আমি আপনার কিছুই লইব না, এক গাছি সূতা কি পাদুকার বন্ধনীও লইব না; পাছে আপনি বলেন, আমি অব্রামকে ধনবান করিয়াছি।

আদিপুস্তক ১৪: ২২-২৩ পদ

অব্রাহামের ধনী হবার পিছনে কারো সাহায্য ছিল না। এমন কি, তিনি চান নি যে কেউ মনে করুক যে সে অব্রাহামকে ধনী করেছে।

শিশুরা সব সময় চিন্তা করে যে তাদের পিতা-মাতা তাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান করবে। যখন কোন লোক স্বনির্ভর হয়ে বাঁচতে অযোগ্য হয়, তখন তারা সব সময় আশা করে যে অন্য লোকেরা তাদেরকে কিছু দেবে। অনেক লোকেরা আছে তারা শুধু আমেরিকা আর ইংল্যান্ডের দিকে চেয়ে থাকে, যেন তারা তাদেরকে কিছু দেয়। ঘটনা এমন ঘটে যে আমেরিকা আর ইংল্যান্ড তাদের সাহায্য নিয়ে ছুটে আসে যেন তারা দেখাতে পারে যে আপনি স্বনির্ভর জীবন যাপন করতে অক্ষম।

আপনার কখনও আশা করা উচিত না যে বাইরে থেকে কেউ এসে আপনাকে ধনী করবে। কেন আপনি আশ করেন যে অন্য কেউ আপনাকে কিছু দিক? আপনি কেন সব সময় চেয়ে থাকেন, আশা করে থাকেন যে কেউ আপনাকে কোন উপহার, ধার বা সাহায্য দেবে? প্রকৃতপক্ষে, অযোগ্য নেতার আপনার দৃষ্টিকে ধুলিতে নামিয়ে আনে যখন তারা ঘোষনা করে যে তারা এই প্রকল্পের জন্য অমুকের কাছে ধার চেয়েছে। এমন কি অনেক সময় আসলে ধারের প্রয়োজনই হয় না। শুধু মাত্র তারা যদি অপচয় রোধ করে, দুর্নীতি দুর করে এবং সম্পদের অপব্যহবার রোধ করে। এই মন্দ নেতারা তাদের ঋণ গ্রহন সম্পর্কে যত সব আজে বাজে যুক্তি পেশ করে। কিন্তু যদি কেই সেই ধোয়াশা কাটিয়ে ভিতরের আসল বিষয় দেখে তখন তাদের কাছে বিষয় টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

আপনাকে এমন জীবন যাপন করা উচিত যাতে আপনি বাইরে থেকে আসা দাতাদের থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকতে পারেন। আশাহীন অযোগ্য নেতারা সবসময় দাতাদের সেমিনার গুলিতে যেতে পছন্দ করে আর সব সময় চেয়ে থাকে যে দাতারা তাদের জন্য কি কি সুবিধা দিতে আগ্রহী হয়েছে। অদ্ভুতভাবে, এই নেতারা সেমিনারের সময় ঘুমিয়ে পড়ে কারণ তারা আসলে নেতৃত্বের গভীর বিষয় শিখতে চান না।

২. আপনি যদি সাপের মত বুদ্ধিমান হন তবে আপনি নিজেই নিজের মালিক হবেন আর আপনার কাউকে প্রয়োজন হবে না যে আপনাকে ধনী করবে।

আপনার জ্ঞানই আপনাকে উন্নত করবে এবং আপনার জীবন গঠন করে দেবে। এই কারণে বলা হয়েছে যে যখন কোন লোক কোন কিছু গড়ে তুলতে চায় তাকে অবশ্যই বুদ্ধিমান হতে হবে। কোন কিছু গড়ে তোলার অযোগ্যতা আসলে জ্ঞানের অভাব। আপনি যদি সাপের মত বুদ্ধিমান হন তবে আপনি উদ্যোগী হবেন এবং আপনি যা চান তা গড়ে তুলবেন। শলোমন নিজে অনেক কিছু গড়ে তুলেছিলেন। তিনি নির্মান করেছিলেন বাড়ি, দ্রাক্ষাক্ষেত্র, বাগান তৈরি করেছিলেন এবং ফলের বাগান, তিনি বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে ছিলেন এবং তিনি অনেক