Professional Documents
Culture Documents
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইসরাইলি যুব সমাজের মধ্যেও ফ্যাসিবাদ অতীতের চেয়ে বেশি
সমাদৃত হচ্ছে এবং শান্তির সমর্থকদের সংখ্যা কমে আসছে ব্যাপক হারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এভিগডোর লিবারম্যানের মত ইসরাইলি নেতারা আরও বেশি ক্ষমতা অর্জ ন
করতে সক্ষম হওয়ায় এ বিষয়টি তাদের জন্যও বড় দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে যারা
ইসরাইলকে এতদিন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতু -বন্ধন বলে মনে করত।
ইসরাইলের বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের ওপর উগ্র ইহুদিবাদী ধর্মীয় গ্রুপগুলোর
কর্তৃ ত্ব ক্রমেই বাড়ছে। এখন ইসরাইলি পুরোহিত বা রাব্বিরাই জাতীয় নিরাপত্তা
পরিষদ ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেথের প্রধান কে হবেন তা ঠিক করছেন। ইসরাইলি সংসদে
পাশ হওয়া নতু ন বর্ণবাদী আইন অনুযায়ী ইসরাইলি আরবরা ইসরাইল সৃষ্টির দিনটিকে "
নিক্ববা" বা " বিপর্যয় দিবস" হিসেবে পালন করতে পারবে না এবং ইসরাইলকে রক্ষার শপথ
নিতে হবে আরবদেরকে।
আসলে ইহুদিবাদী ইসরাইল হয়ে পড়েছে নব্য-ফ্যাসিবাদের কেন্দ্র। আর এটাই ইসরাইলের
সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই ইসরাইল পাশ্চাত্যে কেবল উগ্র ডানপন্থী দল বা গ্রুপগুলোকেই
বন্ধু হিসেবে খুঁজে পাচ্ছে। অথচ বিশ্ব এখন বর্ণবাদ ও বৈষম্যবাদের বিরোধীতা করছে
ও মানবাধিকার জোরদারের চেষ্টা করছে। ইসরাইলে সব সময়ই ফ্যাসিবাদের চর্চ া হয়েছে।
কিন্তু এখন তা আইনে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলের ভেতরে ফিলিস্তিনি আরবদের অধিকার ও
স্বাধীনতা লংঘনের বিষয়টি এখন পাশ্চাত্যের জন্যেও বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠী নানা পন্থায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার লংঘন করছে এবং বর্ণবাদের
বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ইসরাইলের বর্ত মান সরকার অবিচারকে আইনে পরিণত করে
নিজেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদী সরকারের সমপর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
ভূ মি ও বংশীয় পরিচিতির জন্য ইহুদিবাদীরা সব কিছু কে অগ্রাহ্য করতে প্রস্তুত।
ইহুদিবাদীরা মনে করে কথিত ইহুদিদের অধিকার বাড়াতে হলে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের
অধিকার লংঘন করতে হবে। আর এ জন্যই ইহুদিবাদীরা কখনও আরব ও ইহুদিদের সমান অধিকার
মেনে নিতে পারেনি। ইসরাইলি এ নীতি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ, নিজস্ব
পরিচিত ও নিজ ভূ মির প্রতি ভালবাসা জোরদার করছে এবং তারা ক্রমেই আশাবাদী হচ্ছে।